কলকাতা: শিয়ালদহের কাছে পুলিশকে মার আন্দোলনকারীদের! হেলমেট খুলে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হল তাঁর। একা পেয়েই বেধড়ক মার সেই পুলিশ কর্মীকে। কোনও রকমে পালান সেই পুলিশকর্মী।
জায়গায় জায়গায় খেপে উঠেছেন ‘নবান্ন অভিযান’-এ অংশ নেওয়া আন্দোলনকারীরা। কোনও কোনও জায়গায় পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসলেও প্রিন্সেপ ঘাট কিংবা শিয়ালদহ চত্বরে নয়। কলেজ স্ট্রিট এবং সাঁতরাগাছি থেকে দু’টি মিছিল এসে ‘নবান্ন অভিযান’ এ শামিল হয়।
শহর জুড়ে পুলিশ-আন্দোলনকারী খণ্ডযুদ্ধ! পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি! তার পরেই পুলিশের তরফে পাল্টা লাঠিচার্জ। বড় বাজার, হাওড়া ময়দান এবং কলেজস্ট্রিট এলাকায় রণক্ষেত্রের ছবি। পুলিশ শেল ফাটাচ্ছে, কাঁদানে গ্যাস ছুড়ছে। আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করার আপ্রাণ চেষ্টা চলছে।
মূল মিছিল তার মধ্যেই কলেজ স্ট্রিট থেকে হেস্টিংস পর্যন্ত যাচ্ছে। বড় বাজারে পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আসে টানা জলকামান ছুড়ে, এমনই জানায় পুলিশ। তবে হেস্টিংসে নতুন করে বাড়ে ক্ষোভের আঁচ। আন্দোলনকারীরা যে অনড় তা এই ছবি থেকেই স্পষ্ট।
সাঁতরাগাছিতে মহিলাদের বিক্ষোভের ছবি নজরে আসে। পুলিশের লাঠি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন মহিলা দল। এছাড়াও ৩ জায়গায় চলছে তুমুল বিক্ষোভ। নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি। সাঁতরাগাছিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা বিক্ষোভকারীদের। আন্দোলনকারীদের বোঝানোর চেষ্টা পুলিশের। তার পরেও থামানো যায়নি বিক্ষোভ। ব্যারিকেড টেনে ভেঙে ফেলা হয় হাওড়া ময়দানে।
আরও পড়ুন- মমতার কালীঘাটের বাড়ির পাহারায় বিশাল পুলিশবাহিনী! বন্ধ রাস্তা, আক্রমণের উপায় নেই
ব্যারিকেডের সামনেই বসে পড়েন আন্দোলনকারীরা। সেখানেই বসেই স্লোগান দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল শুরু করেছেন আন্দোলনকারীরা। হাওড়া ব্রিজে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ছোড়ে পুলিশ। কিন্তু সাময়িক ক্ষান্ত দেওয়ার পরেই ফের ফুঁসে ওঠেন উত্তেজিত জনতা। পুলিশকে আক্রমণ করেন তাঁরা। জনতার মাঝে পড়ে আহত ২ পুলিশকর্মী। কর্মী আন্দোলনকারীদের ছোড়া ইটে তাঁরা আহত হয়েছেন বলে খবর। এর পরই আরও এক পুলিশ কর্মীর মার খাওয়ার খবর এল শিয়ালদহে।