কানপুর: উত্তর প্রদেশের কানপুরে ব্যবসায়ী রাহুল গুপ্তার স্ত্রী একতা গুপ্তার হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার জিম ট্রেনার বিমল সোনির বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে অভিযুক্ত বিমল সোনি জানিয়েছে যে, তার সঙ্গ একতা গুপ্তার সম্পর্ক ছিল৷ কিন্তু একতা তাকে বিয়ে করতে চাইছিল না। শুধু তাই নয়, অন্য কারও সঙ্গে বিমলকে বিয়েও করতে দিচ্ছিল না। এর মধ্যে একতার বিয়ে ঠিক হয়ে যায়৷ এরপরই সে মহিলাকে হত্যার পরিকল্পনা করে।
আরও পড়ুন: ৮ কোটির জন্য স্বামীকে খুন করল স্ত্রী, দেহ পুঁতল ৮০০ কিমি দূরে কফি বাগানে!
একতা গুপ্তা জুন মাসে ২০ দিনের জন্য বাড়ি আসেনি। ২৪ জুন, তিনি সকাল ৬টায় বাড়ি থেকে জিমের উদ্দেশ্যে বের হন। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ দেখেছে৷ সেখানে দেখা গিয়েছে, জিমের বাইরে পার্কিংয়ে একতা বিমলের গাড়িতে বসে আছেন। অভিযুক্ত জানিয়েছে, গাড়িতেই তার সঙ্গে একতার ঝগড়া হয়। পরে, তিনি একতার মুখে ঘুষি মারেন৷ সে অজ্ঞান হয়ে যায়। এরপর তিনি দড়ি এবং দোপাট্টা দিয়ে গলা টিপে হত্যা করেন।
একতা বাড়ি না ফিরলে তার স্বামী রাহুল জিম ট্রেনার বিমল সোনির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন যে, সে স্ত্রীকে অপহরণ করেছে। তখন থেকেই পুলিশ বিমলের খোঁজে ছিল। শনিবার সন্ধ্যায় রায়পুরওয়া থানার এলাকায় পুলিশ বিমল সোনিকে গ্রেপ্তার করে। পরে তিনি ক্রমাগত বক্তব্য পরিবর্তন করতে থাকেন। পুলিশকে বিভ্রান্ত করতে বলেন যে, তিনি একতার মৃতদেহ গঙ্গায় ফেলে দিয়েছেন। পুলিশ তাকে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যায়, কিন্তু মৃতদেহ উদ্ধার করতে পারেনি। পরে পুলিশ জোর করে প্রশ্ন করলে তিনি জানান যে তিনি ডিএম ক্যাম্পাসের অফিসার্স ক্লাবের কাছে মৃতদেহ পোঁতা রয়েছে। এর পর পুলিশ রবিবার একতার কঙ্কাল উদ্ধার করে, তখনও তার গলায় দড়ি এবং দোপাট্টা আটকানো ছিল।
আরও পড়ুন: বিয়ের ৬ মাস পর চাকরিতে যোগ, ১৮ দিনের মধ্যে স্বামীর মৃত্যুর সংবাদ পেল স্ত্রী
রবিবারই অভিযুক্তকে আদালতে হাজির করা হয়, যেখানে তাকে বিচারিক হেফাজতে জেলে পাঠানো হয়। তবে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন হল, তিনি কীভাবে ডিএম ক্যাম্পাসে মৃতদেহ নিয়ে গেলেন। শুধু তাই নয়, তিনি কিভাবে গর্ত খুঁড়ে মৃতদেহ পুঁতলেন। পুলিশ এই পুরো বিষয়টির গভীর তদন্ত করছে। তারা জানার চেষ্টা করছে, এই ঘটনার পেছনে আর কেউ জড়িত ছিল কিনা৷ কারণ জিম ট্রেনার ডিএম ক্যাম্পাসে অনেককে প্রশিক্ষণ দিত, যার ফলে তার কাছে সেই ক্যাম্পাসের বাংলোর চাবি ছিল। এই সুযোগ নিয়ে তিনি মৃতদেহ বাংলোর মধ্যে নিয়ে গিয়েছিলেন।