#কলকাতা: একটা জয় পাল্টে দিয়েছে গোটা পরিস্থিতিটা। দম বন্ধ করা পরিস্থিতি উধাও ইস্টবেঙ্গল থেকে। এটাই চাইছিল লাল হলুদ সমর্থকরা। ডার্বির আগে গুয়াহাটির মাঠে বড় জয় দলটার আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করেছে। প্রত্যক্ষ হিসেবে নর্থইস্ট খুব একটা ভাল না হলেও, বিপক্ষ শিবিরের ঘরের মাঠে গিয়ে জয় সবসময় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে থাকে একটা দলের।
মানসিক শক্তি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এটাই এখন ইস্টবেঙ্গল দলের হয়েছে। ছন্দে ফিরেছে দল। ডার্বির আগে যা যথেষ্ট স্বস্তি দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনকে। দলের ফোকাস যাতে নড়ে না যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক তিনি। তাই ইভান, ক্লেটনদের উপর জারি করেছেন ফতোয়া। বড় ম্যাচের আগে মুখ খোলা যাবে না মিডিয়ার সামনে।
অনুশাসনের পাশাপাশি স্টিফেন বাড়তি জোর দিয়েছেন অনুশীলনেও। এটিকে মোহনবাগান গত দু’দিন ছুটির মেজাজে ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ কোচ নিয়মিত প্র্যাকটিস করিয়েছেন সুহেরদের। সময় বের করে দক্ষিণ কলকাতার এক কালীপুজো মণ্ডপ পরিদর্শনেও যান কোচ কনস্টানটাইন। দীপাবলি উপলক্ষে ফুটবলারদের উপহার তুলে দেওয়া হয় ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে।
Getting into the derby strides! ??#JoyEastBengal #KolkataDerby #ATKMBEBFC #আমাগোমশাল pic.twitter.com/mpaDxpj2A4
— East Bengal FC (@eastbengal_fc) October 28, 2022
রক্ষণ মজবুত করার পাশাপাশি আক্রমণভাগের খামতি মেটানোর অনুশীলনে জোর দিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। সবুজ-মেরুন ডিফেন্স ভাঙতে উইং প্লে’কেই যে হাতিয়ার করতে চান তিনি, তা স্পষ্ট লাল-হলুদের অনুশীলনে। দুই প্রতিশ্রুতিবান অ্যাটাকার হিমাংশু জ্যাংড়া ও অনিকেত যাদব যোগ দেওয়ায় দলের আক্রমণভাগ শক্তিশালী হয়েছে।
মিডফিল্ডার অ্যালেক্স লিমা ও ফরোয়ার্ড এলেয়ান্দ্রো ফিট। এমন পরিস্থিতিতে ডার্বির প্রথম একাদশে চার বিদেশি ফুটবলার বাছতে কিছুটা সমস্যা হবে ব্রিটিশ কোচের। গত ম্যাচে তিন ডিফেন্ডার সার্থক গোলুই, লালচুননুঙ্গা ও জেরি ভরসা দিয়েছেন। নড়বড়ে দেখিয়েছিল একমাত্র বিদেশি স্টপার ইভান গঞ্জালেজকে।
উইনিং কম্বিনেশনে বড়সড় পরিবর্তনেও নারাজ স্টিফেন। অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার জর্ডান, সাইপ্রাসের কিরিয়াকু দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন। ব্রাজিলের ক্লিটন সিলভা যতক্ষণ মাঠে ছিলেন তার জাত চিনিয়ে দিয়েছেন। তাই এবার এটিকে মোহনবাগানকে সহজে ছেড়ে দেবে না ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে অল্পের জন্য হেরে গিয়েছিল তারা, তাও আত্মঘাতী গোলে। এবার চাকা ঘোরাতে মরিয়া লাল হলুদ ব্রিগেড।