স্বপ্নের বাড়ি কেনার জন্য কী করবেন? (Representative image)

Saving For Home Loan: স্বপ্নের বাড়ি কিনতে চান? কীভাবে টাকা জমালে নিজের ঘর কিনে ফেলা সম্ভব

কলকাতা: ভারতবর্ষে বাড়ি কেনা কেবল দরকার নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে আবেগ৷ ভারতে আজও একটা পরিবারের মান বিচার হয় স্থায়ী বাড়িকে কেন্দ্র করে৷ সেই জন্য অন্যান্য দেশের তুলনায় এই দেশে বাড়ি কেনার চাহিদা অনেক বেশি৷ গ্লোবাল সমীক্ষক সিবিআরই (CBRE) অনুযায়ী, প্রায় ৪৪ শতাংশ কম বয়সী ভারতীয়দের মধ্যে নিজের বাড়ি কেনার ইচ্ছা রয়েছে৷ কিন্তু এই স্বপ্নপূরণ করার জন্য দরকার সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা৷

ডাউন প্রেমেন্ট
ভারতে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১০ থেকে ২০ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিতে হয়৷ তবে এখন কিছু কিছু সরকারি, বেসরকারি প্রকল্পতে ৫ থেকে ১০ শতাংশ ডাউন পেমেন্টেও ঘর কিনে ফেলা সম্ভব৷ তাই বাড়ি কেনার আগে কী কী সরকারি প্রকল্পের সুবিধা নিতে পারবেন সেই নিয়ে সচেতন হন৷ তবে ঘর কেনার আগে যত বেশি ডাউন পেমেন্ট দিয়ে ফেলা যায় ততটাই ভাল৷ এর ফলে পরবর্তী ক্ষেত্রে লোনের পরিমাণ অনেকটা কম পড়বে৷

আরও পড়ুন: ব্যস্ত রাস্তায় নাচ মহিলার, ভারসাম্য হারিয়ে বাইক থেকে পড়ে গেলেন শিশু-সহ এক ব্যক্তি

সঞ্চয়ের অভ্যাস
অর্থনীতির ক্ষেত্রে দু’ধরনের লক্ষ্য থাকে, শর্ট টার্ম গোল, লং টার্ম গোল৷ কতদিন পর আপনি বাড়ি কিনতে চান, কত টাকার বাড়ি কিনতে চান? এই সব কিছুর উপর শর্ট টার্ম বা লং টার্ম গোল নির্ভর করে৷ লং টার্ম গোলের জন্য ব্যাঙ্কে না রেখে ইনভেস্ট করাই ভাল৷ প্রত্যেকের আয় অনুযায়ী এই ইনভেস্টমেন্ট পরিকল্পনা করা দরকার৷

আরও পড়ুন: বিনা টিকিটে ট্রেনে যাত্রা করছিলেন ব্যক্তি, টিটি ধরতেই কী বললেন ? জানলে চমকে উঠবেন!

সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা

একটা স্বপ্নের বাড়ি কেনার জন্য প্রথম থেকেই পরিকল্পনা দরকার৷ সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা না থাকলে কত টাকা সঞ্চয় করা সম্ভব? কত টাকা বাড়তি খরচ হচ্ছে? কোন জায়গা থেকে টাকা বাঁচানো সম্ভব? এই সব কিছুর জন্য দরকার সঠিক অর্থনৈতিক পরিকল্পনার৷ চেষ্টা করুন, অন্তত আয়ের একের তৃতীয়াংশ বাড়ির ডাউন প্রেমেন্টের জন্য সঞ্চয় করে রাখতে৷

ভবিষ্যতের বাজেট পরিকল্পনা
প্রতিবছর মূল্যবৃদ্ধির জন্য আমাদের জীবন যাত্রার মানের হেরফের ঘটে৷ হোম লোন নিলে কিন্তু বেশ কয়েকবছর টানতে হবে৷ তাই লোনের আগে একবার ঘরের বাজেট করে নিন৷ ভবিষ্যতে কোন কোন জায়গায় খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা আছে, কতটা এমার্জেন্সি ফান্ড রাখার প্রয়োজন রয়েছে, সব কিছু ভেবে তারপরই কতটা সুদ বহন করতে পারবেন, সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিন৷ খেয়াল রাখুন সুদ দেওয়ার জন্য প্রতিদিনের খরচের উপর যেন রাশ টানতে না হয়৷