মুর্শিদাবাদ: চোর সন্দেহে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল ভগবানগোলা। গত দশ দিন ধরে এলাকায় চুরি হচ্ছে। আর এই নিয়ে আতঙ্কিত ভগবানগোলা থানার বালিপাড়ার কান্তনগর এলাকা। এরই মধ্যে এক অপরিচিত যুবককে দেখতে পেয়ে তাকে চোর সন্দেহে ধরে ফেলে গ্রামবাসীরা। একটি বাড়িতে তাকে আটকে রাখেন গ্রামবাসীরা। কিন্তু হাজার পাঁচেক মানুষ পুরো বাড়ি ঘিরে নুর আমিন শেখ নামের ওই যুককে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য দাবি জানাতে থাকে।
আরও পড়ুন: মায়ের মৃত্যুতে চোখে জল নয়, বরং ব্যান্ড-ডিজে বাজিয়ে মহানন্দে শেষযাত্রা পরিবারের
প্রথমে অভিযুক্ত ওই যুবক নিজের নাম পরিচয় কিছুই বলতে পারেনি। তবে পরে সে জানায় তার বাড়ি হুগলি জেলায়। ঘটনাস্থলে ভগবানগোলা থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী আসলে উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু হয়। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গাস ছোড়ে। ঘটনাস্থলে, একজন পুলিশ আধিকারিক আহত হন। অভিযুক্ত নুর আমিন শেখ বলেন, “আমার বাড়ি হুগলিতে। নেশাগ্রস্থ হয়ে রাস্তা ভুলে এই জায়গায় চলে এসেছি। আমার সঙ্গে অন্য কেউ ছিল না। আমি একাই আছি। আমি কোনো চুরি করিনি”।
ভগবানগোলার বিভিন্ন এলাকায় মাঝেমধ্যেই ঘটে চলেছে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা। শুক্রবার রাতে সাহেবনগর এলাকার একটি বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটে। এলাকার মাজরুল ইসলাম পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক, ভিনরাজ্যে কর্মরত। বাড়িতে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে থাকে। শনিবার রাতে দুই দুষ্কৃতী ছাদ দিয়ে তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং বাড়ির গৃহকর্তী ও তার ছেলেকে পিস্তল ও ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে চাবি নিয়ে আলমারি থেকে সোনার গহনা চুরি করে চম্পট দেয়। শনিবার সকালে ঘটনাটি জানাজানি হতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। এলাকাবাসীদের অভিযোগ মাঝে মধ্যেই চুরির ঘটনা ঘটছে এলাকায়। সেইকারনে ১৫দিন ধরে এলাকাবাসীরা জায়গায় জায়গায় টহলদারি দিচ্ছেন। তারপরেই এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটে যায়। তাই পুলিশি নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখায় এলাকাবাসীরা। ঘটনাস্থলে ভগবানগোলা থানার পুলিশ এসে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এলাকাবাসী তাজিরুল শেখ বলেন, “দিন দিন আমাদের এলাকা চুরির ঘটনা বেড়েই চলেছে। সেই কারণে আমরা রাতে এলাকায় পাহাড়া দিই। তারপরেও এই চুরির ঘটনা ঘটে গেল। আমরা চাই পুলিশের পক্ষ থেকে আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হোক”।