নেদারল্যান্ডস – ৯১/৯
#পারথ: পাকিস্তানের মতো নেদারল্যান্ডসও প্রথম দু-ম্যাচে হেরেছে। পাকিস্তানের মতো তাদের প্রতি অবশ্য ততটা প্রত্যাশার চাপও নেই। পাকিস্তানের কাছে মরণ বাঁচন ম্যাচ। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে হেরেছিল পাকিস্তান। তার আগে ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল বাবর, রিজওয়ানদের।
বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দলকে টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে তাই রবিবার জিততেই হত নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে। টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ডাচরা। শাহিন আফ্রিদি, নাসিম শাহ, ওয়াসিম জুনিয়র এবং হ্যারিস রউফ – এই চার পেসারকে প্রথম থেকেই লেলিয়ে দিল পাকিস্তান।
বাউন্সি উইকেটে প্রথম থেকেই গতির ঝড় তুললেন পাক পেসাররা। ১৪৫- ১৫০ কিলোমিটার গতিতে আগুনের গোলা আছড়ে পড়ছিল কমলা জার্সিধারীদের ওপর। হ্যারিসের বলে হুক করতে গিয়ে চোখে আঘাত পেলেন ডি লিড। হেলমেটের গ্রিল ভেঙে ঢুকে গেল বল। তবে ভাগ্য ভাল, তার চোট খুব বেশি গুরুতর হয়নি। ফিজিও দেখার পর নিয়ে গেলেন বাইরে।
At halfway stage, Netherlands are 34-3 ?#WeHaveWeWill | #T20WorldCup | #NEDvPAK pic.twitter.com/IbVdVawLmw
— Pakistan Cricket (@TheRealPCB) October 30, 2022
এটা বাদ দিলেও আজ পাকিস্তানি পেসারদের দাপটে ডাচ ব্যাটসম্যানদের অবস্থা ছিল রীতিমতো খারাপ। পাকিস্তানের পেসার হ্যারিস রউফ ম্যাচ শুরুর আগে বলেছিলেন, সমর্থকদের মতো আমরাও আঘাত পেয়েছি। প্রতিযোগিতা এখনও শেষ হয়নি। আমরা এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়াতে পারি। এখনও তিন ম্যাচ বাকি এবং আমরা ঘুরে দাঁড়াতে আত্মবিশ্বাসী।
আজ নিজেদের বোলিং পারফরমেন্স সেটাই প্রমাণ করল মেন ইন গ্রিন। এই ম্যাচে পাকিস্তানের জয় পাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা সেটা বলাই যায়। তবে ভারত দক্ষিণ আফ্রিকার দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে তাদের। তবে যাই হোক, আজ পাকিস্তানের পেস বোলিং আবার প্রমাণ করল কেন তারা টুর্নামেন্টের অন্যতম সেরা।
জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে চারটি উইকেট নিলেও ওয়াসিম জুনিয়র সেদিন পাকিস্তানকে জয় এনে দিতে পারেননি। আজ নেদারল্যান্ডস দলের বিপক্ষে মনে রাখার মত স্পেল করলেন তিনি। নিলেন দুটি উইকেট।