#মুম্বই: লড়াইটা এক বনাম সাতের। রবিবার ব্র্যাবোর্নে দুরন্ত ফর্মে থাকা কলকাতা নাইট রাইডার্স মুখোমুখি হবে দিল্লি ক্যাপিটালসের। নাইটরা চার ম্যাচের মধ্যে জিতেছে তিনটিতে। ঝুলিতে ছয় পয়েন্ট। সে জায়গায় দিল্লির সংগ্রহ মাত্র দু’পয়েন্ট। তিন ম্যাচের মধ্যে দু’টিতেই হেরেছে ঋষভ পন্থের দল। এই ম্যাচে জিততে না পারলে প্রবল চাপে পড়ে যাবে তারা। আর কেকেআরের জয়ের ধারা যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে তালিকায় শীর্ষস্থান আরও মজবুত হবে শ্রেয়স আয়ারদের।
আরব সাগরের পারে ছুটির দুপুরে দুই নেতার দ্বৈরথ ঘিরেও থাকবে বাড়তি আকর্ষণ। জাতীয় দলের ভাবী অধিনায়ক হিসেবে সম্ভাবনার পাদপ্রদীপে রয়েছেন উভয়েই। দুই বছর আগে দিল্লি ক্যাপিটালসের ফাইনালে ওঠার নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল দু’জনেরই। সেবার শ্রেয়সের নেতৃত্বে ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্স করেছিলেন পন্থ। আর গত মরশুমে চোটের জন্য শুরুতে খেলতে পারেননি শ্রেয়স। অগত্যা তাঁর পরিবর্তে অধিনায়ক হন ঋষভ।
পরে চোট সারিয়ে দলে যোগ দিলেও শ্রেয়স ফিরে পাননি নেতৃত্বের ব্যাটন। এবার নিলাম মঞ্চ থেকে তাঁকে তুলে নিয়েছে কেকেআর। দেওয়া হয়েছে নেতৃত্বভার। ফলে পুরনো ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধে রবিবার নাইট অধিনায়ক যে বাড়তি তাগিদ নিয়ে ঝাঁপাবেন, তা নিয়ে কোনও সংশয় নেই। শ্রেয়সের নেতৃত্বে দুরন্ত ছন্দেও রয়েছে কলকাতা। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট উপহার দিচ্ছে কোচ ব্রেন্ডন ম্যাকালামের ছেলেরা। চাপের মুখে জ্বলে ওঠাই নাইটদের এবারের বড় বৈশিষ্ট্য।
The Knights are all set for their next challenge against @DelhiCapitals! ?#KnightsTV presented by @glancescreen I #KKRHaiTaiyaar #KKRvDC #IPL2022 pic.twitter.com/zJpWR9C3Od
— KolkataKnightRiders (@KKRiders) April 10, 2022
আন্দ্রে রাসেল থেকে প্যাট কামিন্স, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ঝড় তুলে ম্যাচ জেতাচ্ছেন। টপ অর্ডারে দুই ‘আয়ার’ বেঙ্কটেশ ও শ্রেয়স জোগাচ্ছেন ভরসা। মিডল অর্ডারে স্যাম বিলিংসও দরকারের সময় রান করছেন। তবে কোয়ারেন্টাইন পর্ব কাটিয়ে ওঠা অ্যারন ফিনচ মাঠে নামলে বসতে হবে তাঁকে। শুরুতে অজিঙ্কা রাহানে ও মিডল অর্ডারে নীতীশ রানার ফর্ম অবশ্য কিছুটা উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের কাছে।
বোলিংয়ে উমেশ যাদব স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন। প্রতি ম্যাচেই পাওয়ার-প্লে’তে উইকেট নিচ্ছেন তিনি। এর সঙ্গে কামিন্স চলে আসায় তীক্ষ্ণতা বেড়েছে পেস আক্রমণে। মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে অভিষেকে খারাপ বল করেননি রসিক সালামও। ডেথ ওভারে রাসেল আবার গতির হেরফেরে ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলতে সিদ্ধহস্ত। দুই স্পিনার সুনীল নারিন ও বরুণ চক্রবর্তীও রয়েছেন ছন্দে।
তুলনায় দিল্লিকে একেবারেই জমাট দেখাচ্ছে না। ওপেনিংয়ে পৃথ্বী সাউকে বিধ্বংসী দেখিয়েছে লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে। কিন্তু, ডেভিড ওয়ার্নার, রভম্যান পাওয়েলরা রান পাননি। ঝড় তুলতে পারেননি অধিনায়ক পন্থও। ফলে বড় স্কোর গড়ে উঠছে না। কলকাতার বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে পন্থের দিকেই তাকিয়ে দল।