নতুন আত্মরক্ষার পদ্ধতি হল কুডো

New Martial Art: কুংফু -ক্যারাটে তো অনেক হল!এবার বাজার কাঁপাচ্ছে কুডো,আত্মরক্ষায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠুন

শিলিগুড়ি : আত্মরক্ষার সঙ্গে স্বাস্থ্য ভাল রাখা পাশাপাশি কর্মসংস্থানের কথা চিন্তা করে দিনকে দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে কুডো খেলা। কুডো হল এমন একটি খেলা যেখানে ক্যারাটে, জুডো, তায়কোন্ডো, কিক বক্সিং, মুয়াথাই সেই সবকিছুর মিশ্রণ আছে। একটা টোটাল মিক্সড মার্শাল আর্ট।

এই খেলার মাধ্যমে ছেলেমেয়েদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। শিলিগুড়ি তথা উত্তরবঙ্গে কুডো খেলাকে জনপ্রিয় করে তুলতে দিনরাত পরিশ্রম করে চলেছেন প্রশিক্ষক সহদেব বর্মন। শিলিগুড়ি ভক্তিনগর পাইপ লাইন এলাকায় প্রতিদিন নিয়ম করে কুডো প্রশিক্ষণ দেন সহদেববাবু। তাঁর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছেলে মেয়েরা তো বটেই অভিভাবকরাও ভীষণ খুশি।

আরও পড়ুন – Six Hitting: ভুলে বলে আর যাই মারুন ছক্কা হাঁকাবেন না, ওভার বাউন্ডারি মারলেই আপনি কিন্তু আউট!

এমনকি বহু ছেলেমেয়ে এখন শিলিগুড়ি বা উত্তরবঙ্গ থেকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে পদক জিতে আসছে যা বাংলার জন্য দারুন খবর। এরমধ্যেই কুডো ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশনের পশ্চিমবঙ্গ শাখার সভাপতি তথা উত্তর পূর্ব ভারতের ডিরেক্টর সিহান সহদেব বর্মন জানিয়েছেন, ১৬ তম অক্ষয় কুমার কুডো চ্যাম্পিয়নশিপ ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়নশীপ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। এবার জাতীয় স্তরের কুডো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৪৬ জন প্রতিযোগি অংশগ্রহণ করবে। যার মধ্যে উত্তরবঙ্গের ২২ জন প্রতিযোগী রয়েছে। তিনি আরও জানান, এই খেলাকে ভারত সরকার মান্যতা দিয়েছে। জাতীয় স্তরে এই খেলায় অংশগ্রহণকারীরা যদি সোনা কিংবা রুপো পদক যেতে তাহলে তারা স্পোর্টস কোটায় আবেদনযোগ্য।

শিলিগুড়ির বাসিন্দা তপস্বী দত্ত বলেন, ‘‘জাতীয় স্তরের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে আমরা যাচ্ছি খুবই নার্ভাস লাগছে। তবে প্রচুর পরিশ্রম করেছি রাতের বেলাতেও প্রচুর প্র্যাকটিস করেছি, আমরা আশাবাদী যে এবার একটা মেডেল নিয়ে আসতে পারব।’’ অন্যদিকে স্যানভী বর্মন বলেন, ‘‘ আমি এবার অনেক পরিশ্রম করেছি। আমাদের কোচ অনেক পরিশ্রম করেছে আমাদের জন্য। আমার তাকে গোল্ড মেডেল এনে দিতে পারব বলে আশাবাদী।’’

নিজের মেয়েকে কুডো শেখাতে নিয়ে আসেন গীতশ্রী দাস, তিনি বলেন, নিজের আত্মরক্ষার দিকটা নিজেকেই সামলাতে হয়, তাই ছোটবেলা থেকেই আমার মেয়েকে আমি এই প্রশিক্ষণ দিতে এখানে নিয়ে আসছি। এই স্পোর্টসে শরীর এবং মন দুটোই সুস্থ থাকে।

Anirban Roy