নয়ন ঘোষ, দুর্গাপুর, পশ্চিম বর্ধমান : শুরু হয়েছে অম্বুবাচীর সময়কাল। এই সময় নীলাচল পাহাড়ের কোলে অবস্থিত কামাখ্যা দেবীর মন্দিরের গর্ভগৃহ থাকবে বন্ধ। তার পর আয়োজন করা হবে মহা উৎসবের। কামরূপ কামাখ্যায় অম্বুবাচী বিশেষভাবে পালন করা হলেও, এই সময়কালের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষজনের কাছে।
কিন্তু কেন পালন করা হয় অম্বুবাচী? এই সময় কী কী কাজ ভুলেও করতে নেই? জেনে রাখুন বিশেষজ্ঞের মত। বিশেষজ্ঞ ব্রাহ্মণ ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন অম্বুবাচী শব্দের অর্থ। তিনি বলছেন, এখানে অম্বু শব্দের অর্থ জল এবং বাচী শব্দের অর্থ বৃদ্ধি পাওয়া। অর্থাৎ এই সময় পৃথিবীতে জলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। খুব সহজ ভাষায় বললে ঋতুচক্রে এই সময় বর্ষাকাল প্রবেশ করে।
আর এই সময়টাকে পালন করা হয় নির্দিষ্ট কিছু বিধিনিষেধের মধ্য দিয়ে। যেহেতু জীবকূলের মূল আধার প্রকৃতি, তাই প্রকৃতি মায়ের প্রতি সম্মান জানিয়ে এই সময় পালন করা হয়। তিনি বলছেন এই সময়, কোনওভাবেই মাটিকে আঘাত করতে নেই। এই সময় কৃষিকাজ বন্ধ রাখার নিয়ম রয়েছে। অম্বুবাচী পেরিয়ে গেলে তারপর কৃষিকাজ শুরু করতে হয়। এই সময় মাটি কোপানো বন্ধ রাখা উচিত।
একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এই সময় অনেকেই ঘরের মাতৃ মূর্তি লাল কাপড়ে ঢেকে রাখেন। অথবা তাদের মুখ ঘুরিয়ে রাখেন। কেউ কেউ মাতৃমূর্তির ক্যালেন্ডার উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেন। কিন্তু এটা ঠিক নয় বলেই তার মতামত। তিনি বলেছেন, এই সময় সংকল্প করে কোনও পুজো করা উচিত নয়। পাশাপাশি এই সময় যে কোনওরকম ক্ষৌর কর্ম অর্থাৎ চুল, দাড়ি, নখ কাটা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন এই পুরোহিত।