হুগলি: দীপাবলি আসলেই চাহিদা বাড়ে মাটির প্রদীপের। সেই মাটির প্রদীপ বানিয়ে সংসারের হাল ধরতে বাবার পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ক্লাস এইটের এক ছাত্রী।
নিজের হাতে প্রদীপ রঙ করে বিক্রি করছেন বাজারে। যাতে বাবার একটু সংসার চালাতে সাহায্য হয়। অন্যদিকে, মেয়ের হাতের ছোঁয়া পেয়েবাবার তৈরি মাটির প্রদীপ পেয়েছে আধুনিকতার মোড়ক।
আরও পড়ুন- এক পাতাতেই ঠান্ডা ইউরিক অ্যাসিড! হাড়ের খাঁজ থেকে টেনে বের করবে যন্ত্রণা
দীপাবলির আগে চাহিদা বাড়ছে নকশা প্রদীপের। গোঘাটের প্রত্যন্ত গ্রাম খানাটি। সেখানেই বাবা বিদ্যুৎ পালের ছোট্ট চালার দোকানে মাটির প্রদীপে রংবেরঙের নকশা ফুটিয়ে তুলছে অষ্টম শ্রেণি পাঠরতা মেয়ে অপর্ণা।
এক চিলতে মাটির বাড়ি। তার সামনেই ছোট চালার মধ্যে বাবার দোকান। ছোট্ট অপর্ণার দাবি, বাবা অনেক কষ্ট করে লেখাপড়া ও আঁকা শেখাচ্ছে। তাই বাবার ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে গত কয়েক বছর ধরেই নানা নকশার মাধ্যমে মাটির প্রদীপ ক্রেতাদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে মেয়ে।পড়াশোনার ফাঁকেই সে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
তাঁর কাজ ক্রেতাদের কাছেও প্রশংসা পেয়েছে। ১ টাকা থেকে ৫০ টাকা দামের মাটির প্রদীপ রয়েছে এখানে। শুধু প্রদীপ নয়, পুজোর থালা, ধুনোচূড় সহ অন্যান্য পুজোর উপকরণও রয়েছে। সবেতেই নানা রং নকশা ফুটিয়ে তুলেছে অপর্ণা। দীপাবলির আগে চাহিদা বেড়েছে এই নকশা প্রদীপের।
এই বিষয়ে বাবা বিদুৎ পাল বলেন, তোর মেয়ে একেবারে লক্ষী। তিনি সারাদিনব্যাপী ঠাকুর তৈরি করেন, একই সঙ্গে দীপাবলীর আগে মাটির প্রদীপ তৈরি ও নানান রকমারি মাটির থালাও সামগ্রী তৈরি করেন।
আরও পড়ুন- শীতকালে নরম-তুলতুলে-গোলাপী ঠোঁট চান? দামি কসমেটিক্স নয়, রইল সস্তা-সহজ ঘরোয়া উপায়
সেগুলি শুধুই বাজারে বিক্রি করলে সেভাবে মানুষের চাহিদা থাকে না। অন্যদিকে তার মেয়ে যখন সেগুলিতে সুন্দর করে রঙ করে নকশা করে দেয় তখন তার ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।
এই থেকেই শুরু তার মেয়ের কাজ। দীর্ঘ তিন চার বছর যাবত তার মেয়ে এভাবেই কাজে সাহায্য করে আসছে তাকে।
রাহী হালদার