শপথগ্রহণ সায়ন্তিকা-রায়াতদের

Assembly Oath Taking: দুপুর দুটোয় শপথ! যাবতীয় জটিলতা শেষে বিধায়ক পদে সায়ন্তিকা-রায়াত, সিদ্ধান্ত বিএ কমিটির

কলকাতা: যাবতীয় জটিলতা শেষে অবশেষে কেটেছে শপথ জট৷ শুক্রবার দুপুর দুটোয় শপথ নেবেন রাজ্যের নবনির্বাচিত বিধায়করা৷ তবে স্পিকার নন, তাঁকে এড়িয়ে ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পড়ানোর দায়িত্ব দিয়েছে রাজভবন। শুক্রবার বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে শপথ পাঠ করানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

অধ্যক্ষকে এড়িয়ে উপাধ্যক্ষকে দায়িত্ব কেন? প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে৷ তবে রাজভবনের এই সিদ্ধান্তে অন্তত শপথ জট কেটেছে বলেই ইঙ্গিত৷ বৃহস্পতিবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে ডেপুটি স্পিকারকে দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। বিধানসভা সূত্রে খবর শুক্রবারই শপথ হবে। ডেপুটি স্পিকারকে হাউজে জানাবেন স্পিকার।

বিএ কমিটির বৈঠকেই নেওয়া হয়েছে সিদ্ধান্ত। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়, উপাধ্যক্ষ আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, অরূপ বিশ্বাস, শশী পাঁজা, দেবাশীষ কুমার, মলয় ঘটক, সুজিত বসুরা।

প্রসঙ্গত, আজ, শুক্রবারের কার্যবিবরণী বৈঠকে যে শপথ জটিলতা নিয়ে আলোচনা হবে তার ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এরই মধ্যে শুক্রবার রাতে বিধানসভার উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে শপথ বাক্য পাঠ করাতে বলে বিবৃতি দেয় রাজভবন। আর এরই প্রেক্ষিতে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, এই কাজ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়৷ তাতেই দেখা দেয় ফের জটিলতা। রাজভবনের এই বিবৃতির বিষয়ে জানতে পেরে উপাধ্যক্ষ আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, “আমার পক্ষে দায়িত্ব নেওয়া উচিত নয়। কারণ অধ্যক্ষ কলকাতায় রয়েছেন। রাজ্যপালের কথা শুনে আমি শপথ পড়ালে অধ্যক্ষকে অসম্মান করা হবে। এটা কাম্য নয়।” কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, অধ্যক্ষ অনুপস্থিত থাকলে বা অসুস্থ হলে সেক্ষেত্রে ডেপুটি স্পিকার ওই দায়িত্ব পালন করেন। পরে বিএ কমিটির বৈঠকে সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় শপথ নিয়ে।

প্রসঙ্গত, বিধায়কদের শপথের দায়িত্ব ডেপুটি স্পিকারকে দেওয়া নতুন নয়। এর আগে বিধানসভা উপনির্বাচনে বালিগঞ্জ থেকে জয়ী তৃণমূলের বাবুল সুপ্রিয়কে শপথ পড়ানোর জন্য তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও ডেপুটি স্পিকারের উপর ভার ন্যস্ত করেছিলেন। যদি সেসময় স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতায় উপস্থিত থাকায় উপাধ্যক্ষ তাঁকেই শপথ পড়ানোর অনুরোধ করেন এবং অধ্যক্ষই সেই কাজ করেছিলেন।