নদী ভাঙ্গনের জেরে ডুবেছে রাস্তা

Nadia News: কপাল খারাপ হলে এইরকমই হয়! রাস্তা তৈরির আগেই বানের জলে ভেসে গেল প্রস্তাবিত জায়গা

নদিয়া: আবারও ভাগীরথীর ভাঙনের কবলে নদিয়ার নৃসিংহপুর চৌধুরীপাড়া এলাকার অন্যতম প্রধান রাস্তা! এলাকার ছয়টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষ পড়েছেন বিপাকে, চাইছেন সরকারি উদ্যোগে নদী খনন এবং রাস্তা পুনরুদ্ধার। একটু একটু করে ভাগীরথী গর্ভে তলিয়ে গিয়েছে বাপ ঠাকুর দাদা আমলের চাষের জমি, কেউ হয়েছেন ভিটে ছাড়া কেউবা নিজের জমি খুইয়ে অন্য এলাকায় রয়েছেন ভাড়া। নদিয়ার শেষ প্রান্ত শান্তিপুর হরিপুর পঞ্চায়েতের অত্যন্ত প্রান্তিক নৃসিংহপুর চৌধুরী পাড়ার অন্যতম প্রধান রাস্তা এখন জলের তলায়। সম্প্রতি কিছুদিন আগেও ওই এলাকার নৌকা ঘাট ভেঙেছিল জলের তোড়ে, ফলে কৃষিকাজ এবং ভাগীরথী পেরিয়ে পূর্ব বর্ধমানে শ্রমিকের কাজ করতে যাওয়া অনেকেই পড়েছিলেন সমস্যায় কিন্তু এবার দুয়ারে ভাগীরথী রাস্তা বলতে আর কিছু নেই।

সম্প্রতি কয়েক বছর আগে নৃসিংহপুর ঢোকার রাস্তা হিসেবে কিছুটা পিচের এবং কিছুটা ইটের রাস্তা মঞ্জুর হয় ভাগীরথী বরাবর যাতে স্থানীয় বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষজন কৃষিকাজ এবং নৌকা পারাপারের উদ্দেশ্যে যাতায়াত করতে পারেন। তবে পুরো অংশ শেষ হওয়ার আগেই জলের তলায় প্রস্তাবিত রাস্তাটি। এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন সাইক্লোন দানার প্রভাবে জোরে ঢেউ আসার ফলেই হয়তো আঘাত লেগে ভেঙেছে প্রায় এক বিঘা জমি আর এরই মধ্যে পড়েছে প্রায় ১০০ থেকে ১২০ মিটার ওই রাস্তাটি। আর এর ফলে বিপাকে পড়েছেন, নতুন চড়া, চৌধুরীপাড়া কুলে পার, হালদার পাড়া , গৌরনগরপাড়া তেওয়ারি চর সহ এলাকার প্রায় ছয়টি গ্রামের  ১০,০০০ মানুষ ।

আরও পড়ুন: রয়েছে ব্যাপক নিয়ম-রীতি! জাগ্রত সব কালীপুজোর জিনিসপত্রে শান দিতে এই মেয়েকে আসতে হয় বাপের বাড়ি

আরও পড়ুন: প্রায় ৪০০ কেজি ভোগপ্রসাদ রান্না করা হয় শান্তিপুরের এই প্রাচীন কালীপুজোয়

তারা জানাচ্ছেন, গ্রাম থেকে বাসস্ট্যান্ডে যাওয়ার অন্যতম প্রধান রাস্তা ছিল এটা। আর তার ফলেই চিকিৎসা থেকে শুরু করে স্কুল কলেজ যাওয়া ছাত্রছাত্রী এবং ব্যবসা-বাণিজ্য কৃষিকাজ এবং শ্রমজীবী মানুষের ঘুরে যেতে হচ্ছে প্রায় ছয় সাত কিলোমিটার যার জন্য লাগছে টোটো ভাড়া। তবে ভাগীরথী পাড় বাঁধাইয়ের কাজ জেলা পরিষদ এবং অন্যান্য সরকারি তহবিল থেকে সামান্য ব্যয় বরাদ্দে কোনও কোনও জায়গায় শুরু হলেও এলাকাবাসীদের মতে তা অপরিকল্পিত এবং আন্তরিকতা বিহীন তাই মাঝে মধ্যে কয়েক বস্তা বালি এবং কখনও কখনও বাঁশের খাঁচা ফেলে গেলেও আদতেও কোনও স্থায়ী সমাধান লক্ষ্য করা যায়নি।

Mainak Debnath