দক্ষিণ দিনাজপুর : জাতীয় সড়ক থেকে পাড়ার গলিপথ, টোটোর দাপটে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষ থেকে পরিবহন ব্যবসায়ীদের। শহরগুলিকে যানজটমুক্ত করতে টোটো নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রাজ্য সরকারের।
বালুরঘাটে এসে এমনটাই জানালেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। বেশ কিছু শহরে লাগামহীনভাবে টোটো চলাচল করায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে বলে স্বীকার করে নিয়েই তিনি জানান, ভবিষ্যতে রেজিস্ট্রেশন ও পারমিটের মাধ্যমে একটি সুশৃঙ্খল ব্যবস্থার মধ্যে আনা হবে, যাতে টোটো চালক ও জনগণ উভয়ই লাভবান হন।
আরও পড়ুন- আইফোনকে টেক্কা দেবে ‘পাইফোন’! সিম লাগবে না, দিতে হবে না চার্জ! কত দাম?
জানা যায়, টোটোওয়ালাদের জীবিকাচ্যুত না করে টোটোগুলিকে কিউআর কোড-সহ রেজিস্ট্রেশন করানো হবে। এমনকী শহর যানজট মুক্ত করতে প্রশাসন, পুরসভা ও পরিবহন দফতর মিলে নেওয়া হবে ডিসিপ্লিন ব্যবস্থা।
প্রসঙ্গত, জাতীয় সড়ক ও রাজ্য সড়কে সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে টোটো। এমনকী ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরত্বের গন্তব্যেও যাত্রী পরিষেবা দিয়ে দিচ্ছে টোটো।
টোটো সংক্রান্ত একাধিক ঘটনা সামনে আসার পরেই বেআইনি যানবাহন ধড়পাকড়-সহ শহরাঞ্চলগুলিতে টোটোর দৌরাত্ম্য রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
আরও পড়ুন- বাইক, স্কুটি বিক্রি হচ্ছে ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজনে! অনলাইন কিনলে লাভ কী? জেনে নিন
জেলায় জেলায় নির্দেশিকা এসে পৌঁছতেই এই ব্যাপারে শক্ত হাতে মাঠে নামার প্রস্তুতি শুরু করে জেলা প্রশাসন। অলিতে গলিতে টোটো স্ট্যান্ড গজিয়ে উঠছে। একইসঙ্গে অটোচালকদের সঙ্গে টোটোচালকদের মন কষাকষি যেন নিত্য ঘটনা।
খুব শীঘ্রই টোটোর লাগাম টানতে কিউআর কোড স্ক্যানার লাগানো হবে। এর ফলে নতুন করে আর অন্যত্র টোটো রুটে চলবে না।জেলায় কত সখ্যক টোটো রয়েছে তার তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
সেই তথ্য সংগ্রহ করার পরেই কিউআর কোড বসানো শুরু হবে। এই কিউআর কোডে স্ক্যান করলেই টোটো সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এবং মালিকের যাবতীয় তথ্য বেরিয়ে আসবে।
শুধু তাই নয়, সাধারণ গাড়ির মতোই নম্বরযুক্ত স্টিকার দেওয়া হবে টোটোগুলিকে। এর ফলে টোটোকে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে।
সুস্মিতা গোস্বামী