মাহালদিরাম 

North Bengal Trip: চা বাগান ঘেরা ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম! পৌঁছলেই একরাশ মন ভাল করা আলো-হাওয়া, ঘুরে আসুন

দার্জিলিং: অনেক তো হল দার্জিলিং, টাইগার হিল, কালিম্পং কিংবা মিরিক। এবার আলো আঁধারি খেলা আর মেঘের হাতছানি যদি উপভোগ করতে হয় তাহলে যেতে হবে দার্জিলিংয়ের এই গ্রামে। গ্রামের নাম মাহালদিরাম। দার্জিলিং পাহাড়ে অবস্থিত উত্তরবঙ্গের এই জায়গাটি হয়তো অনেকের কাছেই অজানা।

গ্রামের নাম মাহালদিরাম। ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে হাত দিয়েই ছুঁতে পারবেন মেঘ, কখনও মেঘ হয়তো চলে যাবে আপনার ঘরের ভিতর দিয়ে। এখানে বারান্দায় দাঁড়িয়ে উপভোগ করতে পারবেন টি গার্ডেনের চা-পাতা তোলার দৃশ্য। একইসঙ্গে মেঘ, রোদ, পাহাড়, মোমো, ছোটোখাটো ট্রেকিং, প্রকৃতি, পাখি, অর্গানিক সবজি এবং অবশ্যই কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখতে পাওয়া যায় এখানে।

আরও পড়ুনঃ সব ভুলে খালি পেটে ২ পিস, ব্যস…! বুড়ো বয়সেও রডের মতো শক্ত হাড়, অ্যানিমিয়ার চরম শত্রু! ডায়াবেটিস রোগীরা খেতে পারেন?

কাছেই আকাশ মিশেছে পাহাড়ের কোলে। আর সূর্যোদয়, সূর্যাস্তের মুহূর্ত যেন আরও নৈসর্গিক সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলে৷ সঙ্গে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক, পাহাড়ের বাতাসের গন্ধ। অপরূপ পরিবেশ মিটিয়ে দেবে আপনার সব ক্লান্তি। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন বা বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে মাহালদিরামের দূরত্ব ৬২ কিমি। কার্শিয়াং থেকে ১২ কিমি। হিলকার্ট রোড ধরে কার্শিয়াং পেরিয়েই পৌঁছে যান দিলারাম মোড়। এখান থেকে ডান দিকে ঘুরে যান।

আরও পড়ুনঃ বৃহস্পতিবার কালীপুজোর অমাবস্যা তিথি ঠিক কখন লাগছে? থাকবে কতক্ষণ? দীপান্বিতা লক্ষ্মীপুজোর শুভ সময় ঠিক কতক্ষণ? রইল সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট

দিলারাম থেকে মাহালদিরাম ১২ কিমি। এখানে বেশ কয়েকটি হোমস্টে রয়েছে। তবে ‘মাহালদিরাম সালামান্দার জঙ্গল ক্যাম্প’ দারুন। যদিও নাম ক্যাম্প কিন্তু এটি একটি সুন্দর হোমস্টে, দোতলা বাড়ি। থাকা খাওয়া নিয়ে ২০০০ টাকা প্রতিজন হিসেবে নেওয়া হয়। তবে সিজন বুঝে দর ওঠানামা করে। পাহাড়ি গ্রামে ঘুরতে এসে পর্যটক বলেন, এখানে এলে এর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মুগ্ধ হয়ে যাবেন সকলে।

বর্ষার সময় আশেপাশে ঝর্না সুন্দর দেখায়। পুজোর ছুটিতে যদি একটু নিরিবিলিতে কাটাতে চান তাহলে এখানে একবার অবশ্যই আসতে পারেন।বাগোরা এবং চিমনি মালদিরামের বেশ কাছাকাছি অবস্থিত। আর তাই চটকপুর, মংপু, লটপঞ্চার, আহলদরা ও সিটং। আপনার যদি সময় থাকে তবে আপনি এই জায়গাগুলিকে ক্লাব করতে পারেন এবং একসঙ্গে ঘুরে আসতে পারেন।

অনির্বাণ রায়