নয়াদিল্লি: ভিক্ষা করাকে একটা সময় খুব কষ্টকর কাজ মনে করা হত। যখন মানুষের কাছে আয়ের কোনও উপায় নেই, তখন তারা ভিক্ষা নেওয়ার জন্য বাধ্য হত। অনেকেই লজ্জা ও দুর্ভোগের কারণে ভিক্ষা করতেন, যা তাদের পেট ভরার ব্যবস্থা করে দিত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে ভিক্ষাবৃত্তিও এখন একটি ব্যবসার রূপ নিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে অনেক পেশাদার ভিখারী মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করছেন। যা আপনারা চাকরি করেও পান না৷
আরও পড়ুন: বেশি ওজন বলে মন খারাপ? চাঁদে আপনার ওজন কত জানেন? মনে রাখবেন দোষ আপনার নয়, পৃথিবীর!
সম্প্রতি ভারতে কিছু সমীক্ষা এবং ভিখারীদের ধরপাকড় অভিযান চালানোর পর কিছু চমকপ্রদ তথ্য সামনে এসেছে। এতে এমন অনেক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে, যা জেনে আপনি আপনার চাকরি ছাড়ার চিন্তা করতে পারেন। জানা গিয়েছে, ভারতের সবচেয়ে ধনী ভিখারী উত্তর প্রদেশের রাজধানী লখনউতে বসবাস করেন। এখানে ভিখারীদের মাসিক আয় জেনে আপনার আর চাকরি করার ইচ্ছা নাও থাকতে পারে৷
আরও পড়ুন: কফিনের মধ্যেই নড়ে উঠল মৃত শিশু, ছোট্ট হাত ধরল বাবার আঙুল, তারপর…বিস্তারিত জানুন
লখনউতে ডুডা, নগর নিগম এবং সমাজ কল্যাণ বিভাগ একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। এতে শহরের পাঁচ হাজারেরও বেশি ভিখারীর অবস্থা পরীক্ষা করা হয়। এই সমীক্ষা সরকারি প্রকল্পের সুবিধা দেওয়ার জন্য করা হয়েছিল। কিন্তু এতে এমন অনেক তথ্য উঠে এসেছে, যা কর্মকর্তাদেরও অবাক করেছে। অনেক ভিখারীর কাছে প্যান কার্ড ও স্মার্টফোন পাওয়া গিয়েছে। জানা গিয়েছে, শহরের বেশ কিছু ভিখারী মাসে ৯০ হাজারের বেশি উপার্জন করছেন এবং তারা সপ্তাহান্তে ভিক্ষা করেন না। অর্থাৎ শনি ও রবি ছুটি!
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, নারীরা পুরুষদের তুলনায় অনেক বেশি ভিক্ষা পায়৷ বিশেষ করে যদি তারা গর্ভবতী হন অথবা তাদের কোলে শিশু থাকে। তাদের দৈনিক আয় তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত হতে পারে। এছাড়াও, অনেকেই বিনামূল্যে খাবার এবং কাপড় প্রদান করেন। সবচেয়ে বেশি ভিক্ষা চারবাগে পাওয়া যায়। এখানে একজন ভিখারী তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে কয়েক লাখ টাকা জমা করে ফেলেছেন৷ তিনি এটাও বলেছেন যে, তাঁর সরকারি প্রকল্পের কোনও সুবিধাই দরকার নেই৷ কেবল ভিক্ষা করার অনুমতি চাই।