দুর্গাপুর: বিগত তিন-চার বছরে হঠাৎ করেই বদলে গিয়েছে ছবিটা। ধনতেরাসের দিনে হু হু করে চাহিদা বেড়েছে ঝাঁটার। সম্প্রতি অতীতে ধনতেরাসের দিন ঝাঁটার চাহিদা সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে বিক্রেতাদের। তাই চলতি বছরে আগে ভাগেই সতর্ক হয়েছেন তারা। ধনতেরাসের আগে থেকে বিক্রেতারা ঝাঁটার স্টক বাড়িয়েছেন। চাহিদা সামাল দিতে আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
প্রসঙ্গত, কালীপুজোর দু’দিন আগে কার্তিক মাসের ত্রয়োদশী তিথিতে ধনতেরাস পালন করা হয়। ধন-সম্পত্তির জন্য আরাধনা করা হয় মহালক্ষী এবং গণেশের কাছে। এই দিন একাধিক জিনিস কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে সোনা, রুপো ইত্যাদি। এছাড়াও এই দিন ঝাঁটা কেনা অত্যন্ত শুভ বলে ধারণা মানুষের। বিশ্বাস করা হয়, ধনতেরাসের দিন ঝাঁটা কিনলে দেবী লক্ষীর কৃপা পাওয়া যায়। আর তাই বিগত কয়েক বছরে হু-হু করে ধনতেরাসের দিনে ঝাঁটার চাহিদা বেড়েছে।
বিক্রেতারা বলছেন, বিগত দুই-তিন বছরে হঠাৎ করে এই দিনটিতে ঝাঁটার চাহিদা বেড়ে গিয়েছিল। যার আঁচ আগে থেকে তারা করে উঠতে পারেননি। কারণ ধনতেরাস উৎসব পালনে খুব বেশি জাঁকজমক আগে সেই অর্থে বাংলায় দেখা যায়নি। তাই ক্রেতাদের চাহিদা সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছে তাদের। যে কারণে চলতি বছরে তারা আগে থেকেই প্রচুর পরিমাণে ঝাঁটার স্টক রেখেছেন।
জেলার বিভিন্ন বাজারের দোকানগুলিতে গিয়ে দেখা গিয়েছে, ঝাঁটার সম্ভার বিপুলভাবে রয়েছে তাদের কাছে। বিভিন্ন ধরনের ঝাঁটা তারা রেখেছেন। আধুনিক শৌখিন ঝাঁটা থেকে শুরু করে পুরনো দিনের নারকেল পাতা দিয়ে তৈরি ঝাঁটা, বা খেজুর পাতা দিয়ে তৈরি ঝাঁটাও রয়েছে তাদের কাছে। ২০ থেকে ২৫ টাকার মধ্যে দাম শুরু হয়ে যাচ্ছে ঝাঁটার। ১৫০ – ২০০ টাকা পর্যন্ত দামের ঝাঁটাও রয়েছে তাদের কাছে। অন্যদিকে ধনতেরাসে ঝাঁটার চাহিদা এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগরদেরও লক্ষ্মীলাভের মুখ দেখিয়েছে।
নয়ন ঘোষ