হাওড়া: দানা থেকে রেহাই মিললেও অতিবৃষ্টিতে নাকাল জেলাবাসী৷ ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ বৃহস্পতিবার রাতে ওড়িশার স্থলভাগে আছড়ে পড়েছে৷ শুক্রবার সকালে তার রেশ | উপকূলে ঝড়ের দাপট থাকলেও দক্ষিণবঙ্গে সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেনি ‘দানা’ ৷ বেশ কিছু জায়গায় রাত থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে,সঙ্গে কোথাও কোথাও ছিল ঝোড়ো হাওয়া৷
আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে শুক্রবারও ভারী বর্ষণ চলবে| বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ১২ মিনিটে ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া শুরু হয়। পূর্বাভাস মতই ধামড়া এবং ভিতরকণিকার মাঝামাঝি এলাকায় আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড় ডানা | প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে ল্যান্ডফলের প্রক্রিয়া চলেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর | তবে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির খবর মেলেনি এখনও পর্যন্ত | এদিন রাস্তাঘাটে মানুষের সংখ্যা কম, বন্ধ ফেরি পারাপার৷ প্রশাসনের সবুজ সংকেত পেলেই শুরু হবে পরিষেবা৷
সারা রাত নবান্নের কন্ট্রোল রুমে বসে ঘূর্ণিঝড় দানা’র পরিস্থিতির নজর রেখেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সকালে প্রথমে ৭ জেলাশাসকের ফোনে কথা বলেন তিনি৷ পরে ক্ষয়ক্ষতির পর্যালোচনা করতে দুই মেদিনীপুর, দুই ২৪ পরগনা, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার জেলাশাসকের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী| পূর্বঘোষণা মোতাবেক, সকাল ১০টায় শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ফের ট্রেন চলাচল শুরু হয়৷ সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসাবে বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে এই শাখায় ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল৷ শিয়ালদহ এবং বারাসত থেকে হাসনাবাদ শাখাতেও বৃহস্পতিবার রাত ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল৷
পূর্ব রেলের হাওড়া ডিভিশনেও বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিলের কথা জানিয়েছিলেন রেল কর্তৃপক্ষ৷ সময়েই চলেছে ট্রেন, এদিন সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবেই চেনা ভিড় নজরে পড়েনি৷ কার্যত হাওড়া, শিয়ালদহ জনশূন্যই ছিল স্টেশন দুটি৷ তবে পরিষেবা শুরু হতেই ধীরে ধীরে বাড়ছে ভিড় , চেনা ছন্দে ফিরছে স্টেশন৷ তবে অন্যান্য দিনের তুলনায় ছবিটা একেবারেই আলাদা৷ হাওড়া বাসস্ট্যান্ডেও সকালের দিকে বাস কম ছিল৷ বেলায় অবশ্য বাসের সংখ্যা বাড়ে । জেলার ফেরি পরিষেবাতে দানার প্রভাব পড়েনি। ফলে সবুজ সংকেত পেলেই ফেরি পারাপার শুরু হবে।
Rakesh Maity