দশাবতার লণ্ঠন 

Bankura News: বিষ্ণুপুরের বিখ্যাত লন্ঠনকে বাঁচাতে এক অনন্য ভূমিকা

বাঁকুড়া: বিষ্ণুপুরের এক অনন্য শিল্প হল লণ্ঠন। “বিষ্ণুপুরী” লন্ঠন, যা এক সময় গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে আলো দিত । শতাধিক প্রাচীন এই বিখ্যাত “লন্ঠন” শিল্প আজ অবলুপ্তির পথে। বিষ্ণুপুরে হাতে-গোনা কয়েকটি পরিবার আজ কোনওক্রমে পূর্বপুরুষের এই শিল্পকে ধরে রেখেছেন।তাদের প্রত্যেকের গলায় আক্ষেপের সুর, “চাহিদা একেবারেই নেই।” তারা জানেন না কতদিন এভাবে চালিয়ে যেতে পারবেন ! তবে ব্যতিক্রম শিল্পা সূত্রধর।

বিষ্ণুপুরি লন্ঠনের উপর করছেন, এক রঙিন এক্সপেরিমেন্ট। লণ্ঠনের চার দেওয়ালের গায়ে আঁকা রয়েছে বিষ্ণুর দশাবতার। এই অবতার গুলি যেন লণ্ঠনের আলো হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিল্পার হাতে তৈরি লন্ঠন পৌঁছেছে সৌরভ গাঙ্গুলীর হাতেও। লন্ঠন গুলিকে বাজার থেকে কিনে নিয়ে এসে তাতে দশাবতার তাসের উপরে যে অবতার গুলি আঁকা হয় সেই অবতার গুলি এঁকে লণ্ঠনকে এক নতুন রূপ দিচ্ছেন এই মেয়ে। যা অবশ্যই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে মানুষের।

আরও পড়ুন : থিমের রমরমায় আজও সকলের নজর কাড়ে বাঁকুড়ার এই দুর্গা! কারণ শুনে আপনিও চমকে যাবেন

আগেকার দিনের প্রত্যন্ত গ্রামে গঞ্জে ছিলনা বিদ্যুৎ। সাধারণ মানুষকে ভরসা করে থাকতে হত লণ্ঠনের উপরে। বিষ্ণুপুরের এই লন্ঠন গুলি সেই কারণে প্রাসঙ্গিক ছিল বিগত জামানায়। তবে আধুনিকতার জোয়ারে লণ্ঠনের ব্যবহার কমে গেছে রীতিমত। মাসে ৫০ থেকে ৬০ টি লন্ঠন বিক্রি হতআগেকার দিনে, যে সংখ্যাটা এখন পৌঁছেছে পাক্ষিক তিন থেকে চারটি লণ্ঠনে। তবে তা বলে কি বিষ্ণুপুরের লন্ঠন হারিয়ে যাবে। \”সার্ভাইভারল অফ দা ফিটেস্ট\” অর্থাৎ লন্ঠনকে বেঁচে থাকতে হলে আধুনিক সমাজের সঙ্গে তাল মেলাতে হবে, এমনটাই মনে করেন শিল্পা সূত্রধর এবং সেই কারণেই, ঐতিহ্যবাহী দশাবতার তাস এবং লণ্ঠনের একটি ফিউশন তৈরি করেছেন তিনি। লণ্ঠনের ভেতরে দিয়েছেন ব্যাটারির লাইট।

আরও পড়ুন : বাঁকুড়া শহরে বিরাট নিরাপত্তা! বসানো হল ১২৮ সিসিটিভি

কার্যকরী কতটা সেটা পরীক্ষা সাপেক্ষ তবে দর্শনের দিক থেকে যথেষ্ট আকর্ষণীয় এই দশাবতার লণ্ঠন গুলি। যে কারণে অন্ধকারে আলো দেখাবার এই লন্ঠন গুলি ধীরে ধীরে পরিণত হচ্ছে ঘর সাজাবার জিনিসে। যার জন্য কিছুটা হলেও দশাবতার তাসের সঙ্গে লণ্ঠনের এই মেলবন্ধন কিছুটা হলেও প্রাসঙ্গিক।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F 

এবং সেই প্রাসঙ্গিকতাকে উপলক্ষ করে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন শিল্পা সূত্রধর।

নীলাঞ্জন ব্যানার্জী