Tag Archives: Kali Puja

Shakuntala Kali Puja: কীভাবে শুরু হয়েছিল জাগ্রত শকুন্তলা কালীমায়ের পুজো? জানুন সেই প্রাচীন ইতিহাস! 

কোন্নগর তথা হুগলি জেলার অন্যতম একটি ঐতিহ্যপূর্ণ রক্ষা কালীপূজো শ্রী শ্রী শকুন্তলা কালীমাতার পূজা। ১৩৫ বছরের এই পুজোকে ঘিরে জেলা ও জেলার বাইরের বহু মানুষের সমাগম হতে দেখা যায়। প্রতি বছর বাংলার বৈশাখমাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শনিবার এই পূজার আয়োজন করা হয়।
কোন্নগর তথা হুগলি জেলার অন্যতম একটি ঐতিহ্যপূর্ণ রক্ষা কালীপূজো শ্রী শ্রী শকুন্তলা কালীমাতার পূজা। ১৩৫ বছরের এই পুজোকে ঘিরে জেলা ও জেলার বাইরের বহু মানুষের সমাগম হতে দেখা যায়। প্রতি বছর বাংলার বৈশাখমাসের কৃষ্ণপক্ষের দ্বিতীয় অথবা তৃতীয় শনিবার এই পূজার আয়োজন করা হয়।
পুজো উপলক্ষে একদিন আগে থেকেই ভক্তদের সমাগম শুরু হয়ে যায়। রাতভর চলে ভক্তদের গঙ্গাস্নানের পর দণ্ডী কাটা ও জল ঢালার পালা। এক দিনের সারা রাতের পুজোর মধ্যে দিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন মানুষজন
পুজো উপলক্ষে পূজার একদিন আগে থেকেই ভক্তদের সমাগম হাতে রাখা যায়। রাতভর চলে ভক্তদের গঙ্গাস্নানের পর দণ্ডী কাটা ও জল ঢালার পালা। এক দিনের সারা রাতের পুজোর মধ্যে দিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন মানুষজন
প্রায় এক শতক আগে কোন্নগর তথা তৎকালীন নাম কনেনগরের এক পূজারী ইন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তিনি দেবীর স্বপ্ন দেশ পান। এমনটাও কথিত ইতিহাস রয়েছে পূজারী ইন্দ্রনাথ পুজো করে বাড়ি ফিরবার সময় এক রাতে তিনি দেখতে পান সাদা কাপড় পড়ে খোলা চুলে কোন এক রমণী রাতের অন্ধকারে হেঁটে আসছিলেন। তাকে অনুসরণ করে পূজারী আসতেই দেখতে পান সুন্দরী রমণী এক ভাগাড়ের মধ্যে থাকা অশ্বত্থ গাছের নিচে এসে বিলীন হয়ে গেলেন।
প্রায় এক শতক আগে কোন্নগর তথা তৎকালীন নাম কনেনগরের এক পূজারী ইন্দ্রনাথ চক্রবর্তী তিনি দেবীর স্বপ্ন দেশ পান। এমনটাও কথিত ইতিহাস রয়েছে পূজারী ইন্দ্রনাথ পুজো করে বাড়ি ফিরবার সময় এক রাতে তিনি দেখতে পান সাদা কাপড় পড়ে খোলা চুলে কোন এক রমণী রাতের অন্ধকারে হেঁটে আসছিলেন। তাকে অনুসরণ করে পূজারী আসতেই দেখতে পান সুন্দরী রমণী এক ভাগাড়ের মধ্যে থাকা অশ্বত্থ গাছের নিচে এসে বিলীন হয়ে গেলেন।
ঐদিন রাতেই ওই পূজারীকে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন ভাগাড়ের সেই অশ্বত্থ গাছের নিচে যেখানে শকুনের বাসা রয়েছে তার তলায় দেবীর ঘট স্থাপন করে পুজো করার জন্য। এবং দেবীর কাছে কেউ যদি খোলা মনে কোন প্রার্থনা করেন দেবী তা পূর্ণ করবেন। সেই থেকেই শুরু হয় দেবী শকুন্তলার মাতার পুজো।
ঐদিন রাতেই ওই পূজারীকে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন ভাগাড়ের সেই অশ্বত্থ গাছের নিচে যেখানে শকুনের বাসা রয়েছে তার তলায় দেবীর ঘট স্থাপন করে পুজো করার জন্য। এবং দেবীর কাছে কেউ যদি খোলা মনে কোন প্রার্থনা করেন দেবী তা পূর্ণ করবেন। সেই থেকেই শুরু হয় দেবী শকুন্তলার মাতার পুজো।
অশ্বত্থ গাছের শকুনের বাসার নিচে হোগলা পাতা তালপাতার মণ্ডপ সাজিয়ে শুরু হয় দেবীর আরাধনা। ভাগাড়ের মধ্যে শকুনের বাসার নিচে দেবী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন স্বপ্নাদেশ দিয়ে। সেই থেকেই ঠাকুরের নাম হয় শকুন্তলা কালী। পুজো শুরু হবার সময় থেকেই দেবীর প্রতিমা গড়ে আসছেন কোন্নগর হুগলির মৃৎ শিল্পী পাল পরিবার।
অশ্বত্থ গাছের শকুনের বাসার নিচে হোগলা পাতা তালপাতার মণ্ডপ সাজিয়ে শুরু হয় দেবীর আরাধনা। ভাগাড়ের মধ্যে শকুনের বাসার নিচে দেবী প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলেন স্বপ্নাদেশ দিয়ে। সেই থেকেই ঠাকুরের নাম হয় শকুন্তলা কালী। পুজো শুরু হবার সময় থেকেই দেবীর প্রতিমা গড়ে আসছেন কোন্নগর হুগলির মৃৎ শিল্পী পাল পরিবার।
পাঁচ প্রজন্ম পেরিয়ে বর্তমানে বাদল পাল তৈরি করেন দেবীর মূর্তি। ১৩৪ বছরের এই পুজো দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পুজোর একাধিক বৈশিষ্ট্যর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ছাগ বলি। এক সময় হাজারে হাজারে ছাগল বলি হতো। তবে বর্তমানে সীমিত সংখ্যায় বলি হয় দেবীর কাছে।
পাঁচ প্রজন্ম পেরিয়ে বর্তমানে বাদল পাল তৈরি করেন দেবীর মূর্তি। ১৩৪ বছরের এই পুজো দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। এই পুজোর একাধিক বৈশিষ্ট্যর মধ্যে অন্যতম একটি হলো ছাগ বলি। এক সময় হাজারে হাজারে ছাগল বলি হতো। তবে বর্তমানে সীমিত সংখ্যায় বলি হয় দেবীর কাছে।
পুজো উপলক্ষে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটে ওই এলাকায়। লক্ষাধিক মানুষ সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের নিরাপত্তা থাকে নিশ্চিদ্র। গোটা এলাকার সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিপর্যয় মোকাবিলা দল স্বেচ্ছাসেবী সদস্য ও পুলিশের তৎপরতায় যে কোনো রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে মেডিকেল টিম এম্বুলেন্স ও একাধিক পরিষেবা রাখা রয়েছে ভক্তদের সুরক্ষার তাগিদে।
পুজো উপলক্ষে লক্ষাদিক মানুষের সমাগম ঘটে ওই এলাকায়। লক্ষাধিক মানুষ সামাল দেওয়ার জন্য পুলিশ ও প্রশাসনের নিরাপত্তা থাকে নিশ্চিদ্র। গোটা এলাকার সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ইতিমধ্যেই। বিপর্যয় মোকাবিলা দল স্বেচ্ছাসেবী সদস্য ও পুলিশের তৎপরতায় যে কোনো রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রস্তুত। একই সঙ্গে মেডিকেল টিম এম্বুলেন্স ও একাধিক পরিষেবা রাখা রয়েছে ভক্তদের সুরক্ষার তাগিদে।
এই বিষয়ে পুজোর সম্পাদক পাঁচু গোপাল ঘরাই তিনি বলেন, লক্ষাধিক আরো বেশি ভক্তের সমাগম হবে পুজোর দিনেই। সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে কাঁধে করে দেবীকে নিয়ে আসা হবে তার বেদীতে। আবারো সূর্য ওঠার আগেই শকুন্তলা রক্ষা কালী মায়ের বিসর্জন হয়। তারপরে পূজো উপলক্ষে মেলা বসে। সাত দিনব্যাপী এই মেলায় তৈরি হয় এক মিলনমেলার প্রাঙ্গণে।
এই বিষয়ে পুজোর সম্পাদক পাঁচু গোপাল ঘরাই তিনি বলেন, লক্ষাধিক আরো বেশি ভক্তের সমাগম হবে পুজোর দিনেই। সূর্য অস্ত যাওয়ার পরে কাঁধে করে দেবীকে নিয়ে আসা হবে তার বেদীতে। আবারো সূর্য ওঠার আগেই শকুন্তলা রক্ষা কালী মায়ের বিসর্জন হয়। তারপরে পূজো উপলক্ষে মেলা বসে। সাত দিনব্যাপী এই মেলায় তৈরি হয় এক মিলনমেলার প্রাঙ্গণে।

Hazari Kali Mela: গৌড়েশ্বর নদীর তীরে হাজারি কালী মেলার ইতিহাস জানুন

উত্তর ২৪ পরগনা: সুন্দরবনের গৌড়েশ্বর নদীর তীরে শুরু হল হাজারি কালী মেলা। এ যেন মুক্তকেশীকালীর মেলা। শাড়ি দিয়ে পূজিতা হয়েছেন মা কালী। হিঙ্গলগঞ্জের খেজুরবেরিয়া গ্রামের দৃশ্য এটি।

উপকূলবর্তী খেজুরবেরিয়া গ্রামের গৌড়েশ্বর নদীর তীরে বহুদিন ধরে হয়ে আসছে শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী হাজারী কালীর মেলা। চলতি বছর এই হাজারি কালী মেলা ১১৯ বর্ষে পদার্পণ করল। এই মন্দিরের বিশেষত্ব হল, প্রতিবছর চৈত্র মাসের সংক্রান্তিতে মহা ধুমধাম করে হাজার হাজার ভক্ত সমাগমের মধ্য দিয়ে কালীপুজো হয়। কথিত আছে, গ্রামের সন্ন্যাসী মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তবে এই মন্দিরের নাম হাজারি কালি মন্দির কেন তা এলাকার মানুষের কাছে অজানা।

আর‌ও পড়ুন: নতুন বছরের শুরুতেই একের পর এক দোকানে আগুন, পুড়ে ছাই সবকিছু…

বহু ভক্ত তারা মানত করেন এবং মানত শোধ করার উদ্দেশ্যে শত শত প্রতিমা নিয়ে জড়ো হন মন্দির চত্বরে। একসময় বাংলাদেশ থেকেও কালী ভক্তরা এখানে পুজো দিতে আসতেন। এই মন্দিরকে ঘিরে রয়েছে নানা অলৌকিক কাহিনী। বিপদে পড়ে কেউ মায়ের কাছে এলে তিনি বিপদ থেকে উদ্ধার হবেনই, এমনই ধারণা আছে মানুষের মধ্যে।

জুলফিকার মোল্লা

Raksha-Kali Puja: অন্ধকারে হয় বিসর্জন! ফিরে তাকায় না কেউ! রক্ষাকালীর কাহিনি অবাক করবে!

পূর্ব বর্ধমান: পুজো হয় সাড়ম্বরে, তবে লোকচক্ষুর আড়ালে আলো ছাড়াই হয় প্রতিমার বিসর্জন। কৌশিকী অমাবস্যায় নয়, চৈত্র মাসের এই অমাবস্যায় উৎসবের আমেজ এই গ্রাম জুড়ে। মঙ্গলবার রক্ষকালী পুজোকে কেন্দ্র করে সেজে উঠল গোটা গ্রাম।কয়েক শতাব্দী ধরে নিজস্ব নিয়ম রীতি মেনে দেবী রক্ষকালীর আরাধনা হয়ে আসছে পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামে। পুজোর রয়েছে এক আলাদা বৈশিষ্ট্যও।

পূর্ব বর্ধমান জেলার একটি গ্রাম দেওয়াশীন। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া ২ ব্লকের অন্তর্গত এই গ্রাম জুড়ে বর্তমানে উৎসবের আমেজ। মঙ্গলবার রক্ষাকালী পুজো উপলক্ষে সেজে ওঠে গোটা দেওয়াশীন গ্রাম। পূর্ব বর্ধমানের এই গ্রামের প্রধান উৎসবই হল এই রক্ষাকালী পুজো।

চৈত্র মাসের অমাবস্যা তিথিতে হয় এই পুজোটি। গ্রামবাসীদের পাশে নিয়ে, বর্তমানে এই পুজো পরিচালনা করে দেওয়াশীন অগ্রগামী ক্লাব। গ্রামের এই পুজো প্রসঙ্গে স্থানীয় এক ব্যক্তি সুশীল ব্যানার্জি জানান, “এটাই তাঁদের প্রধান পুজো । এই কটা দিন তাঁরা আনন্দের সঙ্গে কাটান। পুজোর আগে থেকে পুজো শেষ হওয়া পর্যন্ত থাকে চরম ব্যস্ততা। পুজো দেখার জন্য দূর দূরান্ত থেকে ভিড় জমান বহু মানুষ। “

আরও পড়ুন: লাল না হলুদ তরমুজ খাবেন? ক্যানসারের যম এই ফল! জানুন

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে এক সময় নাকি ঘন জঙ্গলে ঢাকা ছিল এই এলাকা। সেই সময় জৈনক সাধকের হাত ধরে এই পুজোর সূচনা হয়। পরবর্তীকালে সেই পুজোই হয়ে ওঠে গোটা গ্রামের অন্যতম প্রধান উৎসব। পূর্ব বর্ধমান জেলার দেওয়াশীন গ্রামের এই রক্ষাকালী পুজোকে ঘিরে আলোর মালায় সেজে ওঠে গ্রামের একাংশ। রকমারি জিনিসের পসরা সাজিয়ে বসে ব্যবসায়ীরা। সন্ধ্যে হতেই শুরু হয় ভক্ত তথা স্থানীয় মানুষদের আনাগোনা।

আরও পড়ুন: যা চাইবেন তাই পাবেন! সুতোয় বেঁধে দিন হাতি-ঘোড়া! এই মন্দিরে ছুটছে বহু মানুষ

দেওয়াশীনের এই রক্ষাকালী পুজোর রয়েছে এক বিশেষ বৈশিষ্ট্য। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে সাড়ম্বরে দেবীর পুজো হলেও, দেবী রক্ষাকালীর বিসর্জন হয় লোক চক্ষুর আড়ালে, আলো ছাড়াই।এই প্রসঙ্গে স্থানীয় ব্যক্তিরা আরও জানান, “কোনও রকম বৈদ্যুতিক আলো, মশাল, লাইট ছাড়াই অন্ধকারে দেবী প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। এছাড়াও দেবী প্রতিমা পুকুরে বিসর্জন করার পর আর কেউ ঘুরে তাকায় না পুকুরের দিকে। এটাই নাকি পুজোর রীতি, যা পূর্ব পুরুষের আমল থেকে চলে আসছে।”

তবে প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গেলেও, রক্ষাকালী পুজোকে ঘিরে যে মেলা বসে, তা থাকে তিন থেকে চারদিন। কেবল মেলাই নয়, কালী পুজোকে ঘিরে বসে যাত্রার আসর। সব মিলিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের পরেও বর্তমানে উৎসবের রেশ গোটা গ্রাম জুড়ে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Kali Puja: চৈত্রের অমাবস্যায় জমজমাট কালীপুজো, দেখতে হলে আসতে হবে এখানে

দক্ষিণ ২৪ পরগনার: চৈত্রের এই অমাবস্যায় কালীপুজোয় মেতে উঠলেন বহরুর এই গ্রামের বাসিন্দারা। এই পুজোকে ঘিরে গ্রামের বাসিন্দাদের উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রতিবছরের মত এই বছরও বহরু পল্লীমঙ্গল সমিতির পরিচালনায় মল্লবপুর গ্রামের ক্লাব ময়দানে মাতৃ আরাধনার আয়োজন করা হয়।

এই বছর এই পুজো ১৬ তম বর্ষে পদার্পণ করল। রক্ষাকালী পুজোর আতশবাজি থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় পা মেলালেন হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মানুষ। এই পুজোকে ঘিরে মল্লভপুর গ্রামে ছিল উৎসবের আমেজ। এই পুজোকে ঘিরে এলাকায় বিশাল মেলা বসেছে। ক্লাব সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিন ব্যাপী এই অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন জয়নগরের বিধায়ক। বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে রক্ষাকালী মাকে মণ্ডপে আনা হয়।

আর‌ও পড়ুন: বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড! কৃষক পরিবারের ফসল বিক্রি ও ঋণ নেওয়া টাকা সহ সবকিছু পুড়ে ছাই

এই শোভাযাত্রা দেখতে রাস্তার দু’ধারে এলাকাবাসীদের ভিড় উপচে পড়ে। দূর দূরান্ত থেকে আসেন বহু ধর্মপ্রাণ মানুষ। গ্রামের বাসিন্দারা নিষ্ঠার সঙ্গে এই পুজোর আয়োজন করেন। তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করতে দন্ডি কাটা থেকে ধুনো পোড়ানো সবই ছিল। এখানকার পুজোর অন্যতম রীতি হল, মায়ের আসার আগের এক সপ্তাহ পূর্বে মল্লভপুর কালীবাড়িতে গিয়ে মাকে আমন্ত্রণ জানিয়ে আসা।

সুমন সাহা

500 Years Old Chaitra Kali Puja: ৫০০ বছরের প্রাচীন এই পুজো শুরুর আগে ওড়ানো হয় নিশান

নদিয়া: হরিপুর দাসপাড়ার চৈত্র কালীপুজোর ইতিহাস অতি প্রাচীন। আনুমানিক ৫০০ বছরেরও বেশি। এটি শান্তিপুরের সবথেকে প্রাচীনতম পুজোগুলোর মধ্যে একটি। এই পুজোর রয়েছে বেশ কিছু বিশেষত্ব। পুজোর এক মাস আগে মা কালীর নামে করা হয় বিশেষ পালনি। পাড়ার যত মহিলা আছেন তাঁরা যে যেখানেই থাকুক না কেন ওই সময় এখানে এসে উপোস করেন। এরপরে চিরে, খই, মুড়ি খেয়ে উপোবাস ভাঙেন। মন্দিরের পাশেই বাঁশের মাথায় লাল কাপড় দিয়ে একটি নিশান পোঁতা হয়। সেই নিশানটি একমাস রেখে দেওয়া হয়। পুজোর শেষে যখন প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয় সেই সময় ওই নিশানটি খোলা হয়।

আর‌ও পড়ুন: কুমোরের চাকা ছাড়াই বাড়িতে সহজে তৈরি করুন মালসা, হবে উপরি রোজগার

এই অতি প্রাচীন কালীপুজোর অন্যতম ঐতিহ্য হল অধিবাস। প্রত্যেক বছরে চৈত্র মাসে করা হয় এই চৈত্র কালীপুজো। তার আগে সোমবারে হয় অধিবাস। সেই অধিবাস নিয়ে পরিক্রমা করা হয় সারা হরিপুর এলাকা জুড়ে। অধিবাসের কুলোটি দেওয়া হয় একটি অবিবাহিত মেয়ের মাথায়।

এখানে মা কালীর পুজোর আগে করা হয় মনসা পুজো। মনসা পুজো সম্পন্ন হলে রাত বারোটা থেকে শুরু হয় কালীপুজো। চলে একেবারে ভোর পর্যন্ত। মন্দিরটি অনেক প্রাচীন হওয়ার কারণে সেটিকে নতুনভাবে তৈরি করা হয়েছে। সারা হরিপুর অঞ্চলজুড়ে এই পুজো নিয়ে থাকে মানুষের মধ্যে ভক্তি এবং উচ্ছ্বাস। দূর দূরান্ত থেকে বহু মানুষ পুজো দিতে আসেন এই মন্দিরে।

মৈনাক দেবনাথ

Murshidabad News: প্রসাদ খাওয়া হয় গ্রামের বাগানে, জানুন ২৭০ বছরের প্রাচীন কালীপুজো নিয়ে

কৌশিক অধিকারী, মুর্শিদাবাদ: রঘুনাথগঞ্জের নিস্তার গ্রামে কালীপুজো বহু প্রাচীন। ২৭০ বছরের প্রাচীন এই কালীপুজো। যা তারা মায়ের কূপ কালী রূপ নামেই পরিচিত। তবে এই পুজোর যে প্রসাদ দেওয়া হয় ভক্তদের, তা মন্দির চত্বরে ও বাগানে বসেই খেতে হয়। প্রসাদ বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়না। জানা যায়, ২৭০ বছর আগে গ্রামের মন্দিরের পাশেই পুকুরের ভেতরে কুয়ো আছে। সেখান থেকেই মা কালী উঠেছিলেন। আর সেই কারণেই নাম কূপ কালী।

তার পর থেকে এই গ্রামে কালীপুজো হয় এবং পুকুরে নিরঞ্জন হয়। পুজো দেওয়ার পরে যে ভোগ নিবেদন করা হয় তা সবটাই এখানে রান্না করে প্রসাদ গ্রহণ করতে হয়। কোনও প্রসাদ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হয় না। ফাঁকা হাতে বাড়ি যেতে হয়।

আরও পড়ুন : বাসি ভাতেই কমবে ব্লাড সুগার! একদিন আগে রাঁধা ভাত খান এভাবে! ডায়াবেটিস আপনার বশে

পুজোর পরদিন বাগানে রান্না করে চলে খাওয়া দাওয়া। রান্না করতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। আর মন্দিরকে ঘিরে বসে বিরাট মেলা। রঘুনাথগঞ্জের নিস্তা গ্রামেও প্রতি বছর সেই মেলা দেখতে ভিড় জমান জেলার নানা প্রান্ত থেকে আসা মানুষজন। নিস্তা গ্রামের কূপকালী পুজোও রয়েছে প্রাচীন মত। কূপকালীর প্রতিষ্ঠা নিয়ে দুই রকম মত চালু রয়েছে। দর্শনার্থীরা জানান, বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরে।

পুজো চলে সারারাত। পরের দিন দুপুরে প্রসাদ বিতরণ করা হয়, প্রসাদ নিয়ে গ্রামের বাগানে খাওয়া চলে। এমনকী রান্না করেও খাওয়ার প্রচলিত রীতি আছে। দুপুরে অন্ন খেয়ে এবং প্রসাদ গ্রহণ করেই তবেই বাড়ি ফিরে যাওয়া হয়। এটাই পুজোর অন্যতম বিশেষ বৈশিষ্ট্য।

Local News: পাঁতিয়াল গ্রামের মণ্ডলাকালী ভক্তের কোনও বাসনা অপূর্ণ রাখেন না

হাওড়া: পাঁতিহাল গ্ৰামে আজ‌ও বহু ভক্তের ঢল নামে মণ্ডলাকালীর পুজোর জন্য। ভক্তদের বিশ্বাস মা সদা জাগ্রত। দেবীর কাছে কোন‌ও মনস্কামনা জানালে তা পূরণ হয় বলে যুগের পর যুগ ধরে প্রচলিত হয়ে আসছে। তবে এই পুজোর সূচনা ঠিক কবে তা জানা যায়নি।

আরও পড়ুন: মন্দিরে কীর্তন শুনতে গিয়ে যা ঘটল! সাবধান হন আপনিও

অনেকে অনুমান করেন, অন্তত সাড়ে তিনশো বছর আগে পাঁতিহাল গ্রামের মণ্ডলাকালীর পুজো শুরু হয়েছিল। গ্রামের বর্ধিষ্ণু ঘোষাল পরিবারে মা পূজিত হতেন। পরে কাঁলাচাদ রায়কে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন, মণ্ডলা নামক স্থানে দিঘির (বর্তমানে যেটি মণ্ডলা পুকুর) পাশে তাঁকে প্রতিষ্ঠা করতে। সেই মত কাঁলাচাদ রায় ঘোষাল পরিবারের দ্বিতীয় পুরুষ গৃহীসাধক রামশরণ ঘোষালের সহযোগিতায় পঞ্চমুণ্ডের বেদীতে জৈষ্ঠ্য মাসের ফলহারিনী অমাবস্যায় কালী পুজো শুরু করেন। মায়ের পুজোর প্রচলন নিয়ে বহু জনশ্রুতি লোকমুখে প্রচলিত। প্রথমদিকে মাটির দেওয়ালে হোগলা পাতার ছাউনি দিয়ে ছিল মায়ের মন্দির। ১৩২২ বঙ্গাব্দে বেচারাম রায় মহাশয় মায়ের মন্দির নির্মাণ করেন। এই মন্দিরের গঠনশৈলী দালান আকৃতির, মন্দিরের সামনে প্রশস্ত নাটমন্দির।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

পুজোর দিন ভোর থেকে মণ্ডলা ঘাটে উপচে পড়ে ভক্তদের ভিড়। বহু পুণ্যার্থী মায়ের পুকুরে স্নান করেন। বহু ভক্ত সূদুর গঙ্গা থেকে গঙ্গাজল নিয়ে আসেন। পুজোর দিন দুপুরে শোভাযাত্রা সহকারে মৃন্ময়ী মূর্তি আসে মাথায় চড়ে। এখানে কোন‌ও গাড়িতে দেবীকে তোলার নিয়ম নেই। মাতৃ মূর্তি আসে বালিয়া গ্রাম থেকে। মাথায় করে মূর্তি নিয়ে আসা হয়। তারপর নিয়ম রীতি মেনে পুজো শুরু হয়। ভোরবেলায় সূর্যদয়ের আগে দেবীর মঙ্গলঘট নিরঞ্জন করা হয়। মণ্ডলাকালীর মৃন্ময়ী মূর্তি অম্বুবাচী নিবৃত্তির এক সপ্তাহ পরে যে শনিবার আসে সেদিন বিকালে নিরঞ্জন দেওয়া হয়। মা মণ্ডলাকে নিয়ে ছড়িয়ে আছে নানা কিংবদন্তি। আজ থেকে বহু বছর পূর্বে মায়ের ঘাট থেকে একটি বড়ো খড়্গ পাওয়া গিয়েছিল। পুজোর সময় সেই খড়্গ মন্দিরে আনা হয়।

রাকেশ মাইতি

Old Tradition: গাছে পাথর বাঁধলে ‘পূরণ হয় মনস্কামনা’-এই বিশ্বাসে জঙ্গল পেরিয়ে আজও মানুষের ঢল এই মন্দিরে

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি  : বইছে ফাগুনের হাওয়া। রঙিন আমেজের মাঝেই অক্ষুণ্ণ রয়েছে উত্তরের লোকাচার, রীতিনীতি। উত্তরের পাহাড়, জঙ্গল, নদী ঘেরা জলপাইগুড়ি জেলার আনাচে কানাচে আজও বহমান রয়েছে স্থানীয় লোকাচার এবং স্থানীয় দেবদেবীর পুজো অর্চনার ধারাবাহিকতা। তারই অন্যতম বৈকুণ্ঠপুর বনাঞ্চল ঘেষা লোটা দেবীর মন্দির।পূর্ণিমার রাত থেকেই জলপাইগুড়ি আসাম মোড় সংলগ্ন করলা ভ্যালি লোটাদেবী মন্দিরে ৬৭ তম কালী পুজো শুরু হয়েছে। এই উপলক্ষে মন্দির চত্বরে নেমেছে ভক্তদের ঢল। মূলত করলা নদী পেরিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করতে হয়। ওই স্থানে করলায় নেই কোনও সেতু। পুজোকে কেন্দ্র করে চলছে পাঁচ দিনব্যাপী মেলাও।

প্রতি বছর মাঘী পূর্ণিমায় লোটাদেবী কালীর বাৎসরিক পুজোর সময় দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য অস্থায়ীভাবে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। মন্দিরের পাশে রয়েছে একটি পুকুর। এটি লোটাদীঘি নামে পরিচিত। মন্দিরের মায়ের পুজো দেওয়ার পাশাপাশি ওই পুকুরে দুধ ঢেলেও পুজো দেন ভক্তরা। করলা নদীর উপর অস্থায়ী সেতু পেরিয়েই শয়ে শয়ে দর্শনার্থী আসছেন লোটা দেবী কালি মন্দিরে। আট থেকে আশির ভিড় উপরে পড়েছে এই প্রাচীন পুজো এবং মেলা ঘিরে।

আরও পড়ুন : কলা খেলে ব্লাড সুগার বাড়ে? ডায়াবেটিসে কলা খাওয়া চরম ক্ষতিকর? জানুন

পাশাপাশি, মেলায় জলপাইগুড়ি ব্রহ্মকুমারী সেন্টারের ভাই বোনের দ্বারা প্রদর্শনী স্টলেও ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশ্ব শান্তি কামনার লক্ষ্যে ব্রহ্মকুমারীর সেন্টারের পক্ষ থেকেও চলছে প্রচার । মেলা কমিটির উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠান ঘিরে দর্শনার্থী এবং মেলায় আগত দূরদূরান্ত মানুষের মধ্যে উন্মাদনাও দেখার মতো। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত-সহ অসম, মেঘালয়, বিহার থেকেও বহু পুণ্যার্থী এই পুজো ও মেলায় আসেন। মেলায় স্থানীয় ও বহিরাগত ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জিনিসপত্র ও খাবারের দোকান দিয়েছেন। মনোরঞ্জনের জন্য রয়েছে নাগরদোলা ও বিভিন্ন রাইডের ব্যবস্থা। পুজো ও মেলা উপলক্ষে পুরো চত্বরটি আলো দিয়ে সাজানো হয়েছে।

Ratanti Kali Puja: দেখতে দেখতে ১২৬ বছর! বদলায়নি এই কালী পুজোর রীতি! মন্দিরে ভক্তের ঢল

দিনহাটা: দীর্ঘ সময়ের পুরনো পারিবারিক ঐতিহ্য ও রীতি মেনে আজও করা হচ্ছে কালী পুজো। দিনহাটা তৎকালীন সময়ের বেশ বড় ও পরিচিত পরিবার হল পাল পরিবার। আজও এই পরিবারের কথা লোকের মুখে মুখে শুনতে পাওয়া যায়। দীর্ঘ প্রায় ১২৬ বছর আগে এই পরিবারে শুরু করা হয় রটন্তী কালী পুজো। তারপর থেকে বংশ পরম্পরায় এই পুজো হয়ে আসছে এখনও পর্যন্ত।

দীর্ঘ সময় পুরনো এই পুজোয় বেশ কিছু রীতি প্রথা রয়েছে পারিবারিকভাবে। একটা সময় এই পুজো ফাঁকা মাঠে করা হত। তবে এখন এই পুজো জায়গার অভাবে দালানে করা হয়। এছাড়া যৌথ পরিবারের বেশ কিছুটা ছড়িয়ে পড়েছে বর্তমানে সময়ে। তবে পুজোর দিনে কিন্তু গোটা পরিবার এক হয়।

বর্তমানে পরিবারের বড় ছেলে গৌতম নারায়ণ পাল জানান,”এই পুজো দীর্ঘ ১২৬ বছর আগে শুরু করেন তাঁর ঠাকুরদার। তারপর থেকে এই পুজো হয়ে আসছে একই রকম ভাবে। এই পুজো সম্পন্ন করা হয় চতুর্দশীর মধ্যেই। তবে পরের দিন অমাবস্যা থাকার কারণে দেবীর প্রতিমা বিসর্জন করা সম্ভব হয় না। তাই দেবীর প্রতিমা বিসর্জন করা হয় অমাবস্যার পরের দিন। এছাড়া পুজোয় হোম যজ্ঞ করা হয়। হয় বিশেষ আরতি। সব মিলিয়ে এই পুজো কেন্দ্র করেই গোটা পরিবারের মধ্যে এক আলাদা আবেগ কাজ করে। তাই দীর্ঘ সময় ধরে এই পুজো করছেন তাঁরা।”

বাড়ির ছোট ছেলে রজত শুভ্র পাল ও পরিবারের সদস্য মলয় পাল জানান,”দীর্ঘ সময় ধরে এই পুজো পরিবারের ঐতিহ্য বহন করে আসছে। তাই যৌথ পরিবারের হাড়ি আলাদা হলেও পুজো বন্ধ হয়ে যায়নি। পুজোর সময় সকলে আবার আনন্দের সঙ্গে এক জায়গায় মিলিত হয়। দীর্ঘ বাপ দাদাদের সময়ের এই ঐতিহ্য তাঁরা আগামীতেও বহন করবেন একই রকম ভাবে। এবং রীতি প্রথা মেনে এই এক পদ্ধতিতে পুজো চলতেই থাকবে।”

আরও পড়ুনঃ Knowledge Story: বলুন তো দেশের লঙ্কার ‘রাজধানী’ কোন জেলা? উত্তর অজানা ৯০ শতাংশের

দিন বদলেছে, সময় পাল্টেছে, তবে পরিবারের ঐতিহ্য এবং রীতি প্রথা বিলীন হয়ে যায়নি। দিনহাটা শহরের বুকে আজও এই পাল পরিবারের রটন্তী কালী পুজোর নাম সকলের মুখে মুখে শুনতে পাওয়া যায়।

Sarthak Pandit

Ratanti Kalipuja 2024 Date Time & Rituals: আজ রটন্তী কালীপুজোয় সংসারের মঙ্গলকামনায় বিবাহিতারা নিবেদন করুন এই ২টি বিশেষ জিনিস! জানুন শুভ তিথি কত ক্ষণ আছে

মাঘমাসের চতুর্দশী তিথিতে আজ, বৃহস্পতিবার রটন্তী কালীপুজো৷ প্রতি বছর এই তিথিতেই রটন্তীকালী পূজিতা হন৷
মাঘমাসের চতুর্দশী তিথিতে আজ, বৃহস্পতিবার রটন্তী কালীপুজো৷ প্রতি বছর এই তিথিতেই রটন্তীকালী পূজিতা হন৷

 

দৃকসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে এ বছর রটন্তী কালীপুজোর জন্য চতুর্দশী তিথি শুরু হবে সকাল ১১.১৮ মিনিটে। অন্য পঞ্জিকা অনুযায়ী চতুর্দশী তিথি শুরু হচ্ছে সকাল ৯.২১ থেকে।
দৃকসিদ্ধান্ত পঞ্জিকা মতে এ বছর রটন্তী কালীপুজোর জন্য চতুর্দশী তিথি শুরু হবে সকাল ১১.১৮ মিনিটে। অন্য পঞ্জিকা অনুযায়ী চতুর্দশী তিথি শুরু হচ্ছে সকাল ৯.২১ থেকে।

 

প্রচলিত বিশ্বাস, এই পুজো পালন করলে মানসম্মান অক্ষত থাকে। হৃত সম্মান ফিরে পাওয়া যায়। সে উদ্দেশ্য নিয়ে পুজো করবেন, সেই অভিলাষ পূর্ণ হয়।
প্রচলিত বিশ্বাস, এই পুজো পালন করলে মানসম্মান অক্ষত থাকে। হৃত সম্মান ফিরে পাওয়া যায়। সে উদ্দেশ্য নিয়ে পুজো করবেন, সেই অভিলাষ পূর্ণ হয়।

 

মৌনী অমাবস্যা শুরুর আগে পর্যন্ত রটন্তী কালীপুজো করতে হয়। এই পুজোয় দেবীর উদ্দেশে নিবেদন করুন লাল ফুল, যেমন পদ্ম বা গোলাপ।
মৌনী অমাবস্যা শুরুর আগে পর্যন্ত রটন্তী কালীপুজো করতে হয়। এই পুজোয় দেবীর উদ্দেশে নিবেদন করুন লাল ফুল, যেমন পদ্ম বা গোলাপ।

 

সঙ্গে দিন লাল রঙের যে কোনও ফল। আপেল, বেদানার মতো লাল ফল অর্ঘ্য দিতে পারেন দেবীকে।
সঙ্গে দিন লাল রঙের যে কোনও ফল। আপেল, বেদানার মতো লাল ফল অর্ঘ্য দিতে পারেন দেবীকে।

 

বিবাহিতা মহিলারা রটন্তী দেবীকে নিবেদন করুন সিঁদুর ও আলতা। আপনার সংসারের মঙ্গল হবে।
বিবাহিতা মহিলারা রটন্তী দেবীকে নিবেদন করুন সিঁদুর ও আলতা। আপনার সংসারের মঙ্গল হবে।

 

রটন্তী কালীপুজোর পর দিন মৌনী অমাবস্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই তিথিতে দিনভর মৌন না থাকলেও চেষ্টা করুন মৌন থেকে দান করতে।
রটন্তী কালীপুজোর পর দিন মৌনী অমাবস্যা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই তিথিতে দিনভর মৌন না থাকলেও চেষ্টা করুন মৌন থেকে দান করতে।