শয়ে শয়ে মানুষ কাঁধে করে নিয়ে যাচ্ছে কুমিরটিকে 

কৃষ্ণনগরে হাড়হিম ঘটনা! নদী থেকে যা ধরা পড়ল, দেখে সবাই অবাক

ঘূর্ণি: নদিয়ার কৃষ্ণনগর জলঙ্গি নদীতে কুমিরের আতঙ্কে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা। অবশেষে সাধারণ মানুষ ও বন দফতরের প্রচেষ্টায় ধরা পড়ল সেই বিশালাকার কুমির।

বেশ কিছুদিন ধরে জলঙ্গী নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, মাঝেমধ্যে কুমির দেখতে পাচ্ছিলেন। বেশ কয়েকবার মৎস্যজীবীরাও দেখতে পান কুমির।

আরও পড়ুন- সূর্যকুমারের সেই ক্যাচ! রোহিত শর্মা তখন কী করছিলেন? দেখে হা হয়ে যাবেন

স্থানীয় প্রশাসন ও বনদফতরে খবর দিয়েও সুরাহা মেলেনি বলে অভিযোগ। বন দফতর কোনওরকম ব্যবস্থা বা কোনও তৎপরতা দেখাননি বলেও অভিযোগ করলেন মৎস্যজীবীরা। দিনরাত কুমির আতঙ্ক মৎস্যজীবীদের মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।

জলঙ্গিতে মাছ ধরতে আসা মৎস্যজীবীরা জানান, রাতে মাছ ধরার ক্ষেত্রে অনেকটাই অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল তাদের। তবে কৃষ্ণনগরের জলঙ্গিতে কুমির আতঙ্কে উদাসীন প্রশাসন বলে এমনটাই অভিযোগ ছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের।

এছাড়াও জলঙ্গী নদীতে যারা স্নান করছেন তারাও অনেকটা ভয়ের সম্মুখীন হচ্ছিলেন বলে দাবি করেন। অনেকে আবার কুমিরের ভয়ে স্নান করতে যাচ্ছিলেন না জলঙ্গি নদীতে।

দীর্ঘ চেষ্টার পর অবশেষে বন দফতরের উদ্যোগে কৃষ্ণনগর জলঙ্গী নদী থেকে ধরা পড়ল বিশালাকার কুমির। প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন আগে থেকেই কোতোয়ালি থানার অন্তর্গত নতুন সম্ভু নগর এলাকায় মৎস্যজীবীদের প্রথম চোখে পড়ে বিশালাকার এই কুমিরটি।

আরও পড়ুন- বিশ্বের সেরা ২ জন ক্রিকেটার কে? অ্যামব্রোস বাছলেন এমন নাম, শুনলে অবাক হবেন

এর পর মাঝেমধ্যে জলঙ্গি নদীতে ঘুরতে দেখা যেত কুমিরটিকে। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার সকালবেলাতেও খোশমেজাজে সেটিকে দেখা যায় ষষ্ঠীতলা এলাকায় নদীর ঘাটে। বুধবার ঘূর্ণি এলাকার একটি ভাটা থেকে বনদফতরের সহায়তায় ধরা হল সেই কুমিরটিকে।

Mainak Debnath