ঝাড়গ্রাম: ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাব ঝাড়গ্রাম জেলায় তেমন একটা না পড়লেও দানার কারণে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হয়েছে জেলায়। কখনও হলুদ, কমলা আবার লাল সর্তকতা জারি করা হয়েছিল জেলা জুড়ে।
প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে একাধিক জায়গায় নষ্ট হয়েছে ফসল, কোথাও ভেঙে পড়েছে পুরানো মাটির বাড়ি। কোথাও আবার ভেঙে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি ,উল্টে পড়েছে গাছ।
আরও পড়ুন:বাক্সবন্দি কম্বলে অদ্ভুত গন্ধ? ঘরোয়া এই কাজ করুন, ড্রাই ক্লিনিং করানোর প্রয়োজনই পড়বে না
ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় দ্রুততার সঙ্গে গাছ সরিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি পুনস্থাপন করে বিদ্যুৎ পরিষেবা সচল রাখা হয়।
আরও পড়ুন: সাপের যম, বাড়িতে রাখুন এই জিনিস, ঘরের ত্রিসীমানাতেও আসতে পারবে না
ঘূর্ণিঝড় দানা পরবর্তী পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য জেলা প্রশাসনের কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত? সেই বিষয়কে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ঝাড়গ্রামে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেন রাজ্যের সেচ ও জল সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া।
শুক্রবার রাত্রে ঝাড়গ্রাম জেলাশাসকের কার্যালয়ে জেলার ক্ষয়ক্ষতি প্রসঙ্গে সমস্ত দপ্তরের আধিকারিক এবং বিধায়ক, জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, ঝাড়গ্রামে সাংসদ কালিপদ সরেন, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি চিন্ময়ী মারান্ডি, জেলাশাসক সুনীল আগারওয়াল-সহ জেলার বিভিন্ন দপ্তরের আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিরা।
মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিডিওদের পরিষ্কারভাবে জানানো রয়েছে মানুষের যা প্রয়োজন সবকিছুই দিতে হবে। ঘূর্ণিঝড়ের দরুন ঝাড়গ্রামে তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি, কিন্তু বৃষ্টির কারণে বহু জায়গায় ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বাংলা শস্য বীমার সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে ফলে ক্ষতিগ্রস্তরা বীমার আয়তায় এসে ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারে।’’
তিনি আরও জানান, কয়েক জায়গায় গাছ এবং বিদ্যুতের খুটি পড়ে গিয়েছিল৷ সেই সব কিছু তৎপরতার সঙ্গে সামলে দেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসনকে প্রশংসা করেন মন্ত্রী।
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিদ্যুৎ থেকে পানীয় জল সবকিছুর পরিষেবা স্বাভাবিক ছিল ঝাড়গ্রামে। তার জন্য মানস ভুঁইয়া জেলা ঝাড়গ্রামের প্রশাসন, জন প্রতিনিধি এবং পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন৷
ঘূর্ণিঝড় দানার আতঙ্ক গ্রাস করেছিল ঝাড়গ্রামবাসীকে । কিন্তু দানার প্রভাব ঝাড়গ্রামে না পড়লেও অঝোর বৃষ্টির কারণে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের চিহ্নিত করে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ায় খুশি ক্ষতিগ্রস্তরা।
বুদ্ধদেব বেরা