দিল্লির ঘটনায় সলিল সমাধি ইউপিএসসি পড়ুয়ার

Delhi IAS Coaching Centre: ছোটবেলা থেকেই চোখে ছিল ইউপিএসসির স্বপ্ন, দিল্লির রাজেন্দ্রনগরের ঘটনায় সলিল সমাধি স্বপ্নের, হাহাকার তানিয়ার পিতার

 দিল্লি: বর্তমানে সংবাদ শিরোনামে রয়েছে দেশের রাজধানী শহর দিল্লি। সেখানকার একটা কোচিং সেন্টারের বেসমেন্ট, বৃষ্টির জেরে জলের তলায় রীতিমতো তলিয়ে যায়। যার জেরে প্রাণ হারিয়েছেন ৩ জন ইউপিএসসি প্রার্থী। এঁদের মধ্যে একজন হলেন তানিয়া সোনি।  শৈশব থেকেই তিনি সিভিল সার্ভিসে আসতে চেয়েছিলেন।

তানিয়ার বাবা বিজয় কুমার সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন যে, রাজধানী শহরের একটি কলেজ থেকে  রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক হওয়ার পরে বিগত এক মাস ধরে ওই সেন্টারে পড়াশোনা করছিলেন ।

আরও পড়ুন:সরকারি উদাসীনতাতেই মৃত্যু দাবী বিজেপির, রাজেন্দ্রনগরের ইউপিএসসি পড়ুয়ার মৃত্যু নিয়ে শুরু রাজনৈতিক তরজা

তানিয়ার দেহ আনতে ইতিমধ্যেই দিল্লি রওনা হয়েছেন বিজয় কুমার। তাঁর কথায়, দিল্লিতেই স্নাতক পাঠ শেষ করে কোটিং সেন্টারে ইউপিএসসি-র জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। সেই ছোটবেলা খেকেই তাঁর ইউপিএসসি পরীক্ষা দেওয়াতে  আগ্রহী ছিলেন।

তানিয়ার বাবা আরও বলেন যে, ট্রেনে চেপে লখনউ যাচ্ছিলেন তাঁদের পরিবার। সেই সময়েই মেয়ের মৃত্যুর খবর পান তাঁরা। আর তানিয়ার মৃত্যুর খবর পেতেই নাগপুরে নেমে যায় তাঁর পরিবার। এরপর সেখান থেকেই দিল্লিগামী উড়ান ধরেন।

আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু হত্যাকাণ্ডে পুলিশের জালে অভিযুক্ত, হত্যার কারণ প্রেমঘটিত নাকি অন্য কিছু?

বিজয় কুমার আরও জানান যে, তানিয়ার দেহ তাঁদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এরপরেই বিহারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন তাঁরা। সেখানেই তানিয়ার শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। বিগত ২৫ ধরে তেলঙ্গানার রাজ্য-পরিচালিত সিঙ্গারেনি কোলিয়ারিজ কোম্পানি লিমিটেড (এসসিসিএল)-এ কাজ করছেন বিজয় কুমার।

বর্তমানে তিনি এসসিসিএল-এ ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজারের পদে রয়েছেন। তাঁর পরিবারও তেলঙ্গানার মাঞ্চেরিয়ালেই থাকে। প্রসঙ্গত, রাউয়ের আইএএস স্টাডি সার্কলের বেসমেন্টে ছিল একটা লাইব্রেরি।

শনিবার সন্ধেতে রাজধানী শহরে আচমকাই প্রবল বৃষ্টিতে চারিদিক জলমগ্ন হয়ে পড়ে। যার জেরে আইএএস স্টাডি সার্কলের বেসমেন্টে থাকা লাইব্রেরিও জলের তলায় চলে যায়। ফলে প্রাণ হারান দুই তরুণী এবং এক তরুণ ইউপিএসসি প্রার্থী।

তানিয়া সোনির মৃত্যুতে রবিবার গভীর শোক প্রকাশ করেছেন তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী এ রেবন্ত রেড্ডি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জি কিষাণ রেড্ডি।