ঝিংলেশ্বরী দেবী

Kalipuja 2024: দিঘা যাওয়ার পথেই পড়বে মা ঝিংলেশ্বরীর মন্দির! কালীপুজোতে হয় বিশেষ পুজো! জানুন

নন্দকুমার: গ্রাম বাংলার লোকালয়ে অনেক আঞ্চলিক বা লোক দেবদেবীর কথা আমরা জানতে পারি সেই এলাকার মানুষজন ও বাংলা সাহিত্যে। দিঘা যাওয়ার জাতীয় সড়কের পাশে নন্দকুমার ব্লক-এর ভবানীপুর গ্রামে এরকম লোকদেবী বিরাজ করে আছেন। দেবীর নাম ঝিংলেশ্বরী। সারাবছরই প্রতিদিন কালী রূপে পূজিত হয়। কালীপুজোর দিন বিশেষ ভাবে পূজিত হন লোক দেবী। ঢেউ-এর তটদেশ থেকে উৎপত্তি তাই নাম ‘ঢিঙ্গুলেশ্বরী’। কিন্তু লোকমুখে বেশি পরিচিত ঝিংলেশ্বরী মা হিসেবে। নন্দকুমার ব্লকের ভবানীপুর এলাকায় ঝিংলেশ্বরী মায়ের প্রাচীন ইতিহাস সত্যি অবাক করার মত।

বর্তমান সেবাইতদের কথায় আনুমানিক প্রায় পাঁচ শতাধিক বছর আগে জাহাজের মাস্তুলের উপর অধিষ্ঠিত হয়ে আবির্ভাব ঘটেছে মা ঝিংলেশ্বরীর।ভৌগলিক অবস্থানগত ভাবে তৎকালীন সময়ে এই এলাকা নদীগর্ভ ছিল। নৌকা, বোট, জাহাজ চলাচল করত। তাম্রলিপ্ত প্রদেশের (বর্তমান তমলুক) রাজা পুজোর ব্যবস্থা করেন।

আরও পড়ুন: মন থেকে ডাকলে মা খালি হাতে ফেরান না! এখনও মুঘল আমলের পুজো হয় বর্ধমানের এই গ্রামে

সেই থেকে বর্তমানেও নিত্য পুজো হয়ে আসছে। এখন মন্দির পাকা হয়েছে। তবে জাহাজের মাস্তুল সহ মাটির যে বেদীতে মা ঝিংলেশ্বরী অধিষ্ঠিত হয়ে রয়েছেন সেই অংশের কোনও সংস্কার করা হয়নি। সেবাইতরা জানান তেমনটাই মায়ের আদেশ।বর্তমানে সকাল থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত মন্দির খোলা থাকে। দুর্গাপুজো ও কালীপুজাতে বিশেষ পুজোর্চনা হয় বিশালাক্ষী রূপে।

প্রতিদিন মাছ, মাংস, তরকারি, পায়েস, মিষ্টান্ন সহযোগে অন্নভোগ নিবেদন করা হয়। এছাড়াও ভক্তদের মানতে হাঁস, পাঁঠা বলিও হয়। এই এলাকায় বসবাসকারী প্রত্যেকে দেবী ঝিংলেশ্বরীকে নিজেদের পরিবারের একজন মনে করেন। তাই চাষের সবজি, মাছ, পালিত হাঁস, ডিম নিবেদন করে। তাছাড়া এই এলাকা ছাড়া জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ট্রলার, বোট, জাহাজ মালিকরা পুজো দেন।

সৈকত শী