কলকাতা: ঘূর্ণিঝড় দানার দাপটে কী পরিস্থিতি? খতিয়ে দেখতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আজ, শুক্রবার বৈঠক হয় মুখ্যসচিবের। জেলাগুলির কি পরিস্থিতি তা নিয়ে মুখ্য সচিবকে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। বৃষ্টির ফলে কোনও নদীর জলস্রোত বাড়ছে নাকি সেটাও খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ডিভিসির জলাধার থেকে জল ছাড়ছে কিনা তা নিয়েও মুখ্য সচিবের থেকে খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী।
দুর্যোগ পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট নেবার পর ফের দুপুর একটা নাগাদ দুর্যোগপূর্ণ ৭ জেলার জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করবেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন জেলাগুলিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে পর্যালোচনা করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপকতা নিয়ে আশঙ্কা করা হয়েছিল আগেই। সেই মতো জোর প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। তবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির মধ্যে দানার জেরে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই বেশি হল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। এখনও পর্যন্ত ৭১টি বিদ্যুতের খুঁটি পড়েছে। বিভিন্ন জায়গায় ২৫০-এর ও বেশি গাছ পড়ে গিয়েছে।
প্রায় ৪০০ মাটির বাড়ি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দিঘায় খুব একটা খয়ক্ষতি না হলেও এগরা, কাঁথিতে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সকালে রিপোর্ট এল নবান্নে। অন্যদিকে দানার প্রভাবে পশ্চিম মেদিনীপুরের ১১টি রাস্তা এখনও পর্যন্ত অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে। গাছ পড়ে যাওয়ার কারণে বন্ধ রাস্তাগুলি। এই সব নিয়ে পরিস্থিতির উপর রিপোর্ট তলব মুখ্যমন্ত্রীর।