বাঁকুড়া: শুকরের কামড়ে আহত স্বহায়সম্বলহীন এক বৃদ্ধার মৃত্যুকে ঘিরে আতঙ্ক ছড়াল বাঁকুড়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। স্থানীয়ভাবে জানা গেছে, মৃতার নাম করুণা কর্মকার। এই ঘটনার পর এলাকায় চেপে বসেছে শুকর আতঙ্ক। পরিকাঠামোর অভাবে শুকর নিয়ন্ত্রণে নিজেদের অসহায়তার কথা জানিয়েছে বাঁকুড়া পুরসভা।
বাঁকুড়া শহরের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাজার এলাকা জুড়ে দীর্ঘদিন ধরেই অবাধ বিচরণ অসংখ্য শুকরের। স্থানীয় একাধিক বস্তিতে বাড়ির মধ্যেই শুকর পালন করা হয়। সকাল হলেই সেই শুকরের দলকে ছেড়ে দেয় শুকর পালকরা। এলাকায় অবাধে ঘুরতে থাকা সেই শুকরের দলের হানায় অতিষ্ঠ স্থানীয় মানুষ। মাঝে মধ্যেই শুকর খাবারের খোঁজে ঢুকে পড়ে গৃহস্থের হেঁশেলে। বাদ যায়না স্থানীয় আইসিডিএস কেন্দ্রের রান্নাঘরও। মাঝেমধ্যেই শুকরের দল তাড়া করে এলাকার শিশুদের। ভয়ে বাড়ির শিশুদের আইসিডিএস কেন্দ্রে পাঠিয়েও নিশ্চিন্তে থাকতে থাকতে পারেননা স্থানীয় অভিভাবকরা।
শুকরের আতঙ্কে সারাক্ষণ কাঁটা হয়ে থাকেন আইসিডিএস কর্মীরাও। শুকরের এই আতঙ্কই বুধবার থেকে বহুগুণে বৃদ্ধি পায় লালবাজার এলাকায়। স্থানীয়দের দাবি শুকরের দল সম্প্রতি করুনা কর্মকার নামের স্থানীয় এক চলনশক্তিহীন বৃদ্ধাকে কামড়ে ক্ষতবিক্ষত করে দেয়। পরে আহত অবস্থায় তাঁকে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। গতকাল সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। করুণা কর্মকারের এই মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কে কাঁটা হয়ে পড়েন স্থানীয়রা।
স্থানীয়দের দাবি, বাঁকুড়া পুরসভার তরফে এলাকায় শুকর চাষ নিয়ন্ত্রণ না করায় এলাকা ক্রমেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। পুরসভার দাবি শুকরগুলিকে নিয়ন্ত্রিত এলাকায় চাষ করার জন্য বারেবারে মাইক প্রচার করা হয়েছে। কিন্তু তারপরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। পাশাপাশি পুরসভার দাবি, পুরসভার নিজস্ব পরিকাঠামো না থাকায় শুকর দলের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ বা সেগুলি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়া করা সম্ভব হচ্ছে না।
প্রিয়ব্রত গোস্বামী