Tag Archives: Tokyo OIympics 2020

Tokyo Olympics 2020: ব্রোঞ্জেই খুশি হতে হবে ভারতীয়দের, বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের কাছে লড়ে হার Lovlina Borgohain

#অসম: টোকিও অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে অসমের ছোট্ট গ্রামের মেয়ে লাভলীনা৷ কিন্তু সেমিফাইনালে বিশ্বের এক নম্বরের কাছে ৫-০ তে হারলেন তিনি৷ খেলার ফল ৩০-২৬, ৩০-২৫, ৩০-২৫, ৩০-২৫, ৩০-২৫ এ৷ বুসেনাজ সুরমেনেলি এদিন রিংয়ে কার্যত অপ্রতিরোধ্য ছিলেন৷ তবুও অসমের তরুণী লড়াই করেন কিন্তু বুসানেজের কাছে পৌঁছতে আরও বেশি স্ট্র্যাটেজিক ও আগ্রাসী হতে হত৷

এদিকে লাভলিনার রিংয়ের লড়াইকে কুর্নিশ জানাচ্ছে সকলেই অনুরাগ ঠাকুর লিখেছেন নিজের সেরাটা দিয়েছেন লাভলিনা৷

এদিকে আগেই ইতিহাস তৈরি করে ফেলেছেন পদক নিশ্চিত করে সেমিফাইনালে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই, এবার আরও বড় চ্যালেঞ্জ৷ টোকিও অলিম্পিক্সের (Tokyo Olympics 2020) ৬৯ কেজি বিভাগে তাঁর প্রতিপক্ষ বর্তমানের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন বুসেনাজ সুরমেনেলি (Busenaz Surmeneli)৷ অলিম্পিক্সে পদক নিশ্চিত করা লাভলিনা এই মুহূর্তে প্রতিপক্ষ কে তা নিয়ে ভাবতে চান না, তিনি চাইছেন এই মেগা সেমিফাইনাল জিতে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করতে৷ ২০০৮ সালে বিজেন্দর সিং . ২০১২ সালে মেরিকম ইতিমধ্যেই বক্সিংয়ে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছেন৷ লাভলীনার পদক ৯ বছরে অলিম্পিক্সের মঞ্চে বক্সিংয়ে ভারতের প্রথম পদক হবে৷ তবে ফাইনালে পৌঁছনোর লক্ষ্য এই অসমিয়া তরুণী দেখছেন যা আজ অবধি কোনও ভারতীয় বক্সার করতে পারেননি৷ কিন্তু সেই লাভলীনাও  ব্রোঞ্জেই সন্তুষ্ট রইলেন৷ এদিকে লাভলীনার ম্যাচের সরাসরি সম্প্রচার দেখতে অসম বিধানসভার কাজ স্থগিত রাখা হয়েছিল ২০ মিনিটের জন্য৷

এদিকে লাভলীনার বাবা জানিয়েছিলেন তিনি মেয়ের ঐতিহাসিক সেমিফাইনাল ম্যাচ দেখবেন না৷ অসম বিধানসভা স্থগিত রাখার বিষয়ে জানিয়েছেন মন্ত্রী পীযূষ হজারিকা৷ সমস্ত বিধায়ক যাতে বক্সিং রিংয়ে লাভলীনার লড়াইয়ের সাক্ষী হতে পারেন৷ এদিকে এর আগে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব লাভলীনার সাফল্য কামনায় পুজোর আয়োজন করেছিলেন৷

পুজো আয়োজিত হয়েছিল নেহেরু স্টেডিয়ামে, প্রদীপ জ্বেলে হয়েছিল পুজো, এছাড়া প্রদেশের বিভিন্ন মন্দির, মসজিদ ও চার্চেও লাভলীনার জন্য প্রার্থনা করা হয়৷  কারণ লাভলীনা অসমের প্রথম ক্রীড়াবিদ হিসেবে পদক জিতবেন৷

২৩ বছরের লাভলীনা অলিম্পিক্সে এখনও অবধি নিজের সহজাত খেলা ধরে রেখেই একের পর এক বাধা টপকেছেন৷ তিনি এবছরেই অনুর্ধ্ব ২৩ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে সোনা জিতেছেন৷

Tokyo Olympics 2020: India vs Belgium: অলিম্পিক্স সেমিফাইনালে হকিতে কাঁটায় কাঁটায় টক্করেও হার, এবার লক্ষ্য ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচ

#টোকিও: সোমবার সকাল থেকেই  টিভি ও মোবাইল স্ক্রিনে চোখ লাগিয়ে বসেছিলেন ভারতীয় হকি ফ্যানরা৷ ৪১ বছর বাদে দেশ অলিম্পক্সের সেমিফাইনালে (semifinal)! কিন্তু পেনাল্টি বক্সে ডিফেন্সের ভুলে গাদা গাদা পেনাল্টি কর্নার পায় বেলজিয়াম দল (India vs Belgium) আর তারই হাত ধরে সেমিফাইনালে ৫-২ গোলে ভারতকে হারিয়ে টোকিও অলিম্পিক্সের (Tokyo Olympics 2020) ফাইনালে পৌঁছে গেল বেলজিয়াম৷ ভারতকে এবার খেলতে হবে ব্রোঞ্জ মেডেলের লক্ষ্যে৷

এদিন শুরুর প্রায় দু মিনিটের মধ্যেই প্রথমে গোল করে এগিয়ে যায় বেলজিয়াম৷ যদিও দেরি করেনি ভারত হরমনপ্রীতের গোলে সমতা ফেরায়৷ এর আট মিনিটের মধ্যে ফের গোল৷ এবার গোল করেন টিম ইন্ডিয়ার মনদীপ সিং৷ বিশ্ব মঞ্চে বিশ্বমানের প্রদর্শন এই তরুণের৷ ২-১ এগিয়ে প্রথম কোয়ার্টার শেষ করে ভারত৷

এরপর একের পর এক পেনাল্ট কর্নার পেতে থাকে বেলজিয়াম৷ গোলের নিচে পুরো টুর্নামেন্টের মতোই এদিনও শ্রীজেশের দক্ষতা অতুলনীয়৷ তবে নিজের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে নিজেদের পঞ্চম পেনাল্টি কর্নারে গোল করে ম্যাচে সমতা ফেরায় তারা৷

তৃতীয় কোয়ার্টারে দুই দলই গোলের জন্য একের পর এক আক্রমণ শানায় কিন্তু গোলমুখ খুঁজে পায়নি কোনও পক্ষই৷ চতুর্থ কোয়ার্টারে বেলজিয়াম পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ফের এগিয়ে যায়৷ চতুর্থ কোয়ার্টারের সাত মিনিট বাকি থাকতে এবার পেনাল্টি পায় বেলজিয়াম৷ ফলে ফের একটি গোল৷ ৪-২ গোলে পিছিয়ে যায় ভারত৷ খেলার একদম শেষ মিনিটে আরও একটা গোল করে বেলজিয়াম৷ খেলার ফল দাঁড়ায় ৫-২৷  সেখান থেকে আর ফিরতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া৷ এবার ভারতের লক্ষ্য হবে ব্রোঞ্জ মেডেল ম্যাচ জিতে হকিতে মেডেল খরা কাটানো৷

ভারতীয় পুরুষ হকি দল টোকিও অলিম্পিক্সে (Tokyo Olympics) সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল৷ ১৯৮০ -র পর এবারই প্রথম ভারতীয় পুরুষ হকি দল শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে৷ দল কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রিটেনের বিরুদ্ধে ৩-১ গোলে জেতে৷ ভারতীয় পুরুষ হকি দল সেমিফাইনালে বেলজিয়ামের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মন্ত্রে দীক্ষিত হয়েই নেমেছিল৷

অলিম্পিক্সে ইতিহাস তৈরি করেছিল ভারতীয় হকি দল৷ ১১ মেডেল জিতে আসে৷ ৮ টি সোনা জিতেছিল তারা৷ ১৯২৮, ১৯৩২, ১৯৩৬, ১৯৪৮, ১৯৫২, ১৯৫৬, ১৯৬৪, এবং ১৯৮০ সালে সোনা পায়৷ এছাড়া ১৯৬০ সালে রুপোর মেডেল পায় হকি দল৷ ১৯৬৮, ১৯৭২ সালে ব্রোঞ্জও পেয়েছিল টিম ইন্ডিয়া৷ কিন্তু গত ৪১ বছরে কোনও মেডেল আসেনি অলিম্পিক্স থেকে৷ ভারতীয় দল এই লম্বা মেডেল খরা এবার শেষ করতে বদ্ধপরিকর৷ টোকিও ভারত এখনও অবধি ৬ টি ম্যাচ খেলেছে এবং ৫ টি জিতেছে৷ একটি ম্যাচ তারা হেরেছে সেটা অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে৷ এদিনের জয় পরপর চারটি ম্যাচ জিতল তারা৷

এদিকে বেলজিয়ামের কথা বললে তারা এখনও অবধি হকি অলিম্পিক্সে কখনও সোনার পদক জেতেনি৷ তাঁরা দুটি মেডেল পেয়েছে, ২০১৬ তে রিও অলিম্পিক্সে রুপো পেয়েছে এবং ১৯২০ তে তারা ব্রোঞ্জ জিতেছিল৷ তবে এবারের অলিম্পিক্সে তারা একটিও ম্যাচ হারেনি বেলজিয়াম৷ ৬টি ম্যাচের ৫ টি ম্যাচ জিতেছে তারা, একটি ড্র করেছে৷ কিন্তু অলিম্পিক্স মেডেলের হিসেবে ভারতীয় হকি দল বহুগুণে এগিয়ে আছে পুরনো পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে৷ ব্রিটেন , বেলজিয়ামের সঙ্গে ২-২ ড্র করেছিল৷ সেই ব্রিটেনকে হারিয়েই শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে ভারতীয় হকি দল৷

EX Coach কবীর খান সোনা আনতে বলেছিলেন, উত্তরে যা বললেন ভারতীয় মহিলা হকি দলের বর্তমান কোচ

#টোকিও:  রিল ও রিয়েল ভারতীয় মহিলা হকি দলের দুই কোচ একেবারে জব্বর গল্প শুরু করেছেন নেট মাধ্যমে৷ সোমবার ভারতীয় মহিলা হকি দল  অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর থেকেই শাহরুখ খানের কবীর খান প্রসঙ্গ সামনে চলে আসে৷ চাখ দে-র মতোই মহিলা হকি দলের উড়ানকে দেখছেন সকলেই৷

রিলের কবীর খান আর রিয়েল লাইফের Sjoerd Marijne আজ মিলে মিশে একাকার৷ সোমবার সকালে ভারতীয় মহিলা হকি দল গড়েছে নজির৷ কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট জোগাড় করেছেন ভারতের মেয়েরা৷ গুরজিৎ কৌরের গোলে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারতীয় মেয়েরা৷ তারপর থেকেই চাখ দে সিনেমার উল্লেখ টেনে সকলেই এই কোচকে পর্দার কবীর খানের সঙ্গে তুলনা করেছেন৷

কোচ এমন একজন যিনি সঠিকভাবে শিক্ষা দিলে মোটিভেট করলে সবকিছু বদলে যায়৷ Sjoerd Marijne যেন ভারতীয় মহিলা হকিতে সেই জাদু কাঠির ছোঁওয়া৷ দল জেতার পরই তিনি ট্যুইট করে বাড়ির লোককে জানিয়ে দিয়েছেন ফিরতে আরও কিছুদিন দেরি হবে৷ মজার ছন্দে দিয়েছেন বড় বার্তা৷

যখন সকলেই এই কোচে মজে রয়েছেন তাই নয় খোদ বলিউড বাদশা ৷ তিনি কোচের ট্যুইট কানেক্ট করে নিজের ট্যুইট করেছেন৷ লিখেছেন বাড়ি ফিরতে দেরি হলে ক্ষতি নেই৷ তবে তিনি ধনতেরাসের আগেই সোনা নিয়ে আসতে লিখেছেন৷

শাহরুখ খান সোনা চেয়ে ট্যুইট করতেই ‘এক্স কোচের’ ট্যুইটের জবাব দিলেন বর্তমান মহিলা কোচ৷ তিনি লিখেছেন,

একের পর এক ট্যুইট করেছেন নেটিজেনরা৷

সব মিলিয়ে ভারতীয় হকি দলের পারফরম্যান্স নিয়ে চরম উত্তেজনায় নেটিজেনরা৷ পাশাপাশি দেখে নিন ঐতিহাসিক ম্যাচে ভারতীয় মহিলা দলের অসামাণ্য পারফরম্যান্সের গোলটি৷


কবীর খান ও ভারতীয় মহিলা হকি দলের কোচ এখন একসঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে৷

Indian Women Hockey Team|| মহিলা দলের কোচের ট্যুইটে পাল্টা ট্যুইট শাহরুখ খানের, কী বললেন কিং খান

#মুম্বই: রিলের কবীর খান আর রিয়েল লাইফের Sjoerd Marijne আজ মিলে মিশে একাকার৷ সোমবার সকালে ভারতীয় মহিলা হকি দল গড়েছে নজির৷ কোয়ার্টার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট জোগাড় করেছেন ভারতের মেয়েরা৷ গুরজিৎ কৌরের গোলে ইতিহাস তৈরি করেছে ভারতীয় মেয়েরা৷ তারপর থেকেই চাখ দে সিনেমার উল্লেখ টেনে সকলেই এই কোচকে পর্দার কবীর খানের সঙ্গে তুলনা করেছেন৷

কোচ এমন একজন যিনি সঠিকভাবে শিক্ষা দিলে মোটিভেট করলে সবকিছু বদলে যায়৷ Sjoerd Marijne যেন ভারতীয় মহিলা হকিতে সেই জাদু কাঠির ছোঁওয়া৷ দল জেতার পরই তিনি ট্যুইট করে বাড়ির লোককে জানিয়ে দিয়েছেন ফিরতে আরও কিছুদিন দেরি হবে৷ মজার ছন্দে দিয়েছেন বড় বার্তা৷

যখন সকলেই এই কোচে মজে রয়েছেন তাই নয় খোদ বলিউড বাদশা ৷ তিনি কোচের ট্যুইট কানেক্ট করে নিজের ট্যুইট করেছেন৷ লিখেছেন বাড়ি ফিরতে দেরি হলে ক্ষতি নেই৷ তবে তিনি ধনতেরাসের আগেই সোনা নিয়ে আসতে লিখেছেন৷

একের পর এক ট্যুইট করেছেন নেটিজেনরা৷

সব মিলিয়ে ভারতীয় হকি দলের পারফরম্যান্স নিয়ে চরম উত্তেজনায় নেটিজেনরা৷ পাশাপাশি দেখে নিন ঐতিহাসিক ম্যাচে ভারতীয় মহিলা দলের অসামাণ্য পারফরম্যান্সের গোলটি৷


কবীর খান ও ভারতীয় মহিলা হকি দলের কোচ এখন একসঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে৷

Indian Hockey Team|| ৪১ বছর বাদে হকিতে সেমিফাইনাল,Tokyo Olympics 2020-র মঞ্চে ‘চাক দে’ শুরু

#টোকিও: টোকিওতে কী হবে৷ দুরুদুরু বক্ষে প্রহর গুনছিলেন ভারতীয় ফ্যানরা৷ রবিবার বিকেলে গ্রেট ব্রিটেনের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনাল৷ দিলপ্রীত-গুরজন্তের স্টিকের জাদুতে ব্রিটেনর জালে প্রথমার্ধের মধ্যেই দুবার গোল হয়ে যায়৷ একটি গোল ছিল প্রথম কোয়ার্টারে আর দ্বিতীয় গোলটি ছিল দ্বিতীয় কোয়ার্টারে৷

কিন্তু থার্ড কোয়ার্টারের একদম শেষে পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে গ্রেট ব্রিটেন৷ ৫৭ মিনিটে হার্দিক সিং এক অনবদ্য গোল করেন৷ সোল রানে বিপক্ষের ডি-তে ঢুকে এক অনবদ্য গোল করে যান৷

ইতিহাস কড়া নাড়ছিল ভারতীয় পুরুষ হকি দলের  (Indian men’s hockey team) সামনে৷ অলিম্পিক্সে হকিতে আটবারের চ্যাম্পিয়ন শেষবার শেষ চারে পৌঁছেছিল ৪১ বছর আগে৷ রবিবার গ্রেট ব্রিটেনের (Great Britain)  সঙ্গে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রত্যাশার মান বজায় রেখে স্বপ্ন ছোঁওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল ভারতের সামনে৷

আটটি সোনার পদক হকিতে কার্যত এক অবিশ্বাস্য পারফরম্যান্স -কিন্তু তারপর হকিতে এসেছিল ঘন কালো অন্ধকার৷ ১৯৮০ মস্কো গেমসের (1980 Moscow Games) পর আর শেষ চারে পৌঁছনো হয়নি ভারতীয় পুরুষ হকি দলের৷

১৯৮০ -র পর শুধুই নিম্নগামী ছিল পারফরম্যান্সষ এরপর ভারতের সেরা হকি পারফরম্যান্স ছিল১৯৮৪ সালে যখন ভারতীয় পুরুষ হকি দল পঞ্চম হয়েছিল৷ সেটা ছিল লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্স৷

২০০৮ বেজিং গেমসে ভারত হকি বিভাগের যোগ্যতা অর্জন অবধি করতে পারেনি৷ ২০১৬ -রিও অলিম্পিক গেমসে শেষ স্থানে থেকে লড়াই শেষ করেছিল তারা৷ কিন্তু দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আর যখন পিছনোর জায়গা থাকে না, তখন সামনে এগোতেই হয়৷ এবারের টোকিও অলিম্পিক্সে ভারতের হকি দলের পারফরম্যান্স যেন সেই মন্ত্রেই দীক্ষিত ছিল৷ গত পাঁচ বছরের অনেক ঘাম -রক্ত-জল করা পারফরম্যান্সের ফসল ভারত পেয়েছে বিশ্ব হকি ক্রমতালিকায় এখন বিশ্বের তৃতীয় দল তারা৷

২ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ান গ্রাহাম রিড দলের মধ্যে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনেন৷ বাড়ান দলের প্লেয়ারদের মধ্যে যোগসূত্র৷ এই পদক্ষেপ গুলিই একটু একটু করে দলের আত্মবিশ্বাসকে অনেকটা বাড়িয়ে দিয়েছে৷ নিজের স্কিলও বাড়িয়েছেন দলের সদস্যরা৷ তবে চাপের বিরুদ্ধে লড়াই করার নতুন মন্ত্র পেয়েছেন তাঁরা৷

৭-১ অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হার ছাড়া কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত ভারতীয় হকি দলের পারফরম্যান্স এককথায় পারফেক্ট ছিল৷ নিজেদের গ্রুপের পাঁচটির মধ্যে চারটি ম্যাচেই জিতেছিল তারা৷ শুধু অস্ট্রেলিয়ার পিছনে থেকে তারা শেষ করেছিল নিজেদের গ্রুপ পর্ব৷

মনদীপ সিং, গুরজত সিং, সিমরনজিৎ সিংরা অলিম্পিক্সের নানা ম্যাচে খেলার বৈচিত্রে ও আক্রমণাত্মক মানসিকতায় দলকে এগিয়ে দিয়েছেন৷ গোলে অভিজ্ঞ পি শ্রীজেস দলকে আরও গভীরতা দিয়েছে৷ মাঝমাঠে মনপ্রীত সিং , নীলকান্ত শর্মাদের কথা না বললে অন্যায় হবে৷ ড্র্যাগ ফ্লিকার রুপিন্দর পাল সিং, হরমনপ্রীত সিং, অমিত রোহিদাস, বরুণ কুমাররাও অনন্য৷ এ এক অন্যরকমের ভারতীয় দল৷ যেখানে ব্যাক্তিগত নামের উর্ধ্বে দল বড় হয়ে গেছে৷

PV Sindhu|| Tokyo Olympics 2020: জাপানি প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে অলিম্পিক্সের সেমিফাইনালে পিভি সিন্ধু

#টোকিও: ভাবা হয়েছিল শুক্রবার দুপুরে চলতি অলিম্পিক গেমসের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষায় নামতে চলেছেন পি ভি সিন্ধু। উল্টোদিকে ছিলেন  জাপানের আকেনে ইয়ামাগুচি। একটা সময় পর্যন্ত বিশ্বের এক নম্বর মহিলা ব্যাডমিন্টন তারকা ছিলেন তিনি। এই মুহূর্তে ৫ নম্বর। সিন্ধু ৭। কিন্তু সিন্ধুর সিংহ গর্জনে ঘরের মেয়ে বিশেষ সুবিধা করতে পারলেন না৷ স্ট্রেট সেটে পিভি সিন্ধু জিতে নিলেন সেমিফাইনালের টিকিট৷

খেলার ফল ২১-১৩, ২২-২০৷ প্রথম গেমে জাস্ট প্রতিপক্ষকে খাপ খুলতে দেননি ভারতীয় শাটলার৷

দ্বিতীয় গেমে জাপানি ইয়ামাগুচি কিছুটা লড়াই করার চেষ্টা করলেও সিন্ধু অপ্রতিরোধ্য ছিলেন দ্বিতীয় গেম জিতে নেন ২২-২০ তে৷

এদিকে রিও অলিম্পিক্সের পর ফের একবার অলিম্পিক্স পদক জয়ের হাতছানি হায়দরাবাদি এই শাটলারের সামনে৷

মাত্র পাঁচ ফুট এক ইঞ্চির উচ্চতা নিয়েও দুরন্ত রিফ্লেক্স এবং কোর্ট কভারেজ তার অন্যতম শক্তি। সিন্ধুর বিরুদ্ধে খেলেছেন মোট ১৮ বার। সিন্ধু জিতেছেন ১১ বার। ইয়ামাগুচির জয় সাতটি।

উচ্চতা, শক্তিতে ভারতীয় তারকা এগিয়ে থাকলেও, ইয়ামাগুচি কিন্তু ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন। এদিন সিন্ধু জিতে যাওয়ার পর জাপানি তারকা অন্য একটি ম্যাচে খেলছিলেন। সিন্ধুর দক্ষিণ কোরিয়ান কোচ পার্ক সেই ম্যাচ পুরো দেখেছেন।  সিন্ধু জানিয়েছিলেন ডেনমার্কের প্রতিদ্বন্দ্বীর বিরুদ্ধে একটা সময় ফোকাস হারিয়ে ফেলেছিলেন। নিজের ডিফেন্সে বেশি জোর দিচ্ছিলেন। কিন্তু পেছন থেকে পার্ক টানা ভুল ধরিয়ে যাচ্ছিলেন। সেইমতো নিজেকে শুধরে নিয়েছিলেন দ্বিতীয় গেমে।

জাপানির বিরুদ্ধে ম্যাচ আরও কঠিন হবে মেনেছিলেন ভারতীয় তারকা। তবে পাশাপাশি ইয়ামাগুচির পক্ষেও লড়াইটা সহজ হবে না জানিয়েছিলেন রাখলেন ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের নতুন তারকা। প্রি কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে ডেনমার্কের মিয়া ব্লিচফেল্ডকে হারিয়ে অলিম্পিক্সের কোয়ার্টার ফাইনালে উঠছিলেন ভারতের এক নম্বর ব্যাডমিন্টন তারকা ৷ হায়দরাবাদি শাটলার এদিন ম্যাচ জিততে সময় নেন মাত্র ৪১ মিনিট ৷ জিতলেন স্ট্রেট গেমে ৷ খেলার ফল ২১-১৫, ২১-১৩ ৷ প্রথম গেম জিততে সিন্ধুর সময় লাগে মাত্র ২২ মিনিট ৷ দ্বিতীয় গেম জেতেন আরও কম সময়ে, ১৯ মিনিটে ৷

ডেনমার্কের প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যাচে সেভাবে কোনও প্রতিরোধই গড়ে তুলতে পারেননি এদিন ৷ ফলে সহজেই ম্যাচ জেতেন সিন্ধু ৷ টোকিওয়ে ষষ্ঠ বাছাই ভারতীয় তারকা ক্রমেই এগিয়ে চলেছেন পদক জয়ের পথে ৷ ভারতের আশা-ভরসা এখন তিনিই ৷কিন্তু শুক্রবার চলতি টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বেশি কঠিন লড়াই সিন্ধুর একথা চোখ বন্ধ করে বলে দেওয়া যায়। কিন্তু অতিরিক্ত চাপ নিতে রাজি নয় ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের প্রধান তারকা।

Lovlina Borgohain |Tokyo Olympics 2020: শুভেচ্ছা উপচে যাচ্ছে লাভলিনার জন্য, শুক্রবার সকালে সুখবর

#টোকিও: শুক্রবার সকালবেলাতেই এল সুখবর৷ ভারতের দ্বিতীয় পদক নিশ্চিত৷ ৬৯ কেজি বক্সিংয়ের সেমিফাইনালে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই পদক নিশ্চিত করে ফেললেন অসমের প্রত্যন্ত গ্রামের মেয়ে লাভলিনা (Lovlina Borgohain)৷ এদিকে লাভলিনা পদক নিশ্চিত করা মাত্রই শুভেচ্ছার ঢল নামতে শুরু করে৷ প্রাক্তন ও বর্তমান ক্রীড়ামন্ত্রী৷ দুজনেই লাভলিনাকে কোয়ার্টারফাইনালে অসামাণ্য বাউটের জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছেন৷

অসমের প্রথম মহিলা বক্সার হিসেবে এই পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা৷

 ইতিহাসে ভারতের মেয়ে৷ মীরাবাই চানু রুপো পাওয়ার পর ভারতের দ্বিতীয় পদক নিশ্চিত করলেন আরেক মেয়ে তিনি লাভলিনা (Lovlina Borgohain)৷ চাইনিজ তাইপেইয়ের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হার না মানা মন নিয়ে চরম লড়াই উত্তর পূর্বের তরুণীর৷ এদিন চেন এনসিকে হারালেন ৪-১৷

এদিন কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে ৬৯ কেজি বক্সিংয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছলেন তিনি৷ আর এরই সঙ্গে অন্তত ব্রোঞ্জ পদক পাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল তাঁর৷

এদিনের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তরুণী এই বক্সার৷

এদিকে লাভলিনা বেরগোহাইন (Lovlina Borgohain), নামটা আজকের আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষের মানুষের কাছে খুব একটা পরিচিত ছিল না। কিন্তু মঙ্গলবার জার্মানির অভিজ্ঞ মহিলা বক্সার নাদাইন এপেটজের বিরুদ্ধে তাঁর ৩:২ জয় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী তার নাম ছড়িয়ে দেবে। বুদ্ধি করে দুরন্ত ম্যাচ খেললেন তিনি। পৌঁছে গেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। জ্যাব, কাট, হুক সবেতেই প্রায় নিখুঁত ছিলেন তিনি। ২৪ বছর বয়সী লভলিনা বোরগোহেইন একজন মহম্মদ আলির ভক্ত এবং তিনি কীভাবে কিংবদন্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন সে সম্পর্কে একটি আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে।

লভলিনা (৬৯ কেজি) (Lovlina Borgohain) বিভাগে একটি বাই পেয়েছিলেন। প্রথম লড়াই জার্মানির নাদাইন এপেটজের বিরুদ্ধে নিজের রাজ্য অসম এবং দেশ ভারতের প্রত্যাশা বাড়িয়ে রিং -য়ে নেমেছিলেন তিনি। অসমের প্রত্যন্ত অঞ্চল গোলাঘাট থেকে এই মেয়ের উঠে আসার গল্পটা দারুন রোমাঞ্চকর। লাভলিনার আরও দুই বোন রয়েছে।। তারা কিকবক্সিং শিখেছেন ছোটবেলা থেকে। লাভলিনা নিজেও প্রথমে কিক বক্সার ছিলেন। পরে সাইয়ের এক কোচের হাতে পড়ে পুরোপুরি বক্সার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

Lovlina Borgohain |Tokyo Olympics 2020: লাভলিনা বক্সিং সেমিতে, ফের অলিম্পিক্স থেকে আসছে ভারতের পদক

#টোকিও: ইতিহাসে ভারতের মেয়ে৷ মীরাবাই চানু রুপো পাওয়ার পর ভারতের দ্বিতীয় পদক নিশ্চিত করলেন আরেক মেয়ে তিনি লাভলিনা (Lovlina Borgohain)৷ চাইনিজ তাইপেইয়ের প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে হার না মানা মন নিয়ে চরম লড়াই উত্তর পূর্বের তরুণীর৷ এদিন চেন এনসিকে হারালেন ৪-১৷

এদিন কোয়ার্টার ফাইনালে জিতে ৬৯ কেজি বক্সিংয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছলেন তিনি৷ আর এরই সঙ্গে অন্তত ব্রোঞ্জ পদক পাওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল তাঁর৷

এদিনের রুদ্ধশ্বাস জয়ের পর আবেগ ধরে রাখতে পারেননি তরুণী এই বক্সার৷

এদিকে লাভলিনা বেরগোহাইন (Lovlina Borgohain), নামটা আজকের আগে পর্যন্ত ভারতবর্ষের মানুষের কাছে খুব একটা পরিচিত ছিল না। কিন্তু মঙ্গলবার জার্মানির অভিজ্ঞ মহিলা বক্সার নাদাইন এপেটজের বিরুদ্ধে তাঁর ৩:২ জয় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী তার নাম ছড়িয়ে দেবে। বুদ্ধি করে দুরন্ত ম্যাচ খেললেন তিনি। পৌঁছে গেলেন কোয়ার্টার ফাইনালে। জ্যাব, কাট, হুক সবেতেই প্রায় নিখুঁত ছিলেন তিনি। ২৪ বছর বয়সী লভলিনা বোরগোহেইন একজন মহম্মদ আলির ভক্ত এবং তিনি কীভাবে কিংবদন্তি সম্পর্কে জানতে পেরেছিলেন সে সম্পর্কে একটি আকর্ষণীয় গল্প রয়েছে।

লভলিনা (৬৯ কেজি) (Lovlina Borgohain) বিভাগে একটি বাই পেয়েছিলেন। প্রথম লড়াই জার্মানির নাদাইন এপেটজের বিরুদ্ধে নিজের রাজ্য অসম এবং দেশ ভারতের প্রত্যাশা বাড়িয়ে রিং -য়ে নেমেছিলেন তিনি। অসমের প্রত্যন্ত অঞ্চল গোলাঘাট থেকে এই মেয়ের উঠে আসার গল্পটা দারুন রোমাঞ্চকর। লাভলিনার আরও দুই বোন রয়েছে।। তারা কিকবক্সিং শিখেছেন ছোটবেলা থেকে। লাভলিনা নিজেও প্রথমে কিক বক্সার ছিলেন। পরে সাইয়ের এক কোচের হাতে পড়ে পুরোপুরি বক্সার হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন।

পাঁচ ফুট আট ইঞ্চির উচ্চতার মেয়েটি টোকিওতে ভাল করবেন এই আশায় গোটা অসম রাজ্য জুড়ে দেওয়াল লিখন চলেছিল। অসম থেকে অলিম্পিকে যোগ্যতা অর্জন করা তিনিই ছিলেন প্রথম বক্সার। আত্মবিশ্বাস এবং লড়াকু মনোভাবের অভাব ছিল না। কিন্তু অলিম্পিকের মত বিশ্বের সেরা প্রতিযোগিতায় জিততে হলে শুধু আত্মবিশ্বাস এবং লড়াকু মনোভাব যথেষ্ট নয়।

টেকনিক, অভিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। এই তিনটি বিভাগেই লাভলিনার থেকে এগিয়েছিলেন জার্মানির মহিলা বক্সার। কিন্তু যেভাবে অভিজ্ঞ বক্সারকে হারালেন ভারতের মেয়ে, জাতি গর্বিত হতে পারেন দেশবাসী।

Tokyo Olympics 2020: লাইভ টিভিতে মুখ থেকে ‘F Bomb’ ! টোকিও অলিম্পিক্সে সোনা জয়ী অজি সাঁতারুর Viral Video

#টোকিও: দিব্যি চলছিল ব্যাপারটা! কিন্তু এ কী, টোকিও অলিম্পিক্সে ১০০ মিটার ব্যাকস্ট্রোকে (women’s Olympic 100m backstroke) সোনা জেতার পর মহিলা সাঁতারুর মুখ থেকে নিষিদ্ধ শব্দ উচ্চারিত হল! তাও আবার লাইভ টিভিতে৷ সোনা জয়ী সাঁতারু কেইলি  ম্যাককেওনসের (Kaylee McKeown) মা পরিষ্কার জানিয়েছেন এইরকম শব্দ কী করে তাঁর মেয়ে মুখে উচ্চারণ করল তা তিনি কথা বলে জানতে চাইবেন৷

তাঁর এই শব্দচয়নকে এখন ‘এফ বোম’ বলছেন নেটিজেনরা৷ অস্ট্রেলিয়ান এই সাঁতারু পুলে নতুন সেনসেশন৷ মঙ্গলবার ২০ বছরের ৫৭.৪৭ সেকেন্ড নিজের সাঁতার শেষ করেন৷ তাঁর নিজের বিশ্বরেকর্ডের চেয়ে যেটা সামাণ্য কম৷ এই রেসে কানাডার কেইলি মাসে ও ৫৭.৭২ সেকেন্ডে দ্বিতীয় হন, আমেরিকার রেগান স্মিথ ৫৮.০৫ সেকেন্ডে তৃতীয় হন৷ দিন কয়েক আগেই সোনা জয়ী অ্যাথলিটের বাবা মাত্র ৫৩ বছর বয়সে ব্রেন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে হেরে মারা গেছেন৷

সেই কারণেই তাঁর মধ্যে আবেগের বিস্ফোরণ একেবারে ভিতরে ভিতরে চলছিল৷ তাই অস্ট্রেলিয়ার চ্যানেল সেভেনকে জাস্ট সাঁতারের রেস জয়ের পরেই যখন সাক্ষাৎকার দিতে শুরু করেন তখন তাঁর মুখ থেকে আবেগের জেরে মুখ থেকে অশ্লীল শব্দ বার হয়৷ তিনি চ্যানেলে নিজের দেশে থাকা বড় দিদি ও মায়ের জন্য আবেগমথিত হয়ে পড়েন৷ তিনি বলেন কীভাবে কঠিন সময় কয়েকদিন আগে কাটিয়েছেন তাঁরা৷

তবে অশ্লীল শব্দ ( F-bomb ) বলার সঙ্গে সঙ্গে মুখে হাত দিয়ে দেন চ্যাম্পিয়ন এই অজি সাঁতারু৷

 

 

এদিকে আর পাঁচজন মায়ের মতোই তাঁর মাও বলেছেন, টিভিতে এই ধরণের শব্দচয়ন, মেয়ের সঙ্গে কথা বলতে হবে৷ এদিকে ম্যাককেয়নকে যখন জানানো হয় তাঁর মা তাঁকে নিয়ে কী বলেছেন, তাতে তিনি অবশ্য বলেছেন তিনি অসুবিধায় পড়বেন এমন মনে হয় না৷

তিনি বলেছেন, ‘‘আমি মায়ের ফেভারিট এখন যা করেছি , অন্তত একটু পছন্দের৷’’

McKeown পায়ের পাতায় একটি ট্যাটু রয়েছে যেখানে লেখা রয়েছে  “I’ll always be with you”- অর্থাৎ আমি সবসময় তোমার সঙ্গে থাকব৷ এটা তাঁর বাবার সম্মানে তিনি এটি বানিয়েছেন৷ এটা তাঁর জন্য একটা ইন্সপিরেশন৷

গত মাসে ট্রায়ালে তিনি স্মিথের বিশ্বরেকর্ড ভেঙেছিলেন৷ এবারের অলিম্পিক্সে তাঁর যোগ দেওয়া একেবারে উত্থান-পতনের কঠিন রাস্তা পেরিয়ে৷ তিনি বলেছেন, ‘‘সকলেরই নিজের নিজের কাহিনী রয়েছে তবে আমারটা সত্যি খুব শক্ত৷’’

 

 

 

Tokyo Olympics 2020: ফের জয়, টোকিও অলিম্পিক্সে শেষ ১৬-র টিকিট PV Sindhu-র

#টোকিও: জয়ের ধারা অব্যহত পিভি সিন্ধুর৷ টোকিও অলিম্পিক্সের গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচের পর দ্বিতীয় ম্যাচেও স্ট্রেট গেমে জিতলেন তিনি৷ হংকংয়ের এনওয়াই চেয়ুঙ্গকে হারালেন ২১-৯, ২১-১৬ তে৷ প্রথম গেমে হংকংয়ের প্রতিপক্ষ একেবারে দাঁড়াতেই পারেননি৷ দ্বিতীয় গেমে সিন্ধুর বিরুদ্ধে কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুললেও নিজের সেরাটা দিয়ে ফের একবার গেম বার করে নেন ভারতের তারকা শাটলার৷


এদিনের জয়ের ফলে নিজের গ্রুপ থেকে সেরা হয়ে শেষ ১৬-র টিকিট পেলেন তিনি৷ তাঁর প্রতিপক্ষ হবেন জাপানের আকানে ইয়ামাগুচি৷

 

এদিকে এর আগে করোনাকালে বেশ কিছুদিন খেলার থেকে দূরে ছিলেন, কিছু সমস্যাও তৈরি হয়েছিল৷ কিন্তু কোথাও কী টোকিও অলিম্পিক্সের (Tokyo Olympics 2020)  প্রথম রাউন্ডে ইজরায়েলের পলিকারপভা সেনীয়াকের বিরুদ্ধে ছন্দে ভারতের তারকা শাটলার পিভি সিন্ধু (PV Sindhu)৷

১২ মিনিটে প্রথম গেম ২১-৭ জিতে নেন সিন্ধু, ৫-৫ থেকে গেম নিজের দখলে নিতে এক মুহূর্ত সময় নষ্ট করেননি সিন্ধু৷ দ্বিতীয় গেম জেতেন ২১-১০৷ মাত্র ২১ মিনিটে জিতে নেন ৷

ইজরায়েলের পলিকারপভা সেনীয়া তালিকায় সিন্ধুর থেকে অনেকটা পিছিয়ে। কিন্তু প্রতিপক্ষকে হালকা করে দেখছিলেন না ভারতের ব্যাডমিন্টন সেন্সেশন। ইজরায়েলের এই প্রতিপক্ষ প্রথম ইজরায়েলি মেয়ে যিনি অলিম্পিক্সে দেশের হয়ে ব্যাডমিন্টন খেলছেন৷ তবে প্রথমে একটু ঝাঁঝ দেখালেও সিন্ধু খাপ খুলতেই আবেগের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আনফোর্ডস এরর শুরু করেন৷

লড়াইয়ে নামার আগে সিন্ধু মোটিভেশন খুঁজেছেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর থেকে। টোকিয়ো রওনা হওয়ার আগে অলিম্পিক্সের ওয়েবসাইটে সিন্ধু বলেছিলেন, ‘‘রোনাল্ডো যে ভাবে খেলেন, তা নিয়ে মুগ্ধতা প্রকাশ করার ভাষা নেই। ওঁর দক্ষতা, টেকনিক দুর্ধর্ষ।’’

তবে ব্যাডমিন্টন এর বিশ্বের সেরা স্পেনের ক্যারোলিনা মারিন এবার নেই। কিন্তু চাইনিজ তাইপেই, চিনের একাধিক প্লেয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ দিতে পারেন৷ প্রতিপক্ষরা কে কিরকম ফর্মে রয়েছেন তা জানা নেই কারণ করোনার জন্য অলিম্পিক্সের আগে কোনও বড় টুর্নামেন্ট খেলা যায়নি৷ পদকের রুপোলি রঙটা এবার জাপানে সোনালি করতেই হবে তাঁকে। ব্রাজিলে যেখানে থামতে হয়েছিল, জাপানে আরও ওপরে ওঠাই একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু ধাপে ধাপে ভাবতে চান। একটা করে ম্যাচ ধরে এগোতে চান। এটাই তো উন্নতির লক্ষণ।

বিগত কয়েক মাস নতুন কোচের কাছে শিখেছেন প্রতিপক্ষের মানসিকতা বুঝতে গেলে কী করতে হবে। ম্যাচ চলাকালীন নিজের কাউন্টার প্ল্যান তৈরি করতে হবে। সবমিলিয়ে শুধু প্রতিভা নয়, ট্যাকটিক্যাল দিক থেকেও এবার অনেক পরিণত সিন্ধুকে দেখা যাওয়ার আশা।