মুর্শিদাবাদ: ভূত ছাড়ানোর নামে মুখে করে জুতো নিয়ে রাস্তা ঘোরানো হল এক মহিলাকে। আর ওঝার কথা শুনেই মুখে করে জুতো বইয়ে সারা রাস্তা ঘোরানো হয় মহিলাকে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে বহরমপুরে।
কেন এই ঘটনা, শুনলে আপনিও চমকে উঠবেন। জানা গিয়েছে, মহিলাকে নাকি নাকি ভূতে ধরেছে। সেই ভূত কখনও মেয়েকে প্রবল আক্রমণাত্মক করে তোলে, আবার কখনও ভূতের জন্য মেয়ে শারীরিক ভাবে নিস্তেজ হয়ে পড়ে। এক বছর ধরে ওঝা, গুণিন, কবিরাজ দেখিয়েও কিছু হয়নি। কিন্তু ডাক্তার দেখান না কেন? মেয়ের কথা বলতে গিয়ে কাঁদো কাঁদো মুখ পরিবারের সদস্যদের।
আরও পড়ুন: দেশের সবচেয়ে বড় ইনকাম ট্যাক্স রেইড, ১০ দিন ধরেও টাকা গোনা শেষ হয়নি! কত নগদ উদ্ধার হয় জানেন?
পরিবারের সদস্যদের দাবি, অনেক ডাক্তার দেখানো হলেও কোন কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই ওঝার নিদান। ওঝার নির্দেশ পেতেই শহরের রাস্তায় ঘুরে গঙ্গায় যায় ঐ মহিলা তা-ও আবার জুতো মুখেই। সূত্রের খবর, বহরমপুরের চুঁয়াপুর সুকান্তপল্লীর বাসিন্দা ওই মহিলাকে ওঝার নিদানে চামড়ার জুতো মুখে নিয়ে প্রায় ৪ কিমি রাস্তা ঘুরিয়ে বহরমপুর গোরাবাজার কলেজ ঘাটে নিয়ে আসেন মহিলার বাড়ির লোকজন। ঘটনার ছবি তুলতে গেলে সংবাদ মাধ্যমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যান পরিবারের সদস্যরা। ঘটনার খবর পেয়ে বহরমপুর কলেজ ঘাটে আসে বহরমপুর থানার পুলিশ। যদিও পুলিশ এসে পরিবারের সদস্যদের বোঝালে বিষয়টি স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: ‘বিয়ে করলে শুধু কাকুকেই করব’! কাকুর গলায় মালা দিয়ে কী বললেন নিজের ভাইঝি?
পরিবারের দাবি, ‘‘প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসক জানিয়েছিলেন, শরীরে কোনও সমস্যা নেই। এর পরও মেয়ের অস্বাভাবিক আচরণ বৃদ্ধি পেতে থাকে।’’ তাতেই পরিবারের লোকজন দ্বারস্থ হন ওঝা-গুণিনদের। চলে ঝাড়ফুঁক, তুকতাক। কিন্তু সময় যত যায়, ততই মেয়ের অস্বাভাবিক আচরণ বাড়তে থাকে। এখন খাওয়াদাওয়া একপ্রকার ছেড়ে দিয়েছেন ওই তরুণী। সারাদিন বাড়িতে একটি মাদুরের উপর নিস্তেজ হয়ে পড়ে থাকেন তিনি। এক বার করে ঘোর কাটলে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তখন পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন, হাতের কাছে যা পান ভেঙে চুরমার করে দেন, এমনই অভিযোগ মহিলার বিরুদ্ধে। প্রতিবেশী এবং পরিবারের লোকজনের ধারণা মেয়েকে ভূতে পেয়েছে, তাই ওঝার নির্দেশে এই জুতো মুখে শহর ঘোরানো হয়।