মালদহ: রেকর্ড গড়ল মালদহ জেলা পুলিশের হবিবপুর থানা। মাত্র নয় দিনেই ধর্ষণ মামলার চার্জশিট জমা দিল। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই শুরু হবে এই ধর্ষণ মামলার শুনানি। এর আগে এত কম সময়ে কোনও মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার নজির নেই মালদহ জেলা পুলিশের। জেলা পুলিশের দাবি, এই ঘটনায় অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার সম্ভব হয়েছিল। এমনকি সমস্ত তদন্ত থেকে সাক্ষী প্রমাণ দ্রুত সংগ্রহ করেছে পুলিশ। তার জেরে দ্রুত চার্জশিট জমা সম্ভব হয়েছে।
গত ২৮ অগাস্ট মালদার হবিবপুর থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত গ্রামের একজন হাতুড়ে চিকিৎসক। ওই নাবালিকাকে চিকিৎসার প্রশিক্ষণ দেওয়ার নাম করে ধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে। নাবালিকার পরিবারের পক্ষ থেকে হবিবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করার পরেই পুলিশ দ্রুত গ্রেফতার করে। শুরু হয় ঘটনার তদন্ত।
নাবালিকার মেডিক্যাল টেস্ট থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে সাক্ষী প্রমাণ সংগ্রহ করা হয়। সমস্ত কিছু দ্রুত সম্পন্ন করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ইতিমধ্যে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্তের ডিএনএ টেস্ট করা হয়েছে। ঘটনার নয় দিনের মাথায় হবিবপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে চার্জশিট জমা করা হয়েছে। মালদহ জেলা আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হবে।
আরও পড়ুন- বিরাট ক্ষতিকর…! ‘তেলাপিয়া’ মাছ-ই ডেকে আনছে ভয়ঙ্কর বিপদ, যা বলছেন গবেষকরা, শুনলে আঁতকে উঠবেন
পুলিশের পক্ষ থেকে সাত জন সাক্ষী করা হয়েছে এই মামলায়। এই বিষয়ে মালদহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( হেড কোয়ার্টার) সম্ভব জৈন বলেন, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেফতার সম্ভব হয়েছিল। এমনকি এই ঘটনায় সমস্ত প্রমাণ সাক্ষী দ্রুত নেওয়া সম্ভব হয়েছে। তাই ঘটনার নয় দিনের মধ্যে চার্জশিট জমা হয়েছে। গত কয়েক বছরে এত দ্রুত কোনও মামলার চার্জশিট জমা দেওয়া সম্ভব হয়নি। এটিই প্রথম এত দ্রুত চার্জশিট জমা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এবার মামলার শুনানি শুরু হবে।
হরষিত সিংহ