Tag Archives: Meeting

Waterlogged Districts Measure: জল জমে দুর্ভোগ! কী ভাবে আটকানো যায় বন্যা? জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠকে মুখ্য সচিব

কলকাতা:  টানা বৃষ্টিতে জেলায় জেলায় রাস্তাঘাট জলমগ্ন। জল ঢুকেছে বাড়িঘরেও। জলমগ্ন রাস্তায় যানজট। দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরাও। একাধিক জেলায় বন্যা পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে দুপুর ২টো থেকে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মুখ্য সচিব।

বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের নিয়ে ভার্চুয়ালি বৈঠক করবেন মুখ্য সচিব।ইতিমধ্যেই জল ছাড়ছে ডিভিসি। পাশাপাশি আরও একাধিক জলাধার থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর সহ একাধিক দফতরকে।

ইতিমধ্যেই ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে জেলাশাসকদের মুখ্যসচিব।জেলায় জেলায় কন্ট্রোল রুম চালু করার নির্দেশ। মহকুমা স্তরেও কন্ট্রোল রুম চালু করতে বলেছে নবান্ন। জেলাশাসকদের সব ছুটি বাতিল করা হয়েছে শনিবার। বদলে ডাকা হল বৈঠক।

আরও পড়ুন- বিমানবন্দরে জলস্রোত! যেন নদীতে দাঁড়িয়ে বিমান, কলকাতা বিমানবন্দরের ভিডিও দেখলে চমকাবেন

বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে নবান্ন সূত্রে। ত্রান সামগ্রী এবং অন্যান্য ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে, জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের। কী পরিস্থিতি হচ্ছে লাগাতার বৃষ্টির জেরে? কোথায় কত জল জমছে? নদীগুলিতে বিপদ সীমার উপর দিয়ে জল বইছে? প্রতিমুহূর্তে রিপোর্ট পাঠাতে হবে নবান্নে। জেলাশাসকদের নির্দেশ মুখ্য সচিবের। বিপর্যয় মোকাবিলা করার নানা উপায় নিয়ে কথা হবে শনিবারের বৈঠকে।

Bangla Video: সরাসরি জনসাধারণের সঙ্গে আলোচনা, সমস্যা সমাধানে বিকল্প পথে পুলিশ

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সামাজিক বিভিন্ন অবক্ষয় রুখতে অভিনব উদ্যোগ নিল ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলা। সরাসরি নাগরিক সমাজের সকল স্তরের মানুষজনকে নিয়ে পুলিশ ও নাগরিক সমাজের মধ্যে সচেতনতা মূলক যৌথ আলোচনাসভা আয়োজিত হল ডায়মন্ডহারবারের রবীন্দ্রভবনে। সেই আলোচনা সভায় যানজট থেকে জমি দখল, বেহাল রাস্তা থেকে নেশার আসর সমস্ত রকম সমস্যা নিয়ে কথা হয়েছে। সঙ্গে সাপে কাটা রোগীদের জন্য সচেতনতামূলক প্রচার চালানোর, বাইক স্ট্যান্ড তৈরির মত নীতিগত সিদ্ধান্ত‌ও নেওয়া হয়েছে।

এই ধরণের উদ্যোগ গ্রহণ করায় খুশি আমজনতা। এই সভায় ডায়মন্ডহারবারের প্রাক্তন ও বর্তমান বিধায়ক, পুরপ্রধান, মহাকুমাশাসক, বিডিও সহ একাধিক প্রশাসনিক কর্তা উপস্থিত ছিলেন। এই সভায় উঠে আসা প্রায় সব প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে। পুরসভা বা ব্লকের অধীনে যে সমস্ত সমস্যা উঠে এসেছে সেটা বিভাগীয় দফতরের আধিকারিকদের নথিভুক্ত করতে ও সমাধানের ব্যবস্থা নিতে বলেন।

আরও পড়ুন: লোকো পাইলটদের মানসিক চাপ কমাতে বিরাট আয়োজন রেলের! ‌যা ‌যা থাকছে জানুন

এই নিয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে জানান, আগামী দিনে প্রশাসন বিভিন্নভাবে পদক্ষেপ করবে। সাধারণ ও বিভিন্ন স্তরের নাগরিকদের সহমতের ভিত্তিতে তাই এগোনোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ধরণের যৌথ আলোচনা সভা হওয়ায় পুলিশ ও প্রশাসন সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা সহজেই বুঝতে পারছে। সেই সঙ্গে সাধারণ মানুষ সমস্যার কথা জানাতে পারছে সহজেই। ফলে খুশি তারাও।

নবাব মল্লিক

Gate Meeting: তিন মাস ধরে বেতন হয়নি, প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই গেট মিটিং চা শ্রমিকদের

আলিপুরদুয়ার: কাজ চলছে নিয়মমাফিক, কিন্তু বেতন মিলছে না। যার জন্য উদাস্ত পরিশ্রম করেন চা শ্রমিকরা সেই বেতনই অধরা হয়ে পড়েছে। আর তাই বাধ্য হয়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় গেট মিটিং করলেন মধু চা বাগানের শ্রমিকরা।

কারও তিনমাস, আবার কারোর তিনমাসেরও বেশি সময় ধরে বেতন বকেয়া রয়েছে। ফলে সংসার চালাতে প্রবল সমস্যায় পড়ছেন গরিব চা শ্রমিকরা। এই পরিস্থিতিতে শীঘ্রই বেতন প্রদানের দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য গেট মিটিংয়ে সামিল হলেন আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের মধু চা বাগানের শ্রমিক ও কর্মীরা। শীঘ্র বকেয়া বেতন না মিললে আন্দোলনে সামিল হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন: গাছকে করুন পোষ্য! একযোগে সচেতন বার্তায় বন দফতর থেকে পুলিশ

মঙ্গলবার শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকে মধু চা বাগানের কার্যালয়ের সামনে গেট মিটিং আয়োজিত হয়। এদিন মুষলধারে বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় গেট মিটিংয়ে সামিল হন কয়েকশো শ্রমিক ও সাব-স্টাফ সহ অন্যান্য কর্মীরা। বেতন না পেয়ে বিপাকে পড়া শ্রমিকরা জানান, প্রায় তিন মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না। একই অবস্থা মধু চা বাগানের সাব- স্টাফ সহ অন্যান্য কর্মীদের। যতক্ষণ না বেতন মেটানো হবে ততক্ষণ গেট মিটিং চলবে বলে তাঁরা জানান।

অনন্যা দে

Arbitration Meeting: সালিশি সভায় ডেকে যা হল, কী ভয়ঙ্কর…

দক্ষিণ ২৪পরগনা: পারিবারিক অশান্তি মেটানোর জন্য গ্রামে ডাকা হয়েছিল সালিশি সভা। কিন্তু সেখানে ডেকে এনে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় দুই পক্ষের মোট ১১ জন আহত হয়েছেন। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি গোপালগঞ্জ পঞ্চায়েত এলাকার।

অভিযোগ, সালিশি সভায় ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। ১১ জন আহতের মধ্যে মহিলারাও আছেন। ৭ জনের গুরুতর আহত হন। তাদের কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সকাল থেকে দুই ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক অশান্তি চলছিল। বিবাদে মেটাতে শুক্রবার সন্ধেয় বাড়িতে সালিশিসভা ডাকে ভাই। সেখানে যেতেই ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় দাদা ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর। গ্রামবাসীরাই আহতদের উদ্ধার করে জামলতলা হাসপতালে নিয়ে যান। আহতদের মধ্যে দু’জনের অবস্থার অবনতি হলে তাঁদেরকে কলকাতায় পাঠানো হয়।

আর‌ও পড়ুন: তীব্র গরমে বন্যপ্রাণীদের প্রাণ ওষ্ঠাগত, জঙ্গলে বাড়ল কৃত্রিম জলাশয়

ঘটনাটি ঘটেছে গোপালগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর গরানকাটি এলাকায়। অভিযোগ আরমান মল্লিকের সঙ্গে আমিনুদ্দিন মল্লিকের পারিবারিক গন্ডগোল হয়, সেখান থেকেই এই ঘটনার সূত্রপাত। দুই পক্ষই কুলতলি থানায় অভিযোগ দায়ের করে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সুমন সাহা

World Water Day 2024: ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে গলা, বিশ্ব জল দিবসে সঙ্কট নিয়ে গভীর আলোচনা

বাঁকুড়া: ২২ মার্চ বিশ্ব জল দিবস। পৃথিবী তিন ভাগ জল, মাত্র এক ভাগ স্থল। তবুও দিনে দিনে পানীয় জলের সঙ্কট তীব্র হয়ে উঠছে। এখনও গরম পড়েনি, এরই মধ্যে বেঙ্গালুরু বা আমাদের রাজ্যের বিভিন্ন প্রত্যন্ত গ্রামে পানীয় জলের হাহাকার শুরু হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বাঁকুড়ায় বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে পালিত হল বিশ্ব জল দিবস।

জল শব্দটা যেন বাঁকুড়া-পুরুলিয়ার সবচেয়ে বড় সঙ্কটগুলির একটিতে পরিণত হয়েছে। তপ্ত গ্রীষ্মে এই সঙ্কট আরও প্রকট হয় বাঁকুড়ায়। তবে করণীয় কী? সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতেই বিশ্ব জল দিবসের দিন বাঁকুড়া সম্মিলনী কলেজের রসায়ন বিভাগের তরফে একটি আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়।

আরও পড়ুন: ওদের জন্য এবার আদিবাসীরাও ভোট দেবে

গবেষণায় দেখা গেছে আমরা যে বোতলের জল পান করছি তার মধ্যেও বিষাক্ত মাইক্রো প্লাস্টিক আছে। এছাড়াও ফ্লুরাইড, আর্সেনিক, মার্কারি জল দূষণের ক্ষেত্রে যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। এই বিষয়গুলি বিশেষভাবে উঠে আসে আলোচনা সভায়। পাশাপাশি স্থানীয় এলাকা অর্থাৎ বাঁকুড়ার জনসঙ্কটের সমস্যা নিরূপণে কী করা যেতে পারে সেটা নিয়েও আলোচনা হয়।

রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক সুশোভন ভৌমিক বলেন, সকালে গিয়ে দেখলাম নদী শুকিয়ে মরুভূমির মত হয়ে গিয়েছে। নালা দিয়ে যে জল যাচ্ছে সেটা কালো হয়ে গেছে। গ্রীষ্ম পড়লেই দেখা যায় কলের সামনে ৫০-৬০ জন মহিলা বসে আছেন লাইন দিয়ে। অর্থাৎ সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকতে জলের ভূমিকা বিরাট।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

গ্রীষ্মের দাবদাহে পাম্প ব্যাবহার করেও জল পাওয়া যায় না বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায়। ১০ থেকে ২০ ফুট দূরত্বের মধ্যে দুটি আলাদা পাম্পের চরিত্র ভিন্ন ভিন্ন কাজ করে। ভৌম জলস্তর পৌঁছে যায় অনেকটা নিচে। এই সকল সমস্যার সমাধান একদিনে সম্ভব না হলেও বিশ্ব জল দিবসকে উপলক্ষ করে এই বিষয়গুলি গুরুত্ব দিয়ে এদিন আলোচনা করা হয়।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী