মঙ্গলবার কলকাতায় ফেরার পর অনুব্রত (বাঁদিকে)৷ গ্রেফতার হওয়ার পর অনুব্রত মণ্ডল (ডানদিকে)৷

Anubrata Mondal: পাকা চুল আবার কুচকুচে কালো, ফিরল পুরনো চেহারা! পুরনো মেজাজেও ফিরবেন অনুব্রত?

বোলপুর: একসময় তাঁর দাপটে বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত বলে প্রচলিত ছিল বীরভূমের রাজনীতিতে৷ সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়ে জেল যাত্রার কয়েকদিনের মধ্যেই সেই অনুব্রত মণ্ডলের চেহারা আমূল বদলে গিয়েছিল৷ কুচকুচে কালো চুল পাক ধরে সাদা হয়ে গিয়েছিল৷ দিল্লির আদালতে হাজিরা দেওয়ার সময় হুইলচেয়ারে বসিয়ে নিয়ে আসতে হয়েছিল ভগ্ন চেহারার অনুব্রতকে! সেই ছবি দেখে মুষড়ে পড়েছিলেন অনুব্রতর অনুগামীরাও৷

দু বছর এক মাস পর অবশেষে জেল মুক্তি হল অনুব্রতর৷ জেল মুক্তির সঙ্গে সঙ্গেই অবশ্য ফের একবার অনুব্রতর বদলে যাওয়া চেহারা সামনে এল৷ মঙ্গলবার সকালে অনুব্রত মণ্ডল যখন বোলপুরের বাড়িতে পা দিলেন, তখন তাঁর চুল সেই আগের মতোই কুচকুচে কালো৷ ওজনও অনেকটা কমিয়ে আগের থেকে অনেক ঝরঝরে দেখিয়েছে অনুব্রতকে৷

আরও পড়ুন: ভাষা সমস্যায় জামিন পেলেন অনুব্রত? আদালতের নির্দেশে সামনে এল অবাক করা কারণ

আগেই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছিল, জেলে থাকাকালীন প্রায় তিরিশ কেজি ওজন কমেছে তৃণমূল নেতার৷ বিভিন্ন রোগে কাবু অনুব্রতর নিয়মিত চিকিৎসাও হয়েছে৷ অনুব্রত অবশ্য এ দিন বোলপুর ফেরার পথে জানিয়েছেন, পায়ে এবং কোমরের ব্যথায় ভুগছেন তিনি৷ এ দিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নামা পরেও হুইলচেয়ারেই গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে আসা হয় অনুব্রত মণ্ডলকে৷

অনুব্রতর জেলমুক্তির পর তৃণমূলের নেতা কর্মীরাই অনেকে বলছেন, বাঘ আবার ডেরায় ফিরছে৷ যদিও দু বছর পর জামিন পাওয়া অনুব্রত নিজে অনেক সাবধানী৷ এ দিন কলকাতায় পৌঁছনোর পর তিনি বলেছেন, কোনও বিতর্কিত মন্তব্য করব না৷ আমি আদালতকে সম্মান করি৷

অনুব্রতর অপেক্ষায় এ দিন হাপিত্যেশ করে তাঁর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিলেন অসংখ্য কর্মী সমর্থক৷ বীরের মর্যাদা দিয়েই প্রিয় কেষ্টদাকে বরণ করে নেন তাঁরা৷ চুলের পাক দূর করে পুরনো চেহারার অনুব্রত বীরভূমে ফিরে পুরোন মেজাজেই ফেরেন কি না, সেটাই এখন দেখার৷