রঙবেরঙের মোমবাতি

South Dinajpur News: চাহিদা বেড়েছে ট্র্যাডিশনাল মোমবাতির! মুখে হাসি ফুটছে গঙ্গারামপুরের শ্রমিকদের

দক্ষিণ দিনাজপুর: বাজারে অত্যাধুনিক মানের এলইডি লাইটের পাশাপাশি দীপাবলিতে ক্রেতারা আবার ঝুঁকছে মোমবাতির দিকে। বেড়েছে ব্যাপক চাহিদাও। বিগত বেশ কয়েক বছর যাবত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে এই কুটির শিল্প প্রায় ধুঁকতে শুরু করেছিল। তবে বিগত প্রায় দুই বছর ঘুরে দাঁড়িয়েছে এই মোমবাতি তৈরির শিল্প। এর ফলে দিন রাত এক করে মোমবাতি তৈরিতে ব্যস্ত গঙ্গারামপুরের বহু শ্রমিক থেকে মালিকরা। এতটাই মোমবাতি কেনার চাহিদা বেড়েছে যে দিনরাত কাজ করেও অর্ডার সাপ্লাই দিতে পারছেন না শ্রমিকরা। সারাবছর মোমবাতি বিক্রি হলেও দীপাবলিতে তার চাহিদা অনেকগুণ বেড়ে যায়।

প্রসঙ্গত, দীপাবলির রাতে বাংলা তথা গোটা দেশ আলোকসজ্জায় সেজে উঠে। একটা সময় ছিল মাটির প্রদীপ আর মোমবাতির আলো দিয়ে দীপাবলির রাতে সাজানো হত বাড়িঘর। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই প্রদীপ ও মোমবাতিকে ঢেকে দিয়েছিল ইলেকট্রিক টুনি লাইট আর চাইনিজ ডিজিটাল আলোর দাপট। অস্তিত্ব সঙ্কটে ধুঁকছিল মোমবাতি শিল্পর। গঙ্গারামপুর শহরের বসাকপাড়া, বড়বাজার, হাইস্কুল পাড়া এলাকায় গড়ে উঠেছিল বেশ কয়েকটি মোমবাতির কারখানা। কিন্তু বাজারে বিদেশীপণ্য টুনি বাল্ব, ইলেকট্রিক লাইট চলে আসায় কদর কমতে শুরু করেছিল মোমবাতির। সারা বছর তো দূরের কথা দীপাবলি আসলেও মোমবাতির কদর কমে গিয়েছিল। যার ফলে গঙ্গারামপুরের দুই একটি মোমবাতির কারখানা বন্ধও হয়ে যায়। এমনকি বাকি মোমবাতির কারখানাগুলো কোনরকমে চলছিল।

আরও পড়ুন: ৫ টাকার এই ফলেই লাখ টাকার ওষুধ…ওজন, হাই প্রেশার থেকে হাঁপানি, ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়

আরও পড়ুন: আকাশে উড়েই ছড়িয়ে দেবে রঙ! ‘ড্রোন বাজি’ দেখেছেন? দীপাবলির এবারের আকর্ষণ! ভিডিও

কিন্তু বিগত দুই এক বছর দীপাবলিতে মোমবাতির কদর বেড়েছে যথেষ্ট। আর এতেই দিনরাত এক করে বিভিন্ন ধরনের ও বিভিন্ন দামের মোমবাতি তৈরি করে চলেছেন গঙ্গারামপুরের প্রস্তুতকারকের। যার ফলে কিছুটা হলেও লাভের মুখ দেখছে গঙ্গারামপুর মোমবাতি কারখানার মালিকেরা।

সুস্মিতা গোস্বামী