লাইফস্টাইল Why do you feel sleepy in AC room: এসিতে ঢুকলেই ঘুমে চোখ জুড়িয়ে আসে? দোষ আপনার নয়…! সত্যিটা জানলে শিউরে উঠবেন Gallery October 29, 2024 Bangla Digital Desk প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস করতে করতে যখন অফিসের এসি ঘরে ঢোকেন, ধীরে ধীরে বুজে আসে চোখ। এমনটা অনেকের সঙ্গেই হয়, কী তাই তো? এসির হাওয়ায় কি কিছু মেশানো থাকে? কেন নেমে আসে গোটা রাজ্যের ঘুম? সত্যিটা জানলে চমকে যাবেন। (What Air Conditioning Does to Your Body) ডাক্তার জিলপা শেখ জানান, এসিতে থাকার এক বড় সমস্যা হল শুষ্কতা। এসি চললে সেটি ঘরের আর্দ্রতার মাত্রা কমাতে থাকে। ফলস্বরূপ, আমাদের চোখের আর্দ্রতাও আরও দ্রুত কমতে থাকে। সমস্যা দেখা দেয় ড্রাই আইজের, এরকম হলে চোখ খুলে রাখা মুশকিল হয়। এসিতে আসে আলসেমি। অলসতা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বেশি সময় ব্যয় করা আমাদের অলস করে তোলে, এমনই দেখা গিয়েছে হাভার্ডের এক গবেষণায়। এসিতে থাকলে গায়ের জোরও কমে যায় অনেক সময়। এতে ক্লান্তি আসে, পেশিকোশ বিশ্রাম চায়। এসি চললে ঘরের দরজা জানলা বন্ধ থাকে। ঘরের মধ্যে টাটকা বায়ু সঞ্চালনের অভাব হয়, এতেও ক্লান্তি আসে। ঘুম পায় তখনই। ওয়েব মেডের এক প্রতিবেদনে ডাক্তার জিলপা জানান, এসি ঘরে মিটিং করলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে ঘুম পাওয়া স্বাভাবিক। দোষ আপনার নয়। বদ্ধ ঘরে সবাই মিলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ বাড়ে সেই ঘরে। এর সঙ্গে যোগ হয় এয়ার ফ্রেশনারের মতো যৌগ। সব মিলিয়ে কর্মক্ষমতা হ্রাস পায় মানুষের। অফিস বা সেমিনার রুমে হয়তো খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা চলছে তখন, কিন্তু এসির জন্যই আপনি কিছুতেই সজাগ থাকতে পারেন না। ক্লান্তিতে ছেড়ে দেয় শরীর। এর প্রতিকার কী? জানাচ্ছে এক এসি নির্মাতা সংস্থা। মিটিং হয়ে যাওয়ার পর বা সম্ভব হলে প্রতি ২০ মিনিট অন্তর খুলে রাখতে হবে এসি ঘরের দরজা। এতে আবার অক্সিজেন এবং বাইরের বাতাসে ভরে যাবে সেই ঘর। Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।