কাল মোহনবাগানের বাঁচা – মরার লড়াই! ওড়িশার বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট লক্ষ্য দিমিত্রি, আশিকদের

কলকাতা: কেরল ব্লাস্টার্স এবং কলকাতা ডার্বি জয় এখন স্মৃতির পাতায়। পিছনে ফিরে দেখতে রাজি নয় এটিকে মোহনবাগান। তাদের লক্ষ্য এখন শুধুই ওড়িশা ম্যাচ। কলিঙ্গ যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সবুজ মেরুন। অনুশীলন তখন প্রায় শেষ। গোটা দলকে দু’টি ভাগে ভাগ করে শুরু হল পেনাল্টি শ্যুট আউট। কেউ লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হলেই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হল অন্য প্রান্তে।

বাড়তি পাওনা সতীর্থদের টিপ্পনি। শেষ পর্যন্ত দিমিত্রি, শুভাশিস ও নিনগোম্বা এঞ্জসন সিং প্রতিটি শট জালে জড়ালেন। বাকিরা মিস করে এসে একে পৌঁছলেন মাঠের অপর গোলপোস্টে। তারপর লক্ষ্যভেদে সফল হলেই মিলল ছুটি। ওড়িশা ম্যাচের আগে এভাবেই ফুটবলারদের চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করলেন এটিকে মোহন বাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো।

আরও পড়ুন – রোনালদিনহোর ছেলে এখন বার্সেলোনার ফুটবলার ! বাবার স্মৃতি ফেরাতে পারবেন কী?

লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে শেষ করেও সরাসরি সেমি-ফাইনালের টিকিট মেলেনি। ওই পর্যায়ে খেলতে হলে একটি নক-আউট ম্যাচের গণ্ডি টপকাতে হবে হুগো বোমাসদের। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। উল্লেখ্য, গ্রুপ পর্বে জোসেফ গোম্বাউ ব্রিগেডের বিরুদ্ধে দু’ম্যাচেই অপরাজিত ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

প্রথম লেগে কটকে গোলশূন্য শেষ হয় ম্যাচ। ফিরতি পর্বে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফেরান্দোর দল। তবে নক-আউটে পর্বের লড়াইটা পুরোপুরি আলাদা। প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন পালতোলা নৌকার স্প্যানিশ কোচ। বড় ম্যাচে জয়ের পর ছেলেদের মধ্যে যাতে কোনওরকম আত্মতুষ্টি না দেখা দেয়, সেদিকেও নজর রয়েছে ফেরান্দোর।

গ্রুপ পর্বে প্রান্তিক আক্রমণে বেশ বেগ দিয়েছিল ওড়িশা। তাই নক-আউট ম্যাচের আগে এই দিকে বাড়তি নজর দিলেন মোহন কোচ। পাশাপাশি চলে সেট-পিস অনুশীলন। ব্যক্তিগত সমস্যায় দেশে ফিরেছেন ব্রেন্ডন হামিল। ফলে ওড়িশার বিরুদ্ধে আরও একবার রক্ষণে শুরু থেকে দেখা যাবে বড় ম্যাচের নায়ক স্লাভকো ডামজানোভিচকে।

ডার্বিতে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে দলকে জেতাতে পেরে আপ্লুত এই সার্বিয়ান ডিফেন্ডার। তিনি ডার্বিতে প্রমাণ করেছেন চাপ নিয়ে খেলতে পারেন। ফলে সার্বিয়ান ডিফেন্ডারের ওপর ওড়িশা ম্যাচের জন্য ভরসা রয়েছে সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। ওড়িশা এই ম্যাচ জয়ের জন্য মরিয়া হবে। তাদের ব্রাজিলীয় তারকা মরিসিও গোল করতে সিদ্ধহস্ত।