হাওড়া: বিখ্যাত বাগনান খালোড়ের মা কালী। প্রায় চার-পাঁচ শতাব্দী প্রাচীন বাগনান খালোড় কালীবাড়ি। সারা বছর দূর দূরান্ত থেকে ভক্ত সমাগম ঘটে এখানে। মায়ের আরাধনা করতে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ এখানে এসে হাজির হয়। পাশপাশি সারা বছর ঝাড়খন্ড, বিহার, মহারাষ্ট্রের মতো বিভিন্ন রাজ্য থেকেও ভক্ত আসেন। প্রতিদিন দুই বেলা নিত্য পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে মা কালীকে ভোগ নিবেদন করা হয়। যদিও মা কালীর প্রকৃত প্রতিষ্ঠাকাল সঠিক না জানা গেলেও জনশ্রুতি রয়েছে। চার থেকে পাঁচ শতাব্দী আগে বর্ধমান রাজ আমলে মায়ের মন্দির প্রতিষ্ঠা হয়। মনে করা হয় সেই থেকে পুজোর প্রচলন ।
প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা মায়ের পুজো আয়োজন হয়। পাশাপাশি সারা বছরে বিশেষ দিনগুলিতে জাঁকজমক করে মাতৃ আরাধনা অনুষ্ঠিত হয় পুরনো রীতি মেনে। যেমন পৌষ মাসে মুলো কালী, ভাদ্র মাসের কৌশিকী অমাবস্যায় পুজো এবং দীপান্বিতা কালীপুজোয় জাঁকজমকপূর্ণ পুজোর আয়োজন হয়। আসন্ন কালীপুজো সাধারণ দিনের মত পুজো অনুষ্ঠানের শেষে রাতভর চলে পুজোপাঠ। বর্তমানে জনবহুল মন্দির প্রাঙ্গণ এক সময় দামোদর নদীর পাড়ে অবস্থান ছিল। কালের নিয়মে নদী মন্দির থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থান করছে।
মন্দির সংস্করণের ফলে মন্দিরের প্রধান গৃহ বন্ধ রাখা হয়েছে। তাই মায়ের মূর্তি দর্শনও বন্ধ। সুসজ্জিত পঞ্চচূড়া বিশিষ্ট মন্দির নির্মাণ চলছে। মন্দির সংস্করণে মূল এবং প্রধান দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন খালোড় শ্রী শ্রী মহাকালী ঠাকুরানী ট্রাস্টের চিফ পেট্রো তথা বাগনান কেন্দ্রের বিধায়ক অরুণাভ সেন এবং সমাজসেবী দিবস খাঁড়া। যে কারণে বর্তমান সময়ে মায়ের আদি ঘটই দেবী রূপে পূজিত হচ্ছে।
মন্দিরের পুরোহিত সবুজ বটব্যাল বলেন, “এই মা কালীর মাহাত্ম্য অনেক। তাই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা হাজির হন এখানে। মনস্কামনা পূর্ণ করতে হাজার হাজার ভক্ত পৌষ মাসে মুলো এবং ভাদ্র মাসে তাল দিয়ে মায়ের পুজো দেন। এই রীতি দীর্ঘদিনের।”
রাকেশ মাইতি