আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান: আশঙ্কা যে একেবারেই ছিল না, এমনটা নয়। কিন্তু পরিস্থিতি যে এতটা জটিল হবে, তাও ভেবে উঠতে পারেননি কেউই। সবমিলিয়ে প্রায় হাজার খানেক প্রতিমা অর্ডার পেয়েছেন। কিন্তু কাজ এখনও অনেক বাকি। হাতে সময়ও খুব কম। যে কারণে কালীপুজোর আগে ফের একবার চরম সমস্যার মুখোমুখি আসানসোলের মহিশিলার মৃৎশিল্পীরা।
আসানসোলের মহিশিলার পালপাড়া। এখানে ১২ থেকে ১৫ ঘর মৃৎশিল্পীদের বসবাস। প্রত্যেক বছর কালী পুজোর আগে এখানে মৃৎশিল্পীদের মধ্যে থাকে চরম ব্যস্ততা। ব্যস্ত থাকেন কারিগররা। কারণ কালী পুজোর সময় সব থেকে বেশি প্রতিমা তৈরির অর্ডার পান তারা। এবারও প্রায় ছোট বড় মিলিয়ে এক হাজার প্রতিমা তৈরির অর্ডার রয়েছে। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র দাপটে টানা ২-৩ দিন একনাগাড়ে বৃষ্টিপাত। যার ফলে কাজ শিকেই উঠেছে।
আরও পড়ুন- আইফোন চাই! পরিবারকে চাপ দিয়েছিল কিশোর, না পেয়ে সে যা করল…! শিউরে উঠবেন
মৃৎশিল্পীরা বলছেন, এখন সময়ে প্রতিমা তৈরি শেষ করা তাদের কাছে কার্যত চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে। কারণ মন্ডপে যাওয়ার মত একাধিক বড় বড় প্রতিমা তৈরি অর্ডার রয়েছে তাদের কাছে। কিন্তু সেই কাজ এখনও শেষ হয়ে ওঠেনি। কালীপুজোর আগেই সেই সমস্ত প্রতিমাগুলিকে মণ্ডপে পৌঁছে দিতে হবে। তবে আবহাওয়ার জন্য কাজে অনেকটা বিলম্ব হয়েছে। তাই সব কাজ সময় শেষ করা এখন চ্যালেঞ্জ তাদের কাছে।
যদিও হাল ছেড়ে দিতে চান না মৃৎশিল্পীরা। তাই রাত দিন এক করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্লাস্টিকে ঢেকে রাখা হয়েছে মূর্তি। কারিগররা তুমুল ব্যস্ততার সঙ্গে কাজ শেষ করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর আগেও বৃষ্টিপাতে সমস্যায় পড়েছিলেন মৃৎশিল্পীরা। বৃষ্টির কারণে প্রতিমা তৈরিতে খরচ বেড়েছিল। আবার সেই একই পরিস্থিতি কালীপুজোর আগেও। যার ফলে চিন্তা বেড়েছে শিল্পীদের। একইসঙ্গে জোরকদমে চলছে কাজ।
নয়ন ঘোষ