#টোকিও: ইতিহাসে ভারতের মেয়ে৷ মীরাবাই চানু রুপো পাওয়ার পর ভারতের দ্বিতীয় পদক নিশ্চিত করলেন আরেক মেয়ে তিনি লাভলিনা (Lovlina Borgohain)৷ চাইনিজ তাইপেইয়ের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হার না মানা মন নিয়ে চরম লড়াই উত্তর পূর্বের তরুণীর৷ এদিন চেন এনসিকে হারালেন ৪-১৷
এদিন কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে ৬৯ কেজি বক্সিংয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছলেন তিনি৷ আর এরই সঙ্গে অন্তত ব্রোঞ্জ পদক পাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল তাঁর৷
এদিনের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তরুণী এই বক্সার৷
#Pugilist @LovlinaBorgohai will be in action in few minutes from now.
Stay tuned for more updates. #Cheer4India pic.twitter.com/f9MRP0qyxB— SAIMedia (@Media_SAI) July 30, 2021
CREATES HISTORY ?@LovlinaBorgohai puts up a brilliant performance and secures 1st medal for ?? from boxing in 69 kg at @Tokyo2020 She beat Chinese Taipei’s Chen NC 4-1 in QF to reach semis ?#RingKeBaazigar#boxing#Tokyo2020#Cheer4India#TeamIndia pic.twitter.com/28cpzoUxZY
— Boxing Federation (@BFI_official) July 30, 2021
এদিকে লাভলিনা বেরগোহাইন (Lovlina Borgohain), নামটা আজকের আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষের মানুষের কাছে খুব একটা পরিচিত ছিল না। কিন্তু মঙ্গলবার জার্মানির অভিজ্ঞ মহিলা বক্সার নাদাইন এপেটজের বিরুদ্ধে তাঁর ৩:২ জয় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী তার নাম ছড়িয়ে দেবে। বুদ্ধি করে দুরন্ত ম্যাচ খেললেন তিনি। পৌঁছে গেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। জ্যাব, কাট, হুক সবেতেই প্রায় নিখুঁত ছিলেন তিনি। ২৪ বছর বয়সী লভলিনা বোরগোহেইন একজন মহম্মদ আলির ভক্ত এবং তিনি কীভাবে কিংবদন্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন সে সম্পর্কে একটি আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে।
লভলিনা (৬৯ কেজি) (Lovlina Borgohain) বিভাগে একটি বাই পেয়েছিলেন। প্রথম লড়াই জার্মানির নাদাইন এপেটজের বিরুদ্ধে নিজের রাজ্য অসম এবং দেশ ভারতের প্রত্যাশা বাড়িয়ে রিং -য়ে নেমেছিলেন তিনি। অসমের প্রত্যন্ত অঞ্চল গোলাঘাট থেকে এই মেয়ের উঠে আসার গল্পটা দারুন রোমাঞ্চকর। লাভলিনার আরও দুই বোন রয়েছে।। তারা কিকবক্সিং শিখেছেন ছোটবেলা থেকে। লাভলিনা নিজেও প্রথমে কিক বক্সার ছিলেন। পরে সাইয়ের এক কোচের হাতে পড়ে পুরোপুরি বক্সার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।
পাঁচ ফুট আট ইঞ্চির উচ্চতার মেয়েটি টোকিওতে ভাল করবেন এই আশায় গোটা অসম রাজ্য জুড়ে দেওয়াল লিখন চলেছিল। অসম থেকে অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করা তিনিই ছিলেন প্রথম বক্সার। আত্মবিশ্বাস এবং লড়াকু মনোভাবের অভাব ছিল না। কিন্তু অলিম্পিকের মত বিশ্বের সেরা প্রতিযোগিতায় জিততে হলে শুধু আত্মবিশ্বাস এবং লড়াকু মনোভাব যথেষ্ট নয়।
টেকনিক, অভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এই তিনটি বিভাগেই লাভলিনার থেকে এগিয়েছিলেন জার্মানির মহিলা বক্সার। কিন্তু যেভাবে অভিজ্ঞ বক্সারকে হারালেন ভারতের মেয়ে, জাতি গর্বিত হতে পারেন দেশবাসী।