পুজোর সামগ্রী নিলামে বিক্রি হচ্ছে

Kali Puja 2024: বেলুন গ্রামের হ্যাপা কালীর পুজোর পরদিনই হয় বিরাট আয়োজন, ভিড় জমান ১০-১২ গ্রামের মানুষেরা

হুগলি: শাড়ি, গামছা থেকে ধূপ গঙ্গাজল, আলতা সিঁদুর, ফল-মূল থেকে মিষ্টান্ন পুজোয় দেওয়া সব সামগ্রী নিলাম হয়। আর সেই নিলামের টাকায় সারা বছর নানা অনুষ্ঠান পুজো হয়। বছর বছর ধরে পান্ডুয়ার বেলুন গ্রামে হ্যাপা কালীর পুজো হয়ে আসছে এভাবেই। কোনো চাঁদা কাটা হয়না। পুজো সামগ্রী নিলাম করা হয় কালী পুজোর পরদিন।

মা কালী প্রতিষ্ঠা করতে অনেক হেপা পোহাতে হয়েছিল, তাই নাম হয়েছে হ্যাপা কালী। পান্ডুয়ার বেলুন ধামাসিন গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলুন গ্রামে। প্রায় সাড়ে তিনশ বছরের পুরনো এই পুজোতে আজও রীতি মনে হয় নিলাম প্রথা। তান্ত্রিক মতে হয় দেবীর পুজো হয়। ছাগ বলি হয় পুজোর রাতে। শোনা যায়, এলাকার বাগদিপাড়ার কয়েকজন ডাকাত এই পুজোর সূচনা করেন। মা কালীর পুজো দিয়ে তাঁরা ডাকাতি করতে যেতেন। প্রাচীন এই পুজোয় ব্যবহৃত গঙ্গাজল থেকে পাঠার মুড়ি সবই নিলাম হয় পুজোর পরের দিন।

আরও পড়ুন: কালীপুজোর দিন মা হংসেশ্বরীকে সাজানো হয় কালী রূপে! জানুন অজানা কাহিনি

আরও পড়ুন: ১০০ ভরি সোনা দিয়ে পথেই পুজো হয় মা কালীর, তাই নাম ‘পথের মা’! চমকে দেবে ঘটনা

নিলামে ওঠা প্রসাদ নিতে ভিড় জমায় পার্শ্ববর্তী ১০-১২টি গ্রামের মানুষ। নিলাম থেকে আয় হওয়া অর্থ কাজে লাগানো হয় পুজোতে এমনটাই জানালেন বেলুন হ্যাপা কালি বারোয়ারির সম্পাদক সুদীপ ঘোষ। এক সময় পাতার ছাউনির ঘর ছিল বর্তমানে পাথর বসানো মন্দির হয়েছে। হ্যাপা কালী পুজো এখন অনলাইনেও দেওয়া যায়। ভক্তরা পুজো যা কিছু দেন সবই নিলামে ওঠে। যে বেশি দাম দেয় সামগ্রি তার। হ্যাপা কালী তলার নিলামে কেনা জিনিস থেকে পূন্য লাভ হয় বলে বিশ্বাস। তাই অনেক জিনিস একটু বেশি দামেই কিনে নিতে দ্বিধা করেন না গ্রামবাসীরা।

রাহী হালদার