নয়া দিল্লিঃ কেরল এবং তামিলনাড়ুতে অতি অবশ্যই খাতা খুলবে বিজেপি। নেটওয়ার্ক 18-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে জোর দিয়ে এ কথা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। শুধু তাই নয়, দক্ষিণের ৪টি রাজ্যে পদ্মশিবির কংগ্রেসের চেয়ে বেশি আসন পাবে বলেও আত্মবিশ্বাসী তিনি।
নেটওয়ার্ক 18 গ্রুপের প্রধান সম্পাদক রাহুল জোশীর একটি প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ বলেন, “দক্ষিণের চারটি রাজ্য মিলিয়ে আমরা কংগ্রেসের চেয়ে এগিয়ে থাকব। নির্বাচন ভালভাবে এগোচ্ছে। কেরল ও তামিলনাড়ুতে খাতা খুলবে বিজেপি। তবে যে সব আসনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে চলেছে, সেই সব আসন নিয়ে অনুমান করা কঠিন”।
অন্ধ্রপ্রদেশে বিজেপি জোট করেছে। তেলঙ্গানা এবং অন্ধ্রে বিজেপি ভাল ফল করবে বলে আশাবাদী অমিত শাহ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আমরা ভালভাবে নির্বাচনে লড়ছি। এটা শুরু”। তেলঙ্গানা প্রসঙ্গে তিনি বলছেন, “তেলঙ্গানায় বিজেপির ভাল ফল করা উচিত। সর্বোচ্চ আসন বিজেপির দখলে আসতে পারে”।
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে দক্ষিণে বাড়তি উদ্যম নিয়ে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। বেশ কয়েকটি জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
বিজেপি উত্তর ভারতের দল, দক্ষিণে দাঁত ফোটাতে পারে না। জাতীয় রাজনীতিতে এমন কথা প্রচলিত রয়েছে। সম্প্রতি কেরলের মাতৃভূমি সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে পাল্টা জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী, “এটা কিছু রাজনৈতিক বিশ্লেষকের দৃষ্টিভঙ্গি। কিন্তু আসল গল্প আলাদা”। গত নির্বাচনে দক্ষিণ ভারত বিজেপির কঠিন ঠাঁই হয়ে দাঁড়িয়েছিল কি না জানতে চাইলে মোদি বলেন, “আপনার প্রশ্নটা বাস্তবসম্মত নয়। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি দক্ষিণ ভারতের একক বৃহত্তম দল ছিল”।
সঙ্গে মোদি যোগ করেন, “আপনি হয়তো জানেন না, আমাদের দলের তিনজন সভাপতি দক্ষিণ ভারতের মানুষ ছিলেন। ১৯৮৪ সালে যখন আমাদের মাত্র ২টি আসন ছিল, তার একটা ছিল দক্ষিণ ভারতের। দক্ষিণের সঙ্গে বিজেপির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি দেখুন। আমি গোটা দক্ষিণ ভারত ঘুরেছি। যেখানেই গিয়েছি দারুণ সাড়া পেয়েছি। আমি নিশ্চিত যে দক্ষিণ ভারত এবার রেকর্ড সংখ্যা দিয়ে বিজেপিকে আশীর্বাদ করবে”।
আরও পড়ুনঃ ৪ জুন, গণনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টা- অমিত শাহের বিরাট দাবি! কী হতে চলেছে, জানালেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী
নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই ২০২৪-এর ১৫ মার্চ থেকে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে প্রচার শুরু করে দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
দক্ষিণ ভারতে মোদির প্রচার নিয়ে বিজেপির এক বর্ষীয়াণ নেতা এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিউজ 18-কে বলেন, “দিল্লির ক্ষমতায় যাওয়ার রাস্তা উত্তরপ্রদেশের মধ্যে দিয়ে যেতে পারে, তবে এবার এনডিএ-এর ৪০০ পারের রাস্তা দক্ষিণ ভারত দিয়ে যাবে। আমরা এবার দক্ষিণের পাঁচটি রাজ্যে এনডিএ-র জন্য ৫০ থেকে ৬০টি আসন জিততে চাই। এটিই এনডিএকে ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে নিয়ে যাবে”।