MI vs RCB, 1st innings : আরসিবির বিরুদ্ধে কম রান মুম্বইয়ের, ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লড়াই শুধু সূর্য কুমারের

মুম্বই ইন্ডিয়ান্স – ১৫১/৬

#পুনে: নিজেদের ইতিহাসে এরকম কঠিন সময় খুব বেশি আসেনি মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের। বিশেষ করে শেষ ম্যাচে কেকেআরের বিরুদ্ধে লজ্জাজনক হারের পর আজ বাঁচা মরার লড়াই ছিল পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের। আমরা জিতেছি একসাথে। আমরা হেরেওছি একসাথে।আমরা ঘুরে দাঁড়াব একসাথেই। আরসিবি’র বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে এভাবেই সতীর্থদের উজ্জীবিত করলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক রোহিত শর্মা।

চলতি আইপিএলে পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের অবস্থা রীতিমতো সঙ্গীন। প্রশ্ন উঠছে, দল গঠন নিয়েও। ‘ঘরের মাঠ’, বিপুল দর্শক সমর্থন সত্ত্বেও মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের এই পদস্খলন বিস্মিত করেছে ক্রিকেট মহলকে। তবে চ্যাম্পিয়নরা জানে, আঁধার কাটিয়ে কীভাবে আলোয় ফিরতে হয়। তাই তো এখনও স্বপ্ন দেখছেন সমর্থকরা।

শনিবারের ম্যাচটা রোহিতদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তলানিতে ঠেকা মনোবলে অক্সিজেন জোগাতে দরকার মূল্যবান জয়। কিন্তু লড়াইটা সহজ হবে না। প্রতিপক্ষ যে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সাফল্যের নিরিখে দুই দলের মধ্যে বিস্তর ফারাক থাকলেও কাগজে-কলমে খুব বেশি পার্থক্য নেই দু’দলের গঠন বিন্যাসে। তাছাড়া চলতি আইপিএলের এখনও অবধি দুই দলের পারফরম্যান্সও বিপরীতমুখী। পরপর তিনটি ম্যাচ হেরে দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে রোহিত বাহিনীর। অন্যদিকে, আরসিবি তিনটি খেলে জিতেছে দু’টিতে।

লড়াইয়ের ভরকেন্দ্র দুই নায়ককে ঘিরে। অনেকেই এই ম্যাচটাকে দেখছেন রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলির মর্যাদার দ্বৈরথ হিসেবেই। টস জিতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ব্যাট করতে পাঠালেন ফ্যাফ ডু প্লেসি। রোহিত শর্মার সঙ্গে ওপেন করতে নেমে ঈশান কিষান প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন। পাওয়ার প্লে উইকেট না হারিয়ে মুম্বই ছিল ৪৯/০।

এরপর হর্ষল প্যাটেল এসেই তুলে নিলেন রোহিতকে (২৬)। হাঁফ ছেড়ে বাঁচল আরসিবি। এলেন তরুণ দেওয়াল্ড ব্রেভিস। কিন্তু এদিন সম্পূর্ণ ব্যর্থ তিনি। ৮ করে এলবিডব্লিউ হলেন হাসারাঙ্গার বলে। এরপর ফিরে গেলেন ঈশান কিষান (২৬)। বাংলার আকাশদীপের বলে ক্যাচ নিলেন সিরাজ।

এবার খাতা না খুলেই রান আউট তিলক বর্মা। দুরন্ত রিফ্লেক্স দেখালেন ম্যাক্সওয়েল। বাংলার আকাশদীপ এদিন দুরন্ত বল করলেন। গতি এবং সুইংয়ে চাপ সৃষ্টি করলেন মুম্বইয়ের ওপর। পোলার্ড এলেন আর গেলেন। খাতা না খুলে হাসারাঙ্গার বলে এলবি হলেন। ৬২ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে মুম্বই তখন ধুঁকছে।

রামনদীপ (৬) ফিরে গেলেন হর্ষলের বলে। কিন্তু যতক্ষণ সূর্য কুমার যাদব ছিলেন আশা ছিল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স দলের। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে দাঁড়িয়ে একাই লড়াই চালালেন স্কাই। বেশ কিছু মন্ত্রমুগ্ধ করার মত শট খেললেন। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স কিছুটা ভদ্রস্থ জায়গায় পৌঁছল সূর্য কুমারের জন্য। হাফ সেঞ্চুরি করলেন।