আলিপুরদুয়ার: দিন প্রতিদিন যানযটের শহরে পরিণত হচ্ছে ভারত-ভুটান সীমান্ত শহর জয়গাঁ। দিনের যে কোনও সময়ে গেলে দেখা যাবে প্রতিটি রাস্তায় যানযট। রাস্তা দিয়ে চলাচল করা মুশকিল হয়ে দাঁড়িয়েছে পথচারীদের। জয়গাঁ শহরের বৌবাজের রাস্তা, এনএস রোডের রাস্তা এমনকি বাসস্ট্যান্ডের রাস্তা, সব স্থানের ছবি একই রকমের। নির্দিষ্ঠ স্থানে বাজার তো বসেই। তারপরেও রাস্তার ওপরেও বসে যাচ্ছে দোকান। এখানেই শেষ নয়, রাস্তার ওপরেই গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে ঘন্টার পর ঘন্টা বহালতবিয়তে। যানযট এই স্থানের নিত্যদিনের সঙ্গী। বেশি করে যানযটের জন্যই এই স্থানটি বিশেষ করে পরিচিত। জয়গাঁয় রয়েছে দুটি ভুটান গেট।
পণ্যবাহী গাড়িগুলি বৌবাজার ভুটান গেট দিয়ে ভুটানে যাতায়াত করে। গেটটি ২৪ ঘন্টার জন্য খোলা থাকে। যে কোনও সময়ে পণ্যবাহী গাড়ির আসা যাওয়া তো লেগেই রয়েছে। তারপর সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত বাজারের চাপে অতিষ্ঠ পথচারী থেকে শুরু করে বাইক চালকরা।বৌবাজার এলাকার পাশে রয়েছে সুভাষপল্লি, বিবেকানন্দ পল্লি। জনবসতি এই এলাকাগুলিতে বেশি। পড়ুয়াদের সংখ্যা অনেক এই এলাকাগুলিতে।বিকেল সাড়ে তিনটে পর্যন্ত স্কুল বাসের যাতায়াত লক্ষ্য করা যায়। স্কুল বাসগুলি বৌবাজারে এসে দাঁড়ায়। ভোগান্তির শিকার হয় পড়ুয়ারা।
আরও পড়ুন: ফালাকাটার মুজনাই নদীর তীরে পাঁচশো বছর ধরে পূজিত হচ্ছেন দেবীর এই রূপ
এই বিষয়ে জয়গাঁর বাসিন্দা রাজেশ ছেত্রী জানান, “শুধু বৌবাজার না,প্রতিটি রাস্তার পরিস্থিতি এক।যারা পায়ে হেঁটে,বাইক ও সাইকেল নিয়ে যাতায়াত করে তারা তো ভয়ে ভয়ে থাকেন।কখন যানযটের মধ্যে পেছন থেকে কোনও গাড়ি এসে ধাক্কা দেয়।”
আরও পড়ুন: একছাদের তলায় কাঠ, বেত, সুতোর কাজ! আলিপুরদুয়ারে জেলা প্রশাসনের অভিনব উদ্যোগ
বাজারের ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়ছেন। দোকানের সামনে যখন তখন দাঁড়িয়ে পড়ছে গাড়ি। যেদিকে তাকানো যায় সেদিকেই যানযট, গাড়ির ভিড় ও ধোঁয়ায় অতিষ্ঠ জনজীবন। এই বিষয়ে জয়গাঁর ট্রাফিক ওসি ফোনে জানিয়েছেন, “শীঘ্রই যানযট এড়াতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Annanya Dey