১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা! চালান স্কুটি, এই মহিলার মাথায় হাত

বেঙ্গালুরু: বেঙ্গালুরুর একজন মহিলাকে, যিনি একটি টু-হুইলারের মালিক, সম্প্রতি ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য বিশাল অঙ্কের জরিমানা করা হয়েছে। ওই মহিলা এর আগেও একাধিকবার আইন লঙ্ঘন করে ধরা পড়েছেন, সর্বশেষবার তাঁকে ধরা হয়েছিল হেলমেট ছাড়াই একটি স্কুটারে দুই অতিরিক্ত যাত্রীকে নেওয়ার জন্য।

শুধুমাত্র ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘনের ফলে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে ওই মহিলার, যা তাঁর হন্ডা অ্যাক্টিভার মূল্যের প্রায় দ্বিগুণ।

এই ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ, YouTube-এ ‘TV9 Kannada’ নামক একটি চ্যানেলে শেয়ার করা হয়েছে। এই জরিমানা দায়িত্বজ্ঞানহীন চালকের কী ক্ষতি করে দিতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ।

আরও পড়ুন- ১৯৮৬ সালে রয়্যাল এনফিল্ডের দাম কত ছিল? পুরনো বিল ভাইরাল, দেখলে অবাক হবেন

এতে সিসিটিভি নজরদারির কার্যকারিতাকেও আবার প্রমাণ করেছে। তাই যাঁরা হেলমেট পরার গুরুত্বকে অতিরঞ্জিত বলেন বা দুর্ঘটনায় সম্ভাব্য জীবননাশের মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে অবহেলা করেন তাঁদের জন্য এটি উচিত শিক্ষা।

আমাদের দেশে দেখা যায়, কঠোর শাস্তির নিয়ম থাকা সত্ত্বেও, অপরাধীরা শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়, অন্যদেরও জীবনের ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত। বেপরোয়া আচরণের কারণে গাড়ি চালানোর সময় সড়ক দূর্ঘটনায় মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে।

গত বছরের শেষের দিকে অন্য একটি ঘটনায়, জয়নগর ট্রাফিক পুলিশ একটি স্কুটার বাজেয়াপ্ত করেছিল, কেননা ওই স্কুটারটি ২৫৫টি ট্রাফিক নিয়ম লঙ্ঘন করে।

ওই ব্যক্তিকে ১০ হাজার টাকা স্পট জরিমানা প্রদান করা হয়েছিল। ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার হাই ভায়োলেশনের সংখ্যা সহ যানবাহনের একটি তালিকা প্রদান করেছে এবং বিভিন্ন পুলিশ স্টেশনগুলিকে জরিমানা আদায় করতে অনুরোধ করেছে৷

আরও পড়ুন- বাইক থামাতে আগে ক্লাচ চাপবেন নাকি ব্রেক? ৯৯% মানুষ সঠিক পদ্ধতি জানেন না

জেপি নগরে বসবাসকারী দর্জির কাজ করেন এক ব্যক্তি জানিয়েছেন যে, তিনি তাঁর ছেলের জন্য একটি স্কুটার কিনেছিলেন, যিনি কুরিয়ার ডেলিভারি এজেন্ট হিসাবে কাজ করেন।

সারাক্কি জংশনে ওই ব্যক্তির বাসভবনের কাছে একটি অটোমেটেড নম্বর প্লেট রেকগনিশন ক্যামেরায় যেকটি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে বেশিরভাগই তাঁর ছেলে করেছিলন।

স্কুটারের রেজিস্ট্রেশনের বিবরণের উপর ভিত্তি করে এলুমালাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর, ট্রাফিক কর্মকর্তারা তাঁকে লঙ্ঘন বা জরিমানার টাকা গোপন করেই স্কুটারটিকে স্টেশনে নিয়ে আসার নির্দেশ দেন। যখন তিনি স্টেশনে পৌঁছন, তখন আসল ঘটনা জানতে পারেন।