#দোহা: কাতারে স্পেন ফুটবল দল একদিন আগেই সমস্যায় পড়েছিল নিজেদের প্রিয় খাবার আনতে না পেরে। পর্ক এবং এক ধরনের বিশেষ ওয়াইন স্প্যানিশদের খুব প্রিয়। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মতো কাতারেও পর্ক এবং মদ নিষিদ্ধ। অতি কষ্টে বিয়ার পানের অনুমতি পাওয়া গেছে। তবে এই ভুল করতে আর রাজি নয় আর্জেন্টিনা এবং উরুগুয়ে। তারা নিজেদের দেশ থেকেই বিশেষ ধরনের সুস্বাদু মাংস নিয়ে কাতার বিশ্বকাপে খেলতে এসেছে।
আরও পড়ুন – ফুটবল বিশ্বকাপে কোচদের মাইনে জানেন? তিতে, সাউথগেটরা কম যান না ফুটবলারদের থেকে
বিভিন্ন কাটিংয়ের মাংস এবং সসেজ দিয়ে তৈরি একধরনের খাবারের নাম ‘আসাদো’। যা আর্জেন্টিনায় খুবই জনপ্রিয়। বিশ্বকাপ খেলতে লিওনেল মেসিরা কোনো দেশে যাবেন আর সঙ্গে ‘আসাদো’ থাকবে না, তা কী করে হয়! ৯০০ কেজি মাংস আনা হচ্ছে কাতারে। শুধু আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের জন্যই নয়, একই মেন্যু এবং একই ধরনের খাবারের জন্য উরুগুয়ে থেকেও ২০০০ পাউন্ড মাংস আনা হচ্ছে কাতারে লুইস সুয়ারেজদের ক্যাম্পে।
MUNDIAL
?? La Selección además viajó con yerba, dulce de leche y otros alimentos envasados. Uruguay, por ejemplo, apenas viajó con 800 kilos de carne.https://t.co/l1VcWRnAhA— Diario Agenda Salta (@AgendaSalta) November 17, 2022
নিজ নিজ দেশ থেকে রাঁধুনি (শেফ), রন্ধনপ্রনালির যাবতীয় অনুসঙ্গও আনিয়ে নিচ্ছে দোহায়। বিশ্বকাপজুড়ে দোহায় বসেই ঘরের খাবারের স্বাদ উপভোগ করবেন মেসি-সুয়ারেজরা। আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনিও তাদের খাবার ‘আসাদো’ নিয়ে কথা বলেছেন।
তিনি জানান, এই একটি খাবার পুরো দলকে একতাবদ্ধ রাখে। তিনি বলেন, আমার সেরা (ফেবারিট) খাবারই হল আসাদো। কিন্তু সেটা প্রিয় অবস্থা যেন কাতারে এসে আরো বেশি। এটা যেন আমাদের দলের মধ্যে একতা তৈরিতে দারুণ এক পরিবেশ সৃষ্টি করে। তবে কোন ফুটবলারের কতটা মাংস প্রয়োজন সেটা ঠিক করে দেবেন আমাদের ডাইটটিশিয়ানরা।