পূর্ব বর্ধমান: প্রয়াত হয়েছেন রতন টাটা। তাই শ্রদ্ধা জানাতে সন্দেশ দিয়ে মূর্তি তৈরি করলেন, বর্ধমানের কালনা শহরের এক মিষ্টি ব্যবসায়ী। ভাইফোঁটার আগে পূর্ব বর্ধমান জেলা জুড়ে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি। সেরকমই বর্ধমানের অন্যতম জনপ্রিয় দোকান কালনা শহরের মা ভবানী মিষ্টান্ন ভান্ডার। এই দোকানে এবছর ভাইফোঁটাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে।
মিষ্টি ব্যবসায়ীর কথায়, এবছর ৩০০ থেকে ৩৫০ রকমের মিষ্টি তাঁরা তৈরি করেছেন। তবে বিভিন্ন মিষ্টির মধ্যে সন্দেশ দিয়ে তৈরি রতন টাটার মূর্তি একটু ভিন্ন ধরনের। প্রয়াত রতন টাটাকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য মিষ্টি ব্যবসায়ীর এহেন উদ্যোগ প্রশংসনীয়। অনেকেই মিষ্টি কিনতে এসে এই মূর্তি দেখে রীতিমত অবাক হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: ২১ ফুটের বড়বেলুনের বড়মা, যার টানে ভিন জেলার মানুষেরাও ছুটে আসেন পূর্ব বর্ধমানে
সন্দেশ দিয়ে তৈরি এই মূর্তি প্রসঙ্গে মিষ্টি ব্যবসায়ী তথা দোকানের কর্ণধার অরিন্দম দাস জানিয়েছেন, “সব অনুষ্ঠানেই আমরা নিত্যনতুন আধুনিক মিষ্টি তৈরি করার চেষ্টা করি। মিষ্টি তৈরি এবং বিক্রি করা এটাই আমাদের ব্যবসা। কিছুদিন আগেই রতন টাটা প্রয়াত হয়েছেন। তাই তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে সন্দেশ দিয়ে এই মূর্তি তৈরির চেষ্টা করেছি।”
আরও পড়ুন: ৫২ রকমের ভাজা! তিন রকমের মাছ দিতে হয় মায়ের ভোগে! এই মা কালীর কাহিনি অবাক করবে
ভাইফোঁটার জন্য তৈরি হয়েছে আকর্ষণীয় বিভিন্ন মিষ্টি। মিষ্টির দোকানে মিষ্টি কিনতে গিয়ে একটু অবাকও হচ্ছেন অনেকে। মিষ্টির দোকানে রাখা পিৎজা , মাছ দেখে হতবাক হচ্ছেন বহু মানুষ। আসলে পিৎজা এবং পাবদা মাছের আদলেও তৈরি হয়েছে মিষ্টি। এছাড়াও রয়েছে দই ফুচকা মিষ্টি, কমলা লেবু মিষ্টি সহ আরও শতাধিক মিষ্টি। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ এই মিষ্টির দোকানে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন। কিনে নিয়ে যাচ্ছেন আধুনিক নকশার মিষ্টি। কালনার এই মিষ্টির দোকানে প্রত্যেক অনুষ্ঠানে আধুনিক মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়। শহরবাসীর জন্য সবসময় থাকে আকর্ষণীয় চমক। সেরকমই এবার ভাইফোঁটা উপলক্ষেও বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী