কলকাতা: লক্ষ্য সাংগঠনিক মজবুতি। এবার লোকসভা ভিত্তিক বৈঠক শুরু করল তৃণমূল কংগ্রেস। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব বৈঠক শুরু করছেন জেলার সাংগঠনিক দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে। উত্তরবঙ্গের দুই লোকসভা আসন দিয়ে শুরু হচ্ছে এই বৈঠক। আজ প্রথম দিনেই দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ার জেলা নিয়ে বৈঠক। বৈঠক করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে হাজির থাকবেন দলের জেলা সভাপতি, যুব সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান ও বিধায়করা, এছাড়া পুর-পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা।
সামনেই রাজ্যের ৪২ আসনে লোকসভা নির্বাচন। দুই সপ্তাহ ঘুরলেই লোকসভা ভোটের দামামা বেজে যাবে। এরই মধ্যে একাধিক মন্ত্রীর গ্রেফতারে অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। প্রায় প্রতিদিন বিজেপি ও বামেরা রাজনৈতিক আক্রমণ শানাচ্ছে বাংলার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। পাল্টা রাজনৈতিক অবস্থান বজায় থাকলেও, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করে আগামী দিনের দিকে লক্ষ্য রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই বৈঠক থেকে কথা বলে একদিকে যেমন দায়িত্বপূর্ণ নেতাদের সাংগঠনিক শক্তি বুঝে নেওয়া হবে, অন্যদিকে ব্লক স্তরে সংগঠন ভোটের প্রচারে ঢেলে সাজানোর জন্যেও চলছে আলোচনা। তাই রিপোর্ট কার্ড হাতে নিয়েই এই বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব৷
গত লোকসভা নির্বাচনে এই তিন আসনেই খারাপ ফল হয়েছে তৃণমূলের। বিধানসভা ভোটে ঘুরে দাঁড়ালেও এই সব জেলার একাধিক আসন হাতছাড়া হয়েছে জোড়া ফুল শিবিরের। বিশেষ করে আলিপুরদুয়ার জেলায়। চা-বলয়ে একেবারে মুখ থুবড়ে পড়েছে তৃণমূল। আর এর পিছনে সাংগঠনিক দুর্বলতা রয়েছে বলেই মনে করছে দল। তাই একেবারে নিচু স্তরে গিয়ে যারা কাজ করবেন সেই ব্লক স্তরীয় নেতাদের আরও দায়িত্বশীল করতে উদ্যোগী তৃণমূল।
স্বচ্ছ ভাবমূর্তি, জনসংযোগে দক্ষ, কাজ করার মানসিকতা আছে এমন ব্যক্তিত্বকেই যে সাংগঠনিক দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হবে তা আগেই বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এই বৈঠক সাংগঠনিক দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে এই সব জেলায় সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ধূপগুড়িতে গিয়ে দুই জেলাকে নিয়ে সভা করেছেন অভিষেক নিজেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ফের সভা করবেন। তার আগে আজ লোকসভা ভোটের রণকৌশল নিয়ে মিটিং করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।