Tag Archives: Kolkata Derby

MB vs EB: শেষ মুহূর্তে গোল পেত্রাতোসের, বড় ম্যাচে সমতা ফেরাল মোহনবাগান! খেলার ফল ২-২

MB vs EB: দিমিত্রি পেত্রাতোসের গোলে সমতা ফেরাল মোহনবাগান৷ ম্যাচের ৮৭ মিনিটে দুরন্ত গোল করে সমতা ফেরান অজি তারকা৷ আপাতত খেলার ফল ২-২৷

প্রথমার্ধে ১-১ থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ৫৪ মিনিটে ক্লেইটন সিলভার পেনাল্টি থেকে বড় ম্যাচে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল৷ ৮০ মিনিট পর্যন্ত খেলার ফল ২-১৷

আইএসএলের এই মরশুমের প্রথম ডার্বি ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম সরগরম৷ মোহনবাগানের হোম ম্যাচে শুরুতে গোল করে এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল৷ কিন্তু বেশিক্ষণ সেই লিড ধরে রাখতে পারেনি৷ প্রথমার্ধেই খেলা জমে দই৷

ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার ৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের দারুণ আক্রমণ৷  বাঁ প্রান্তে উঠে বক্সে বল বাড়ান নিশু কুমার৷ এরপর বল জালে জড়িয়ে দিতে কোনও ভুল করেননি অজয় ছেত্রী৷

তবে এদিন এই শুরুতে এই গোল খেয়ে যাওয়াটাই চাগিয়ে দেয় মোহনবাগানকে৷ হাবাসের ছেলেরা গোল খেয়ে পিছিয়ে যাওয়ার পর ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়তে শুরু করে ইস্টবেঙ্গলে রক্ষণে৷

আরও পড়ুন ? Sourav Ganguly Mother: দিতে হয়েছে রক্ত, নিয়মিত মায়ের খোঁজ রাখছেন সৌরভ, কেমন আছেন নিরূপা দেবী

খেলার ১৭ মিনিটে ম্যাচে গোল করে ফিরে আসে মোহনবাগান৷ সবুজ মেরুণ জার্সিতে সাদিকুর গোল চাঙ্গা করে দেয় মোহন সমর্থকদের৷ হ্যামিলের ক্রস সাদিকুর পায়ে লাগতেই গোলে ঢুকিয়ে দেন বল৷

প্রথমার্ধে  বল মোহনবাগানের পজেশন ৬৩ শতাংশ অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গলের বল পজেশন ৩৭ শতাংশ৷ খুব অল্প সময়ের জন্যে প্রথমার্ধের শেষবেলায় ফের পজিটিভ আক্রমণ শানায় কুয়াদ্রেয়াতের ছেলেরা৷

ইস্টবেঙ্গলের ভরসা আজ ব্রাজিলিয়ান সিলভা, মোহনবাগানের জয়ের কান্ডারী হতে চান অজি তারকা দিমি

কলকাতা: চার মাস আগের কথা। যুবভারতীতে সেদিন হুগো বুমু এবং মনবীর সিংয়ের গোলে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। দুটো দল অনেক উত্থান পতন দেখেছে। মোহনবাগান হয়তো প্লে অফ এ জায়গা পাকা করে নিয়েছে। ইস্টবেঙ্গল সেটা পারেনি। কিন্তু শেষ ম্যাচে এই মুহূর্তে দেশের সেরা দল মুম্বইকে হারিয়ে চমক দিয়েছে তারা।

আজ আবার একটা বড় ম্যাচ। মোহনবাগানের তিন বিদেশি ফুটবলার খেলতে পারবেন না শোনা যাচ্ছে। দুজন নিশ্চিত পারবেন না। বুমুকে শেষ মুহূর্তে একটা চেষ্টা করা হবে। না পারলে তিনজন বিদেশি নিয়ে খেলতে হবে সবুজ মেরুনকে। এক্ষেত্র ক্লেটন সিলভা, জ্যাক জার্ভিস, ইভান গঞ্জালেস, জর্ডান, লিমা, কিরিয়াকু – ৫ বিদেশি হাতে নিয়ে নামতে পারবে ইস্টবেঙ্গল।

আরও পড়ুন – অপারেশন টেবিল থেকে মাঠে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন! জাদেজার লড়াই দেখে চোখে জল স্ত্রী রিভাবার

ইস্টবেঙ্গলের আসল ভরসা ক্লেটন সিলভা। লিগ টেবিলে লাল হলুদের পজিশন যতই খারাপ হোক, সিলভা এক ডজন গোল করে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ স্কোরার। দুর্ধর্ষ ছন্দে আছেন ব্রাজিলিয়ান। তাকে আটকানো মোহনবাগান ডিফেন্স এর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। অন্যদিকে মোহনবাগানের এই ম্যাচের ভরসা অস্ট্রেলিয়ান তারকা দিমিত্রি পেত্রাতস। তিনি হয়তো স্কোরার খুব ভাল নন।

কিন্তু তবুও সবুজ মেরুন দলের সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন দিমিত্রি (৭)। বক্স স্ট্রাইকার না হলেও বুদ্ধি করে খেলতে জানেন। পাশাপাশি ইস্টবেঙ্গল দলের মহেশ এবং জেরি বাঁদিক দিয়ে দুরন্ত ফুটবল উপহার দিচ্ছেন। এই জায়গাটা নিয়েও চিন্তা আছে। মোহনবাগানকে মহেশের দৌড় সামলাতে হলে আশীষ রাইকে ব্যবহার করতেই হবে।

আইএসএল ঢোকার পর থেকে আজ পর্যন্ত মোহনবাগানকে হারাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। আজ কিছুটা হলেও সুযোগ থাকছে চাকা ঘোরানোর। এই ধরনের ম্যাচে অ্যাডভান্টেজ বলে কিছু হয় না। কিন্তু তবু ও হাতে বিদেশি বেশি থাকার কারণে কিছুটা হলেও এগিয়ে শুরু করবে লাল হলুদ।

তবে শেষ পর্যন্ত সিলভার সাম্বা ম্যাজিক ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের ডার্বি জয়ের আনন্দ এনে দিতে পারে কিনা সেটাই দেখার। স্ট্রাইকার জ্যাক জার্ভিসও ভরসা লাল হলুদের। অন্যদিকে মোহনবাগানকে ডার্বিতে ৮-০ করতে হলে তাকিয়ে থাকতেই হবে দিমিত্রির দিকে।

ডার্বিতে আজ হঠাৎ করেই অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল ! বিরাট অনিশ্চয়তায় মোহনবাগান

কলকাতা: আজ আর কয়েক ঘণ্টা পরে বাঙালির সেই চিরকালের বড় ম্যাচ। তার আগে হঠাৎ করে অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল। কার্ড সমস্যায় ডার্বি থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। এছাড়া, কলকাতা ডার্বিতে খেলতে পারবেন না হুগো বুমোস এবং কার্ল ম্যাক হিউ। দুজনেই চোট নিয়ে বাইরে। ফলে হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।

তিন বিদেশি হিসেবে থাকছেন স্লাভকো, গায়গো, পেত্রাতস। অর্থাৎ ডিফেন্স মিডফিল্ড এবং আক্রমণ ভাগের ৩ ফুটবলার। ডার্বি জিতলে মোহনবাগানের কাছে সুযোগ রয়েছে বেঙ্গালুরুকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে ঘরের মাঠে প্লে-অফ নিশ্চিত করার। হারলেও সেই সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে পরের ম্যাচে কেরলকেও হারতে হবে।

আরও পড়ুন – বাংলাদেশের কোন ফাস্ট বোলারকে দেখে প্রশংসায় সৌরভ? দিলেন পাওয়ার হিটিংয়ের পরামর্শ

মোহনবাগান পয়েন্ট নষ্ট করলে এবং কেরল জিতলে, কেরলই মোহনবাগানকে টপকে চারে উঠে যাবে। সেক্ষেত্রে বিপক্ষের মাঠে গিয়ে প্লে-অফ খেলা ছাড়া উপায় থাকবে মোহনবাগানের। তবে ফেরান্দো জানিয়েছেন, লিগের অবস্থান নয়, ম্যাচ জেতাই তাঁর লক্ষ্য। সবুজ-মেরুন কোচের কথায়, প্লে-অফ বা লিগের পজিশন নিয়ে একেবারেই ভাবছি না।

ম্যাচ জেতার দিকে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। গোল করার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহরা আগের ম্যাচের ছায়া। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা ম্যাকহিউও এই ম্যাচে নেই। ডার্বিতে গোল তা হলে কে করবেন? ফেরান্দো বললেন, রক্ষণ এবং আক্রমণ দুটো নিয়েই আমাকে সমান ভাবে ভাবতে হবে। ওরা গোল হয়তো পাচ্ছে না। কিন্তু ভাল খেলছে এবং যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করছে।

মোহনবাগান সমর্থকরা নিঃসন্দেহে চাপে পড়ে গিয়েছেন তিনজন নির্ভরযোগ্য বিদেশি ছিটকে যাওয়ায়। তবে অভয় দিচ্ছেন কোচ হুয়ান। যারা হাতে আছে তারা যথেষ্ট দক্ষ। এই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা তাদের আছে। এখন দেখার কিয়ান, ফারদিন, রবি রানারা সুযোগ পেলে বড় ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেন কিনা। লিস্টনকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে এই ম্যাচে।

নিজের খারাপ ছন্দ কাটিয়ে এই গোয়ান ফুটবলার ডার্বিতে ফর্মে ফিরতে পারেন কিনা এটাই দেখার। পাশাপাশি মর্যাদার লড়াইয়ে জিততে না পারলেও কোনওমতে হেরে ফিরতে রাজি নন মোহনবাগান কোচ। ইস্টবেঙ্গলের হাতে বিদেশি বেশি থাকলেও মোহনবাগান সেরা ফুটবল তুলে ধরার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করা হবে যাতে অন্তত শেষ ১৫-২০ মিনিট হুগোকে মাঠে নামানো যায়। একান্ত না পারলে কিছু করার নেই।

ডার্বিতে মোহনবাগানকে হারানোর লক্ষ্যে ইস্টবেঙ্গল কোচ! শনিবার চাকা ঘুরবে বলছেন স্টিফেন

কলকাতা: শনিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি কলকাতা ডার্বিতে আবার মুখোমুখি ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগান। এবার ম্যাচের আয়োজক ইস্টবেঙ্গল। শেষ সাক্ষাতে ২-০ জিতেছিল এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু এবার ইস্টবেঙ্গল চাকা ঘোরাতে পারে এমনটা মনে করছেন লাল হলুদ কোচ স্টিফেন কনস্ট্যানটাইন। তার আত্মবিশ্বাসের প্রধান কারণ দেশের এই মুহূর্তের এক নম্বর দল মুম্বই সিটি এফসিকে তাদের ঘরের মাঠে গিয়ে হারিয়ে আসা।

স্টিফেন মনে করছেন তুলনায় মোহনবাগান তাদের থেকে অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকলেও এবার এক ইঞ্চি জমি ছেড়ে দেবেন না তার ছেলেরা। ক্লেটন সিলভা আপাতত লিগের টপ স্কোরার। দুর্দান্ত খেলছেন মহেশ। চোখ টানছেন লিমা, কিরিয়াকু, সুহের, জেরি, মোবাশির। পুরো দলটার মধ্যে একটা অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস এবং ডার্বিতে নিজেদের প্রমাণ করার প্রত্যয় কাজ করছে।

স্টিফেন জানিয়ে দিয়েছেন মুম্বই ম্যাচ তাদের কাছে একটা বিরাট অক্সিজেন হিসেবে কাজ করেছে। আইএসএলের ইতিহাসে এটিকে মোহনবাগান আজ পর্যন্ত মুম্বইকে হারাতে পারেনি, কিন্তু সেটা করে দেখিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। এই সিজনে মোট ছটা ম্যাচ জয় পেয়েছে লাল হলুদ। অঙ্কের বিচারে আগের থেকে যা বেশি। পাশাপাশি স্টিফেন জানেন আইএসএলে আসার পর থেকে ডার্বিতে হার ছাড়া কিছুই জোটেনি ইস্টবেঙ্গলের।

কিন্তু কোনও রেকর্ড চিরস্থায়ী নয় বলছেন তিনি। তাই শনিবার লাল হলুদ সমর্থকদের কাছে তার আবেদন মাঠে আসুন এবং গলা ফাটান। প্রত্যেক ইঞ্চিতে লড়াই হবে। তবে মোহনবাগান কেরলকে হারিয়ে ইতি মধ্যে শেষ ছয় নিশ্চিত করেছে। ইস্টবেঙ্গল সেই লড়াই থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিল।

কিন্তু স্টিফেন জানেন সমর্থকদের কাছে মোহনবাগানকে হারানোর মানে এবং গর্ব অন্য জিনিস। তাই ফুটবলারদের প্রতি তার নির্দেশ টেনশন না নিয়ে মুক্ত মনে খেল। দুর্দান্ত ছন্দে রয়েছেন ইস্টবেঙ্গল গোলরক্ষক কমলজিত। তাই মোহনবাগানের দিমিত্রি, লিস্টন, গায়েগো, আসিস, আশিক,প্রীতমদের চোখে চোখ রেখে লড়বে, লাল হলুদ জানিয়ে দিয়েছেন স্টিফেন।

কলকাতা ডার্বিতে নেই মোহনবাগানের বিদেশি ডিফেন্ডার ! হা হুতাশ করতে রাজি নন কোচ হুয়ান

কলকাতা: শনিবার রাতে যুবভারতীতে অবশেষে তিন ম্যাচ পরে জয় পেয়েছে এটিকে মোহনবাগান। বিরক্তিকর একটা সময় কাটিয়ে আবার ৩ পয়েন্ট এসেছে ঘরে। কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে নিজেদের শেষ ৬ নিশ্চিত করেছে সবুজ মেরুন। তবুও চিন্তায় মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ডার্বিতে খেলতে পারবেন না বিদেশি ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হামিল।

কার্ড দেখার কারণে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে নেই তিনি। নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার এই তারকার ডিফেন্ডার না থাকার কারণে সবুজ মেরুন শিবিরে কিছুটা হতাশা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু ভয় পেতে রাজি নন কোচ হুয়ান ফেরান্ডো। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন ডার্বি অন্য ম্যাচ। হমিল যখন নেই তখন তৈরি রাখতে হবে স্লাভকো ডামজানোভিচকে।

মন্টিনিগ্রর ডিফেন্ডারকে শেষ কয়েকটা ম্যাচে কিছুক্ষণ পরে খেলিয়ে প্রস্তুত করেছেন স্পেনিশ কোচ। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন এই ম্যাচের গুরুত্ব। ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় এবং হাই প্রোফাইল ম্যাচে স্লাভকো নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে মোহনবাগান সমর্থকদের মনে জায়গা পেয়ে যাবেন বোঝানো চলছে। একটা সুবিধা এর আগে চেন্নাইতে খেলে গিয়েছেন তিনি। তাই ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে তার জ্ঞান যথেষ্ট।

স্লাভকো নিজেও জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচের গুরুত্ব তার অজানা নয়। তিনি নিজের সেরাটা দেবেন। প্রীতম, শুভাশিস, আশিষদের সঙ্গে তার বোঝাপড়া তৈরি হচ্ছে। মাঝের সময়টা অনুশীলনের মাধ্যমে সেই বোঝাপড়া বাড়িয়ে নেবেন। হুয়ান মনে করেন শেষ ছয় নিশ্চিত হয়ে গেলেও সমর্থকদের জন্য এবং ফুটবলারদের নিজেদের জন্য ডার্বি ম্যাচ জয় সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ সাক্ষাৎকারে কলকাতায় হুগো এবং মনবীর গোল করে ২-০ জিতিয়েছিলেন মোহনবাগানকে। এবার অবশ্য ফরাসি ফুটবলার চোটে ভুগছেন। তবে ডার্বির জন্য সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে যাবেন আশা সমর্থকদের। মনবীরও নিজের হারানো ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন।

পাশাপাশি উরুগুয়ের প্লে মেকার গায়েগো রয়েছেন। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত আইএসএলে আসার পর কোলকাতা ডার্বির সব ম্যাচ যেমন জিতেছে মোহনবাগান, সেটাই তারা বজায় রাখতে চায় আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি।

মোহনবাগানের নৌকা ডোবানোর ছক তৈরি, ডার্বির লক্ষ্যে এবার প্রস্তুত ইস্টবেঙ্গল

#কলকাতা: একটা জয় পাল্টে দিয়েছে গোটা পরিস্থিতিটা। দম বন্ধ করা পরিস্থিতি উধাও ইস্টবেঙ্গল থেকে। এটাই চাইছিল লাল হলুদ সমর্থকরা। ডার্বির আগে গুয়াহাটির মাঠে বড় জয় দলটার আত্মবিশ্বাস সঞ্চার করেছে। প্রত্যক্ষ হিসেবে নর্থইস্ট খুব একটা ভাল না হলেও, বিপক্ষ শিবিরের ঘরের মাঠে গিয়ে জয় সবসময় আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে থাকে একটা দলের।

মানসিক শক্তি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। এটাই এখন ইস্টবেঙ্গল দলের হয়েছে। ছন্দে ফিরেছে দল। ডার্বির আগে যা যথেষ্ট স্বস্তি দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল কোচ স্টিফেন কনস্টানটাইনকে। দলের ফোকাস যাতে নড়ে না যায়, সে ব্যাপারে সতর্ক তিনি। তাই ইভান, ক্লেটনদের উপর জারি করেছেন ফতোয়া। বড় ম্যাচের আগে মুখ খোলা যাবে না মিডিয়ার সামনে।

আরও পড়ুন – উটের দুধ থেকে বাজ পাখির সঙ্গে সেলফি! কাতার বিশ্বকাপে আপনার জন্য অপেক্ষায় অদ্ভুত সব মুহূর্ত

অনুশাসনের পাশাপাশি স্টিফেন বাড়তি জোর দিয়েছেন অনুশীলনেও। এটিকে মোহনবাগান গত দু’দিন ছুটির মেজাজে ছিল। কিন্তু ব্রিটিশ কোচ নিয়মিত প্র্যাকটিস করিয়েছেন সুহেরদের। সময় বের করে দক্ষিণ কলকাতার এক কালীপুজো মণ্ডপ পরিদর্শনেও যান কোচ কনস্টানটাইন। দীপাবলি উপলক্ষে ফুটবলারদের উপহার তুলে দেওয়া হয় ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে।

রক্ষণ মজবুত করার পাশাপাশি আক্রমণভাগের খামতি মেটানোর অনুশীলনে জোর দিচ্ছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। সবুজ-মেরুন ডিফেন্স ভাঙতে উইং প্লে’কেই যে হাতিয়ার করতে চান তিনি, তা স্পষ্ট লাল-হলুদের অনুশীলনে। দুই প্রতিশ্রুতিবান অ্যাটাকার হিমাংশু জ্যাংড়া ও অনিকেত যাদব যোগ দেওয়ায় দলের আক্রমণভাগ শক্তিশালী হয়েছে।

মিডফিল্ডার অ্যালেক্স লিমা ও ফরোয়ার্ড এলেয়ান্দ্রো ফিট। এমন পরিস্থিতিতে ডার্বির প্রথম একাদশে চার বিদেশি ফুটবলার বাছতে কিছুটা সমস্যা হবে ব্রিটিশ কোচের। গত ম্যাচে তিন ডিফেন্ডার সার্থক গোলুই, লালচুননুঙ্গা ও জেরি ভরসা দিয়েছেন। নড়বড়ে দেখিয়েছিল একমাত্র বিদেশি স্টপার ইভান গঞ্জালেজকে।

উইনিং কম্বিনেশনে বড়সড় পরিবর্তনেও নারাজ স্টিফেন। অস্ট্রেলিয়ান ফুটবলার জর্ডান, সাইপ্রাসের কিরিয়াকু দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছেন। ব্রাজিলের ক্লিটন সিলভা যতক্ষণ মাঠে ছিলেন তার জাত চিনিয়ে দিয়েছেন। তাই এবার এটিকে মোহনবাগানকে সহজে ছেড়ে দেবে না ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে অল্পের জন্য হেরে গিয়েছিল তারা, তাও আত্মঘাতী গোলে। এবার চাকা ঘোরাতে মরিয়া লাল হলুদ ব্রিগেড।

Durand cup : কলকাতা ডার্বিতে টানা হাফ ডজন হার ইস্টবেঙ্গলের, ডুরান্ড নকআউটের পথে মোহনবাগান

ইমামি ইস্টবেঙ্গল -০

এটিকে মোহনবাগান -১
( সুমিত – আত্মঘাতী)

#কলকাতা: রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় কলকাতা ডার্বিতে বলা হচ্ছিল এটিকে মোহনবাগান নাকি প্রথম থেকেই আক্রমণের ঝড় বইয়ে দেবে। কিন্তু প্রথম একাদশ তৈরির ক্ষেত্রে চমক দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গল কোচ। শুরু থেকেই চারজন বিদেশি নামিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। অর্থাৎ প্রতিপক্ষকে চাপে রাখা ছিল তার লক্ষ্য। যদিও এটিকে মোহনবাগানের চাপ ছিল বেশি তবুও ইস্টবেঙ্গল বুদ্ধি করে ফুটবল খেলছিল।

ডিফেন্স শক্ত রেখে প্রতি আক্রমণ গোল করার চেষ্টা ছিল লাল হলুদের। ইভান গঞ্জালেস এবং কিরিয়াকু দারুন লড়াই করলেন। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার এক মিনিট আগে কাঙ্খিত গোল তুলে নিল এটিকে মোহনবাগান। লিস্টনের কর্নার থেকে আত্মঘাতী গোল করলেন সুমিত পাসি। বিরতির পরে ব্রাজিলীয় ক্লেটনকে নামিয়ে দেন স্টিফেন। অবশ্য তাতে বিশেষ কিছু ফারাক হয়নি।

এটিকে মোহনবাগানের বল ধরে খেলার জবাব ছিল না ইস্টবেঙ্গলের কাছে। একের পর পাস, থার্ড ম্যান মুভমেন্ট, দেখে মনে হচ্ছিল ব্যবধান বাড়িয়ে নেওয়া সময়ের অপেক্ষা সবুজ মেরুনের। বাঁদিক থেকে আশিকের দৌড় চাপে ফেলে দিচ্ছিল লাল হলুদ ডিফেন্সকে। ৬০ মিনিটে বুমুকে তুলে নিয়ে হুয়ান নিয়ে এলেন মানবীরকে। লিস্টনের জায়গায় নামলেন কিয়ান।

ইস্টবেঙ্গল মাঠের মাঝখানে বলের দখল রাখতে পারছিল না। আশিক সহজ সুযোগ না হারালে এবং জনি মিস না করলে ইস্টবেঙ্গলের কপালে আরো দুঃখ থাকতে পারত। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হলেন এটিকে মোহনবাগানের কার্ল ম্যাক হিউ। আইরিশ মিডিও অসাধারণ ফুটবল খেললেন। আক্রমণ এবং ডিফেন্স এর মাঝখানে ব্যালেন্স তৈরি করলেন। বল সন্যাচ করলেন একের পর এক।

ইস্টবেঙ্গল সেভাবে সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও লড়াকু ফুটবল খেললেন। মুম্বই, রাজস্থান এবং এটিকে মোহনবাগান তিনটে দল ৪ পয়েন্ট পেল। তবে মোহনবাগানের তুলনায় তারা একটি ম্যাচ কম খেলেছে। মোহনবাগানের শেষ ম্যাচ নেভির বিপক্ষে। বুধবার ওই ম্যাচে জিততে পারলে নকআউটে চলে যাওয়া নিশ্চিত হয়ে যাবে সবুজ মেরুন দলের।

অন্যদিকে ইস্টবেঙ্গল আজকের হারের পর মোটামুটি ছিটকে গেল টুর্নামেন্ট থেকে। তবে কিছুটা হলেও তাদের অল্প সুযোগ এখনো রয়েছে। অন্তত খাতায় কলমে। ম্যাচের সেরা কার্ল জানিয়ে দিলেন নির্দিষ্ট প্ল্যান অনুযায়ী খেলে ডার্বি জিততে পেরেছেন তারা। এখন লক্ষ্য নক আউট নিশ্চিত করা। ম্যাচের শেষ মোহনবাগান সমর্থকদের সঙ্গে ভাইকিং ক্ল্যাপ দিলেন ফুটবলারা।

Kiyan Nassiri : কিয়ানের মাথা ঘুরে যাবে না, পা মাটিতেই থাকবে বলছেন বাবা জামশিদ নাসিরি

#কলকাতা: ভারতীয় ফুটবলের মানচিত্রে ছেলেটার আবির্ভাব ঘটে গিয়েছিল আগেই। কিন্তু লাইম লাইটে আসতে প্লাটফর্ম তৈরি করে দিল কলকাতা ডার্বি। ২০০০ কিলোমিটার দূরের মারগাও নেহেরু স্টেডিয়ামে সবুজ মেরুনকে কাঙ্খিত ডার্বি জিতিয়েছেন কিয়ান নাসিরি। সারা বিশ্বে সবুজ মেরুন সমর্থকদের হৃদয় জিতে নিয়েছেন বছর একুশের ছেলেটা। বাবা এবং প্রাক্তন ময়দান কাঁপানো বিখ্যাত ইরানি স্ট্রাইকার জামশিদ নাসিরি এক কথায় মেনে নিলেন ছেলের নায়ক হয়ে ওঠার পেছনে প্রাক্তন মোহনবাগানের আই লিগ জয়ী কোচ কিবু ভিকুনার অবদান রয়েছে।

আরও পড়ুন – Mario Rivera East Bengal: সুযোগ নষ্ট এবং দু মিনিটের ভুলে হারতে হয়েছে ম্যাচ, বলছেন ইস্টবেঙ্গল কোচ মারিও

পাশাপাশি দুটো দল মিশে যাওয়ার পর মোহনবাগান দল থেকে শুধুমাত্র শেখ সাহিল এবং কিয়ানকে রাখা হয়েছিল নতুন দলে। অ্যান্টোনিও লোপেজ হাবাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলেন জামশিদ। এই দুজন কোচ সিনিয়র দলে কিয়ানকে রেখে চূড়ান্ত পর্যায়ে তৈরি হওয়ার সাহস দিয়েছেন। বড় ফুটবলারদের সঙ্গে ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি থেকে শুরু করে এক সঙ্গে ওঠা বসা, এর ফলে কিয়ানের মধ্যে ধীরে ধীরে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে।

আরও পড়ুন – U19 WC Ravi Kumar: দেখার মতো ডেলিভারি, বাংলাদেশী ব্যাটারের অফ স্ট্যাম্প ওড়ালেন ভারতের রবি কুমার

হুয়ান ফেরান্ডো সেটা আরো ধার বাড়িয়েছেন বোঝা গিয়েছে ডার্বিতে। শনিবার ডার্বির নায়ককে ঘিরে সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একটি শব্দই ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাপ কা বেটা। ফাতোরদার নেহরু স্টেডিয়ামে ২১ বছর বয়সি ফুটবলারের দ্বিতীয় গোলের পর সামারসল্টের জন্যই এই বিশেষণ। এদিন বড় ম্যাচের ইতিহাসে প্রবেশ করল নাসিরি পরিবার। আটের দশকে ইস্টবেঙ্গল জার্সি গায়ে বড় ম্যাচে গোল রয়েছে জামশিদ নাসিরির।

১৯৮৫ সালে বেঙ্গালুরুতে তাঁর গোলেই প্রথমবার এককভাবে ফেডারেশন কাপ চ্যাম্পিয়ন হয় লাল-হলুদ ব্রিগেড। শনিবার আইএসএলের ফিরতি ডার্বিতে পরিবর্ত হিসেবে খেলতে নেমে নায়ক কিয়ানই। তাঁর নামের পাশে জ্বলজ্বল করছে হ্যাটট্রিক। ১০১ বছরের ডার্বির ইতিহাসে বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে গোলের নজির পুত্রেরও। আড়াই বছর আগে মোহন বাগান কোচ কিবু ভিকুনার কোচিংয়ে তাঁর ডার্বিতে অভিষেক হয়। সেটা ছিল আই লিগের ম্যাচ।

আর আইএসএলের মঞ্চে শনিবারই ছিল কিয়ানের প্রথম ডার্বি। ছেলের এই কৃতিত্বে গর্বিত জামশিদ নাসিরিও। ইরানের প্রাক্তন ফুটবলার বলেন, গত তিন বছর ধরে এই দিনটির অপেক্ষায় ছিলাম। কিয়ানের মধ্যে ফুটবলার হওয়ার যাবতীয় গুণ রয়েছে। আমি পরিকল্পনামাফিক ওকে গড়ে তুলি। সিসিএফসি’র কোচ থাকার সময় ও আমার সঙ্গে মাঠে যেত।

মোহনবাগান মাঠ তাই কিয়ানের পরিচিত। সবুজ-মেরুনের অনূর্ধ্ব-১৫ দলে সুযোগ পেতে ওর অসুবিধা হয়নি। তারপর থেকে কিয়ান মোহনবাগানেই রয়েছে। গত মরশুমে ওর সতীর্থ শেখ সাহিল কিছু ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিল। কিয়ান তা পায়নি। তা সত্ত্বেও ওকে সবসময় ফোকাস ধরে রাখার পরামর্শ দিয়েছি। লকডাউনের মধ্যেও কিয়ান খেটেছে। শনিবারের পারফরম্যান্স হয়তো তারই সুফল।

২০১৯ সালের মে-জুনে একটি টিভি চ্যানেল আয়োজিত সারা বাংলা অনূর্ধ্ব-১৯ প্রতিযোগিতায় নজর কাড়েন কিয়ান। তারপর ডাক পান সিনিয়র দলে। তবে ছেলের এই সাফল্যে মাথা ঘুরে যাবে না নিশ্চিত জামশিদ। পরিষ্কার জানালেন বয়স কম হলেও কিয়ান জানে বড় ফুটবলার হতে গেলে একটা ম্যাচের পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবলে চলে না। ডার্বির হ্যাটট্রিক ও মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলবে। আমি চাই পরবর্তী ম্যাচগুলোয় নিজের পারফরম্যান্স আরো ধারাবাহিক করুক।

ISL SC East Bengal: কলকাতা ডার্বিতে মার্সেলো – সোতা জুটিতে বাজিমাতের চেষ্টায় এস সি ইস্টবেঙ্গল

#গোয়া: হাতে বড়জোর রয়েছে দুটো পুরো দিন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে দুটো বা তিনটে প্রাক্টিস সেশন পাবে এস সি ইস্টবেঙ্গল। তার মধ্যেই যাবতীয় ভুলভ্রান্তির দড়ি টানাটানি শেষ করতে হবে স্প্যানিশ কোচ মারিও রিভেরাকে। দায়িত্ব নিয়ে গোয়ার বিরুদ্ধে জিতে চমক দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ ম্যাচে লজ্জার হার আবার ইস্টবেঙ্গলকে কয়েক কদম পিছিয়ে দিয়েছে। হায়দারাবাদ ম্যাচের পারফরম্যান্স রক্তচাপ বাড়িয়ে দিয়েছে সমর্থকদের।

আরও পড়ুন – KL Rahul captaincy criticism : দক্ষিণ আফ্রিকায় লজ্জার হার ভুলে কে এল রাহুলের মুখে এখন থেকেই আইপিএলের স্তুতি !

আসলে এই দলটা ১১ হাত কাপড়ের মত। মাথা ঢাকতে গেলে পা বেরিয়ে যায়। তবুও সমর্থকদের অভয় দিচ্ছেন মারিও রিভেরা। কলকাতা ডার্বি সম্পূর্ণ অন্য লড়াই বলছেন তিনি। মাঝ মরসুমে ফের বিদেশি বদল এসসি ইস্টবেঙ্গলে। আমির ডার্বিসভিচের পরিবর্তে কার্যকরী স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফ্রান্সিস্কো হোসে সোতা’কে সই আগেই করিয়েছে লাল-হলুদ।

জানুয়ারিতে শীতকালীন ট্রান্সফার উইন্ডোয় প্রথমে ড্যানিয়েল চিমা চুকুর পরিবর্তে সই কারানো হয় ব্রাজিলীয় স্ট্রাইকার মার্সেলো রিবেইরো ডস স্যান্তোসকে।  ওসাসুনার যুব দলের হয়ে কেরিয়ার শুরু করেন সোতা। দীর্ঘদিন স্প্যানিশ লোয়ার ডিভিশনে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে ৩১ বছর বয়সী এই ফুটবলারের। ইস্টবেঙ্গলের পাঠানো চুক্তিপত্রে সই করার আগে তিনি খেলেছেন পেনা স্পোর্টস এফসি, সিডি ভারিয়া, এসডি লগরোনেস, এসডি লিওয়া এবং সিডি ত্রপেজনে।

মূলত মাঝমাঠের ফুটবলার হলেও ফরোয়ার্ড হিসেবেও খেলতে পারেন সোতা। রাইট উইং এবং লেফট উইং দুদিক থেকেই পাস বাড়াতে পারেন সোতা একই সঙ্গে বক্সের মধ্যে থেকেও স্ট্রাইকারদের জন্য সাজাতে পারেন গোলের বল। এসসি ইস্টবেঙ্গলের হয়ে সই করার পর তিনি বলেন, ইস্টবেঙ্গলে সই করতে পেরে ভাল লাগছে। ভারতের অন্যতম বড় ক্লাব এটা এবং আমি এই ক্লাবের ইতিহাস এবং ফ্যানবেস সম্পর্কে বেশ ভাল মতো অবগত।

দলকে নিজের ক্ষমতা মতো সাহায্য করার চেষ্টা করব। সোতাকে সই করানোর প্রসঙ্গে এসসি ইস্টবেঙ্গলের কোচ মারিও রিভেরা বলেছেন, দুর্দান্ত ফুটবলার সোতা। স্পেনে একাধিক ভাল দলে খেলেছে ও। ওর আসার ফলে মিডফিল্ডে হাতে অপশান বাড়ল। দলের মধ্যে ওকে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি।

ইস্টবেঙ্গলের এই পরিবর্তন কতটা কার্যকর হবে তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ মরসুম প্রায় শেষ ইস্টবেঙ্গলের জন্য। সেক্ষেত্রে নতুন করে লিগের শেষ মুহূর্তে কীভাবে দলের সঙ্গে তিনি মানাতে পারবেন তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আইএসএল-এ আর মাত্র সাতটি ম্যাচ আর বাকি রয়েছে লাল-হলুদের।

চলতি আইএসএল-এ এখনও পর্যন্ত ১৩ ম্যাচ খেলে ইস্টবেঙ্গল জয় পেয়েছে মাত্র একটি ম্যাচে। ড্র করেছে ছয়টি ম্যাচ, হেরেছে ছয়টি ম্যাচে।

লাল-হলুদের পক্ষে গোল ১৩টি এবং তারা হজম করেছে ২৫টি গোল। ১৩ ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবলের অন্তিম স্থানে অবস্থান এসসি ইস্টবেঙ্গলের। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে জিতলেও, হায়দরাবাদ এফসি’র বিরুদ্ধে ৪-০ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছে লাল-হলুদ।

মারিও রিভেরা জানেন ফিরতি ডার্বিতে যদি তিনি চাকা ঘোরাতে পারেন তাহলে সমর্থকদের মন জয় করতে পারবেন। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের মুশকিল হল সোতা প্রথম নামবেন ডার্বিতেই। এমনকি ব্রাজিলীয় ফুটবলার মার্সেলো গত ম্যাচে খেললেও তিনিও ভারতীয় ফুটবলে নতুন। তাই বোঝাপড়া গড়ে ওঠার ক্ষেত্রে নতুন দুই বিদেশি কতটা দিতে পারবেন প্রশ্ন থাকছে।