Tag Archives: ATK-Mohun Bagan

ISL final: আজ দুই বাঙালির দিকে তাকিয়ে মোহনবাগান! প্রীতম, শুভাশিসদের বাঁচা মরার ফাইনাল গোয়ায়

গোয়া: বেঙ্গালুরুর মাটিতে ২০১৫ সালে আই লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। ১৩ বছর পর ভারত সেরা হয়েছিল সবুজ মেরুন। সুনীল ছেত্রীর বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ওই ম্যাচে ৮৫ মিনিট পর্যন্ত পিছিয়ে থাকার পর গোল করেছিলেন বেলো রাজ্জাক। সেই দলে ছিলেন প্রীতম কোটাল। এরপর আবার কল্যাণীর মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মোহনবাগান। প্রীতম তখন এটিকেতে।

কিন্তু তারপর আবার এখন এটিকে মোহনবাগানের ক্যাপ্টেন তিনি। প্রীতম জানেন দু বছর আগে এই গোয়ার মাঠেই আইএসএল ফাইনালে মুম্বইয়ের কাছে হেরে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল। ফুটবল ঈশ্বর আজ তাকে আর একটা সুযোগ করে দিয়েছেন। মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম জানেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ জীবনে বারবার আসে না। আর রানার্স হলে কেউ মনে রাখে না।

তাই কয়েক ঘন্টা পর আইএসএল ফাইনাল জীবনের শেষ ম্যাচ মনে করে খেলবেন প্রীতম। অন্যজন শুভাশিস বসু। বাগানের লেফট ব্যাক হিসেবে নিজেকে অনেক উন্নত করেছেন দীর্ঘকায় ফুটবলারটি। শুভাশিস জানেন এত পরিশ্রম সব বৃথা হবে যদি চ্যাম্পিয়ন না হতে পারেন। কত ঘাম, কত রক্ত, কত ত্যাগ করেছেন সারা বছর শুধু ফাইনালে ওঠার জন্য।

যখন সেটা হয়েছে তখন চ্যাম্পিয়ন না হয়ে ফেরা অন্যায় হবে। মোহনবাগান সমর্থকদের আবেগ এবং আশা প্রীতম এবং শুভাশিস এই দলে বোধহয় সবচেয়ে বেশি বোঝেন। তাই ফাইনালে দুজনেই যতটা সম্ভব স্বাভাবিক থেকে খেলার চেষ্টা করবেন। মাথা গরম নয়, স্বাভাবিক ফুটবল খেলাটাই হবে দুজনের টার্গেট। বিপক্ষ দলে যেখানে সুনীল, রয় কৃষ্ণ, শিবশক্তিদের মত ফুটবলার আছে, সেখানে বাগান ডিফেন্সের এই দুজন বাঙালি ডিফেন্ডারকে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতেই হবে। প্রীতম এবং শুভাশিস গোল করেন না। ডিফেন্স করেন।

প্রতিপক্ষের আক্রমণ থামিয়ে পাল্টা আক্রমণ তৈরি করেন। কথাতেই তো বলে স্ট্রাইকাররা ম্যাচ জেতায়, ডিফেন্ডাররা টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন করে। ফুটবলের এই চরম সত্যিটা আজ প্রমাণ করতে মরিয়া থাকবেন সবুজ মেরুনের দুই বাঙালি ফুটবলার। ৯০ মিনিট জীবনের সেরা ফুটবল খেলার অপেক্ষায় তারা। এই ৯০ মিনিট তাদের জীবনে আর ফিরবে কিনা কেউ জানে না। তাই মরে গেলেও দুঃখ নেই। কলকাতায় চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাতে ফিরতে পারেন সেটাই চেষ্টা করবেন প্রীতম শুভাশিস জুটি।

আইএসএল ফাইনালে এটিকে মোহনবাগান, টাইব্রেকারে হায়দারাবাদকে হারিয়ে বাজিমাত সবুজ মেরুনের

পেনাল্টি শুড আউটে ৪-৩ জিতল এটিকে মোহনবাগান

কলকাতা: এটিকে মোহনবাগান বনাম হায়দারাবাদ খেলাটা শুরুর আগে থেকেই মাঠে ধোঁয়ায় ছেয়ে গিয়েছিল। আজ সবুজ মেরুনের পারফরমেন্সটাও ঠিক সেরকম ধোঁয়ার মতোই ছিল। পরিষ্কার নয়। এক কথা বলতে গেলে আর কি।দিন চারেক আগে হায়দারাবাদের মাটিতে এই ম্যাচটা গোলশূন্য শেষ হয়েছিল। এমনি এবারের লিগে কলকাতায় জিতেছিল মোহনবাগান। হায়দ্রাবাদে জিতেছিল নিজামের দল।

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল মোট ন’বার। তার মধ্যে চারটি ম্যাচ ড্র হয়েছিল। তিনবার জেতে এটিকে মোহনবাগান ও দু’টি ম্যাচে হায়দরাবাদ এফসি। পরিসংখ্যানে এগিয়ে থাকলেও সবুজ-মেরুনকে খোঁচা দিচ্ছে গত বারের সেমিফাইনালে হায়দরাবাদের কাছে হার।

এবার তাই ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে বদলা পূরণ করতে মরিয়া জুয়ান ফেরান্দোর টিম। পরিসংখ্যান বলছে চলতি আইএসএলে এটিকে মোহনবাগান ঘরের মাঠে ১১টি ম্যাচ খেলেছে এবং তার মধ্যে আটটিতেই জিতেছে। তবুও আজকের সেমিফাইনালে নিজেদের ঘরের মাঠে এটিকে মোহনবাগানকে যতটা আক্রমণাত্মক থাকার দরকার ছিল অন্তত প্রথম ৪৫ মিনিটে সেটা চোখে পড়েনি।

মনবিরের পোস্টে লেগে ফিরে আসা শট এবং তার আগে দিমিত্রির শট ছাড়া বাগানের সেরকম ওপেন সুযোগ বলার মত ছিল না। তবুও বল নিজেদের দখলে রাখার ব্যাপারে সামান্য এগিয়েছিল সবুজ মেরুন। এদিন প্রথম থেকে দলে কিয়ানকে রেখেছিলেন মোহনবাগান কোচ। হুগো বুমুকে কড়া মার্কিং করে রেখেছিল হায়দারাবাদ। দেখার ছিল দ্বিতীয়র্ধে মোহনবাগান নিজেদের স্টাইল বদলাতে পারে কিনা।

সেকেন্ড হাফ শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কিয়ানকে তুলে লিস্টন এবং তার কিছু পরে হুগোকে তুলে নিয়ে গায়েগোকে নিয়ে এল মোহনবাগান। কিন্তু তাও এরপর সেভাবে ওপেন করতে পারেনি তারা। চাপ থাকলেও কিছুতেই কাজের কাজ হচ্ছিল না এটিকে মোহনবাগানের। বক্সের মধ্যে সঠিক সময় লোক থাকছিল না বাগানের।

৮০ মিনিটে অল্পের জন্য সলাভকোর হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় গোল পেল না মোহনবাগান। কার্ল মিস করলেন হেড। খেলা চলে গেল অতিরিক্ত সময়।তবে সেট পিস ব্যবহার করার ক্ষেত্রে বারবার এটিকে মোহনবাগানের দুর্বলতার চোখে পড়ছিল। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধে লিস্টন হাফ চান্স কাজে লাগাতে পারলেন না। প্রথম সেমিফাইনালের মতো এই খেলাও টাইব্রেকারে চলে গেল।হায়দারাবাদ দলের হয়ে মিস করলেন সিভেরও এবং নাইজেরিয়ান ওগবেচে। মোহনবাগানের হয়ে মিস করেছিলেন হামিল্। তবে শেষ পর্যন্ত প্রীতম কোটাল গোল করে এটিকে মোহনবাগানকে ৪-৩ জয় এনে দিলেন।

 

 

মোহনবাগানের জন্য মাঠে মরে যেতেও রাজি! বিশালের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া, গ্লাভস নয়

কলকাতা: এর আগে যখন চেন্নাইতে খেলতেন তখন এতটা চাপ অনুভব করেননি। কিন্তু এটিকে মোহনবাগানে আসার পর থেকে বিশাল কাইথ বুঝতে শুরু করেছেন আসল চাপ কাকে বলে। ওড়িশার বিরুদ্ধে মাঠে ভয়ানক চোট পেয়ে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন। ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন সবাই। কিন্তু পরে বিশাল উঠে দাঁড়ান এবং সুস্থ হয়ে যান। এক মরশুমে ১১ টি ক্লিনশিট রেখে রেকর্ড গড়া বিশাল জানিয়েছেন, গোল্ডেন গ্লাভ পেয়ে ভাল লাগছে।

যে কোনো গোলকিপারের কাছেই স্বপ্ন থাকে এই সম্মান পাওয়ার। বিশ্বকাপ থেকে আই এস এল বা বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়, সব জায়গাতেই দেখতাম যে, কোনও একজন গোলকিপার এই সম্মান পাচ্ছেন। আমারও স্বপ্ন ছিল এই সম্মান পাওয়ার। জীবনে প্রথমবার এই সম্মান পেলাম। এটা হয়তো আমাকে আরও ভাল খেলতে উদবুদ্ধ করবে।

আরও পড়ুন – সুনীল ছেত্রীর পোস্টার পোড়ানো দেখে প্রতিবাদ বাঙালি স্ত্রীর! কেরল সমর্থকদের দিলেন বার্তা

কিন্তু গোল্ডেন গ্লাভস পেয়ে আমি সন্তুষ্ট নই। আমার সামনে এখন দুটি লক্ষ্য। এক, শেষ দুটো ম্যাচ নিজে অপরাজিত থাকা। ২, দুটি ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সেই লক্ষ্যেই সোমবার মাঠে নামবো। সেই লক্ষ্যেই সোমবার মাঠে নামব। মাঠে যখন নামব তখন এই সম্মানের কথা মাথায় রাখতে চাই না। ট্রফি না পেলে এই সম্মানের কোনো দাম নেই আমার কাছে।

বিশাল জানিয়েছেন ফিরতি সেমিফাইনালে যুবভারতীতে হায়দারাবাদের বিপক্ষে ম্যাচটা জেতা এখন তার প্রধান টার্গেট। নিজের জীবন বাজি রেখেও সেটা জিততে চান। এই দলের সবাই একটা পরিবার এবং মোহনবাগান সমর্থকরা যেভাবে তাকে সমর্থন করছেন তাতে চ্যাম্পিয়নের কম কিছু হলে মেনে নিতে পারবেন না এই গোলরক্ষক।

নিজামের শহরে সেমিতে আজ মোহনবাগানের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ! ৩ পয়েন্ট লক্ষ্য দিমিত্রিদের

হায়দারাবাদ: কলকাতা ডার্বি জয়ের পরই এটিকে মোহনবাগান অধিনায়ক প্রীতম কোটাল জানিয়েছিলেন তাদের আসল লক্ষ্য আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। পরের ম্যাচে কলকাতায় ওড়িশার বিরুদ্ধে হুগো এবং দিমিত্রির গোলে সহজ জয় পেয়েছিল সবুজ মেরুন। কলিঙ্গ যুদ্ধে বিশেষ রক্ত বের হয়নি হুয়ান ফেরান্ডোর দলের। তবে এবার সবুজ মেরুনের সামনে অন্যতম কঠিন কর্তৃপক্ষ হায়দারাবাদ।

লিগে কলকাতায় তাদের হারালেও হায়দারাবাদে হেরে গিয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। কয়েক মিনিট আগে নেমে জয় সূচক গোল করেছিলেন ওগবেচে। সেই নাইজেরিয়ান গোল মেশিন অবশ্য কিছুটা চোট সমস্যায় ভুগছেন। বৃহস্পতিবার এটিকে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ওগবেচে পুরো সময় খেলতে পারবেন না সেটা নিশ্চিত।

আরও পড়ুন – আহমেদাবাদ টেস্টে প্রথম দিন লাঞ্চের আগে ২ উইকেট হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, লড়ছেন খোয়াজা

কিন্তু তাকে শেষ ১৫ মিনিট নামিয়ে দিয়ে রেজাল্ট তুলে নিতে চাইবেন হায়দ্রাবাদ কোচ মানুলও মারকুজ। তাই আইএসএল টুর্নামেন্টের সেরা স্কোরার অবশ্যই হতে চলেছেন মোহনবাগানের মাথাব্যথার অন্যতম কারণ। তিনি সামান্য কিছু সময় ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিতে পারেন সেটা প্রমাণ করেছিলেন এর আগে। কিন্তু ওড়িশার বিরুদ্ধে জয় তুলে নেওয়ার পর হায়দারাবাদ থেকে কিছুতেই খালি হাতে ফিরতে রাজি নয় সবুজ মেরুন ফুটবলাররা।

জিততে না পারলেও অন্তত ড্র করে কলকাতায় ফিরতে চায় আশিষ, শুভাশিস, লিস্টনরা। তারপর ঘরের মাঠে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে সর্বশক্তি দিয়ে হায়দ্রাবাদকে হারাতে মরিয়া হবে মোহনবাগান। ওড়িশার বিরুদ্ধে চোট পাওয়ার ফলে বৃহস্পতিবার সম্ভবত খেলতে পারছেন না আশিক। কেরলের এই ফুটবলারের গতিশীল দৌড় মিস করবে সবুজ মেরুন।

তাকে সম্পূর্ণ ফিট করে তুলে ঘরের মাঠে ১৩ তারিখ কাজে লাগাতে চান হুয়ান। তবে সেটাও হবে কিনা নিশ্চিত নয়। গ্লেন মার্টিনস ওড়িশার বিরুদ্ধে খেলেননি। তাই বৃহস্পতিবার শুরু করার বেশি সম্ভাবনা পুটিয়ার। গোল পাওয়ার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার দিমিত্রি, ফ্রান্সের বুমু এবং পরে উরুগুয়ের গায়েগোর দিকে তাকিয়ে থাকবে বাগান। তৈরি রাখা হচ্ছে ফারদিন আলি এবং কিয়ান নাসরিকে।

ঘরের মাঠে হায়দারাবাদ দুর্দান্ত প্রতিপক্ষ। মহম্মদ ইয়াসির, সিভেরীও, ভিক্টর, আকাশ মিশ্র, কিয়ানিস, সাহিল, হোলি চরণরা যে কোনও দলের দম বন্ধ করে দিতে পারেন। সেটা বিলক্ষণ জানেন হুয়ান। তাই অলআউট খেললে হেরে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি মোহনবাগানের। তাই ডিফেন্স এবং মাঝমাঠ শক্ত রেখে কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলতে চাইবে কলকাতার দল।

শুধু হারা চলবে না। কলকাতায় দ্বিতীয় ম্যাচে বাকি হিসেবে বুঝে নিতে চান হুয়ান। তবে লড়াইটা কিন্তু মোহনবাগানের জন্য অত্যন্ত কঠিন হতে চলেছে হায়দারাবাদের মাটিতে। ম্যাচটা ড্র করতে পারলেও তাদের কাছে নৈতিক জয় হিসেবেই ধরা উচিত।

মোহনবাগানের গোলকিপার বিশাল জীবন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে এখন বিপদমুক্ত, স্যালুট জানাচ্ছেন সকলে

কলকাতা: ওড়িশার ব্রাজিলীয় ফরওয়ার্ড দিয়েগো মরিসিওর সঙ্গে ধাক্কায় বল ধরতে গিয়ে মাঠের মধ্যেই লুটিয়ে পড়লেন মোহনবাগানের গোলরক্ষক বিশাল কাইথ। প্রথমে আঘাতটা কত গুরুত্বপূর্ণ বোঝা যায়নি। কিন্তু প্রায় এক-দেড় মিনিট জ্ঞান হারিয়ে ফেলেছিলেন বিশাল। হঠাৎ করেই দৌড়াতে শুরু করেন মোহনবাগান কোচ হুয়ান ফেরান্ডো। বাকি ফুটবলাররা তাকে ঘিরে ধরেছেন।

অ্যাম্বুলেন্স এর দরজা খুলে গিয়েছে। গ্যালারিতে দর্শকদের মধ্যেও আশঙ্কা খারাপ কিছু ঘটতে চলেছে নাকি? জুনিয়র অথবা ডেনমার্কের এরিকসেন স্মৃতি ফিরে আসছিল। অনেকে সত্যি সত্যি ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। শেষ অবধি যদিও নিজের পায়ে হেঁটেই অ্যামবুলেন্সে করে হাসপাতালে পরীক্ষার জন্য গেলেন তিনি। তবে সেমিফাইনালের আগে নিশ্চিত ভাবেই চিন্তায় রাখলেন এটিকে এমবি-র ম্যানেজমেন্টকে। যদিও তার বড় বিপদ নেই।

বিশালের চোটের বিষয়টি একটা সময় সবাইকে চিন্তায় ফেলে দিয়েছিল। সেটপিস থেকে ভেসে আসা বল ধরতে গিয়েই লুটিয়ে পড়েন বিশাল ঠিক ম্যাচের ৫৯ মিনিটে। তখনই রেফারির নির্দেশে মাঠে ছুটে আসে অ্যাম্বুলেন্স। তবে অ্যাম্বুলেন্স নয় নিজের পায়েই মাঠ ছাড়়েন তিনি। কিছুতেই মাঠ ছাড়তে চাইছিলেন না বিশাল তবে তাঁর মাথা তখনও ভোঁ ভোঁ করছিল। তাই ম্যানেজমেন্ট ঝুঁকি নিতে চায়নি।

তাঁর জায়গায় গোলকিপিংয়ের দায়িত্ব নেন আর্শ শেখ। খেলা শেষে হুয়ান জানিয়েছেন বিশাল আগের থেকে ভাল আছেন। দুটো দিন বিশ্রাম করবেন। তারপর অনুশীলনে যোগ দেবেন। তবে আনোয়ার গোলরক্ষক হিসেবে তৈরি থাকলেও অভিজ্ঞতা এবং ফর্মের জন্য বিশালকে হায়দারাবাদের বিরুদ্ধে খেলানোর ব্যাপারে এগিয়ে সবুজ মেরুন।

বিশাল নিজেও মানসিকভাবে প্রস্তুত সেমিফাইনালের চ্যালেঞ্জ নিতে। তবে কয়েক সেকেন্ড জীবন মৃত্যুর মাঝে থেকে যেভাবে তিনি লড়াই করেছেন সেটা সমগ্র দলকে মোটিভেট করবে ভাল খেলার জন্য।

কাল মোহনবাগানের বাঁচা – মরার লড়াই! ওড়িশার বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট লক্ষ্য দিমিত্রি, আশিকদের

কলকাতা: কেরল ব্লাস্টার্স এবং কলকাতা ডার্বি জয় এখন স্মৃতির পাতায়। পিছনে ফিরে দেখতে রাজি নয় এটিকে মোহনবাগান। তাদের লক্ষ্য এখন শুধুই ওড়িশা ম্যাচ। কলিঙ্গ যুদ্ধের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত সবুজ মেরুন। অনুশীলন তখন প্রায় শেষ। গোটা দলকে দু’টি ভাগে ভাগ করে শুরু হল পেনাল্টি শ্যুট আউট। কেউ লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হলেই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হল অন্য প্রান্তে।

বাড়তি পাওনা সতীর্থদের টিপ্পনি। শেষ পর্যন্ত দিমিত্রি, শুভাশিস ও নিনগোম্বা এঞ্জসন সিং প্রতিটি শট জালে জড়ালেন। বাকিরা মিস করে এসে একে পৌঁছলেন মাঠের অপর গোলপোস্টে। তারপর লক্ষ্যভেদে সফল হলেই মিলল ছুটি। ওড়িশা ম্যাচের আগে এভাবেই ফুটবলারদের চাপমুক্ত রাখার চেষ্টা করলেন এটিকে মোহন বাগান কোচ হুয়ান ফেরান্দো।

আরও পড়ুন – রোনালদিনহোর ছেলে এখন বার্সেলোনার ফুটবলার ! বাবার স্মৃতি ফেরাতে পারবেন কী?

লিগ টেবিলে তৃতীয় স্থানে শেষ করেও সরাসরি সেমি-ফাইনালের টিকিট মেলেনি। ওই পর্যায়ে খেলতে হলে একটি নক-আউট ম্যাচের গণ্ডি টপকাতে হবে হুগো বোমাসদের। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে সবুজ-মেরুন ব্রিগেডের প্রতিপক্ষ ওড়িশা এফসি। উল্লেখ্য, গ্রুপ পর্বে জোসেফ গোম্বাউ ব্রিগেডের বিরুদ্ধে দু’ম্যাচেই অপরাজিত ছিল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড।

প্রথম লেগে কটকে গোলশূন্য শেষ হয় ম্যাচ। ফিরতি পর্বে ঘরের মাঠে ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ফেরান্দোর দল। তবে নক-আউটে পর্বের লড়াইটা পুরোপুরি আলাদা। প্রতিপক্ষকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন পালতোলা নৌকার স্প্যানিশ কোচ। বড় ম্যাচে জয়ের পর ছেলেদের মধ্যে যাতে কোনওরকম আত্মতুষ্টি না দেখা দেয়, সেদিকেও নজর রয়েছে ফেরান্দোর।

গ্রুপ পর্বে প্রান্তিক আক্রমণে বেশ বেগ দিয়েছিল ওড়িশা। তাই নক-আউট ম্যাচের আগে এই দিকে বাড়তি নজর দিলেন মোহন কোচ। পাশাপাশি চলে সেট-পিস অনুশীলন। ব্যক্তিগত সমস্যায় দেশে ফিরেছেন ব্রেন্ডন হামিল। ফলে ওড়িশার বিরুদ্ধে আরও একবার রক্ষণে শুরু থেকে দেখা যাবে বড় ম্যাচের নায়ক স্লাভকো ডামজানোভিচকে।

ডার্বিতে ৪০ হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে দলকে জেতাতে পেরে আপ্লুত এই সার্বিয়ান ডিফেন্ডার। তিনি ডার্বিতে প্রমাণ করেছেন চাপ নিয়ে খেলতে পারেন। ফলে সার্বিয়ান ডিফেন্ডারের ওপর ওড়িশা ম্যাচের জন্য ভরসা রয়েছে সবুজ মেরুন ব্রিগেডের। ওড়িশা এই ম্যাচ জয়ের জন্য মরিয়া হবে। তাদের ব্রাজিলীয় তারকা মরিসিও গোল করতে সিদ্ধহস্ত।

ডার্বিতে আজ হঠাৎ করেই অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল ! বিরাট অনিশ্চয়তায় মোহনবাগান

কলকাতা: আজ আর কয়েক ঘণ্টা পরে বাঙালির সেই চিরকালের বড় ম্যাচ। তার আগে হঠাৎ করে অ্যাডভান্টেজ ইস্টবেঙ্গল। কার্ড সমস্যায় ডার্বি থেকে আগেই ছিটকে গিয়েছিলেন ব্রেন্ডন হ্যামিল। এছাড়া, কলকাতা ডার্বিতে খেলতে পারবেন না হুগো বুমোস এবং কার্ল ম্যাক হিউ। দুজনেই চোট নিয়ে বাইরে। ফলে হঠাৎ করেই চাপে পড়ে গেল সবুজ মেরুন ব্রিগেড।

তিন বিদেশি হিসেবে থাকছেন স্লাভকো, গায়গো, পেত্রাতস। অর্থাৎ ডিফেন্স মিডফিল্ড এবং আক্রমণ ভাগের ৩ ফুটবলার। ডার্বি জিতলে মোহনবাগানের কাছে সুযোগ রয়েছে বেঙ্গালুরুকে টপকে তৃতীয় স্থানে উঠে ঘরের মাঠে প্লে-অফ নিশ্চিত করার। হারলেও সেই সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে পরের ম্যাচে কেরলকেও হারতে হবে।

আরও পড়ুন – বাংলাদেশের কোন ফাস্ট বোলারকে দেখে প্রশংসায় সৌরভ? দিলেন পাওয়ার হিটিংয়ের পরামর্শ

মোহনবাগান পয়েন্ট নষ্ট করলে এবং কেরল জিতলে, কেরলই মোহনবাগানকে টপকে চারে উঠে যাবে। সেক্ষেত্রে বিপক্ষের মাঠে গিয়ে প্লে-অফ খেলা ছাড়া উপায় থাকবে মোহনবাগানের। তবে ফেরান্দো জানিয়েছেন, লিগের অবস্থান নয়, ম্যাচ জেতাই তাঁর লক্ষ্য। সবুজ-মেরুন কোচের কথায়, প্লে-অফ বা লিগের পজিশন নিয়ে একেবারেই ভাবছি না।

ম্যাচ জেতার দিকে আমাদের লক্ষ্য রয়েছে। গোল করার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। লিস্টন কোলাসো, মনবীর সিংহরা আগের ম্যাচের ছায়া। আগের ম্যাচে জোড়া গোল করা ম্যাকহিউও এই ম্যাচে নেই। ডার্বিতে গোল তা হলে কে করবেন? ফেরান্দো বললেন, রক্ষণ এবং আক্রমণ দুটো নিয়েই আমাকে সমান ভাবে ভাবতে হবে। ওরা গোল হয়তো পাচ্ছে না। কিন্তু ভাল খেলছে এবং যথেষ্ট সুযোগ তৈরি করছে।

মোহনবাগান সমর্থকরা নিঃসন্দেহে চাপে পড়ে গিয়েছেন তিনজন নির্ভরযোগ্য বিদেশি ছিটকে যাওয়ায়। তবে অভয় দিচ্ছেন কোচ হুয়ান। যারা হাতে আছে তারা যথেষ্ট দক্ষ। এই ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা তাদের আছে। এখন দেখার কিয়ান, ফারদিন, রবি রানারা সুযোগ পেলে বড় ম্যাচে নিজেদের প্রমাণ করতে পারেন কিনা। লিস্টনকে বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে এই ম্যাচে।

নিজের খারাপ ছন্দ কাটিয়ে এই গোয়ান ফুটবলার ডার্বিতে ফর্মে ফিরতে পারেন কিনা এটাই দেখার। পাশাপাশি মর্যাদার লড়াইয়ে জিততে না পারলেও কোনওমতে হেরে ফিরতে রাজি নন মোহনবাগান কোচ। ইস্টবেঙ্গলের হাতে বিদেশি বেশি থাকলেও মোহনবাগান সেরা ফুটবল তুলে ধরার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করা হবে যাতে অন্তত শেষ ১৫-২০ মিনিট হুগোকে মাঠে নামানো যায়। একান্ত না পারলে কিছু করার নেই।

পথ দেখাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল, ডার্বিতে দর্শকদের জন্য থাকছে আধুনিক মেডিকেল ব্যবস্থা

কলকাতা: ডার্বি দেখতে গিয়ে গন্ডগোল বাঁধলে মানুষের প্রাণ নিয়ে টানাপোড়োনের ছবি অনেক দেখা গেছে। এই শঙ্কা নিয়ে যাতে ডার্বি দেখতে না হয় তার ব্যবস্থা করছে ইস্টবেঙ্গল। গ্যালারির ভিতর ও বাইরে থাকবে আধুনিক মেডিকেল ব্যবস্থা। বাইরে ছয়টি গেটে দাড়িয়ে থাকবে অ্যাম্বুলেন্স। শুধু গন্ডগোল হলে নয়, মাঠে কারোর মেডিকেল সহায়তার প্রয়োজন পড়লে চিন্তা করতে হবে না আর কোনো।

পূর্বের হওয়া ভুল থেকে শিক্ষা নিয়েই ইস্টবেঙ্গলের এই পদক্ষেপ। ডার্বি দেখতে এসে প্রাণ হারিয়েছিলেন এক সমর্থক। গত বছর ২৯সে অক্টোবর ইস্টবেঙ্গল সমর্থক জয়শঙ্কর সাহার হার্ট অ্যাটাক হয় স্টেডিয়ামে। চিকিৎসাধীন করার আগেই মৃত্যু হয় তার। পর্যাপ্ত চিকিৎসা ব্যবস্থা উপলব্ধ থাকলে তার প্রাণ বাঁচানো সম্ভব হত।

আরও পড়ুন – কলকাতা ডার্বিতে ৮-০ করতে মরিয়া এটিকে মোহনবাগান, পাসিং ফুটবলেই বাজিমাতের লক্ষ্যে সবুজ মেরুন

এই দুঃস্বপ্ন যাতে আবার না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া অত্যাবশ্যক মনে করছে ইস্টবেঙ্গল। টুইটারে এই সংবাদটি জানিয়েছে লাল হলুদ শিবির।ডার্বির আয়োজক এবার ইস্টবেঙ্গল।তাই শনিবারের ডার্বিতে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের ভেতরেও বাইরে থাকবে মেডিকেল সহায়তার ব্যাবস্থা করা হয়েছে তাদের পক্ষ থেকে। উপলব্ধ থাকবে অ্যাম্বুলেন্স।

আমরি হাসপাতালের তরফ থেকে চারটি ব্লকে ফার্স্ট এইড কিয়স্ক তৈরি করা হয়েছে। এ ব্লকের সেবা কেন্দ্রে, প্লাজা কিউ এবং আর রাম্পে। বি ব্লকে বি ১ এর ৬ নম্বর রাম্প এবং বি ২ এর ৭ নম্বর রাম্পে থাকবে। সি ব্লকে সি ১ এর রাম্প ১৩, সি ২ এর রাম্প ১২ এবং সি ৩ এর রাম্প ১৮ তে।

ডি ব্লকে ডি ১ রাম্প ২৫ এবং ডি ২ রাম্প ২৪ সে থাকবে মেডিকেল কিয়স্ক, যেখানে ফার্স্ট এইড চিকিৎসা পাওয়া যাবে।গেট নম্বর ১, ২, ৩, ৩এ, ৪ এবং ৫ এ উপস্থিত থাকবে আমরি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স। দ্রুত চিকিৎসার অভাবে কারোর যাতে প্রাণ সংশয় না হয় সেই ব্যবস্থা করে রাখছে ইস্টবেঙ্গল।

কলকাতা ডার্বিতে নেই মোহনবাগানের বিদেশি ডিফেন্ডার ! হা হুতাশ করতে রাজি নন কোচ হুয়ান

কলকাতা: শনিবার রাতে যুবভারতীতে অবশেষে তিন ম্যাচ পরে জয় পেয়েছে এটিকে মোহনবাগান। বিরক্তিকর একটা সময় কাটিয়ে আবার ৩ পয়েন্ট এসেছে ঘরে। কেরালা ব্লাস্টার্সকে হারিয়ে নিজেদের শেষ ৬ নিশ্চিত করেছে সবুজ মেরুন। তবুও চিন্তায় মোহনবাগান টিম ম্যানেজমেন্ট। আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি ডার্বিতে খেলতে পারবেন না বিদেশি ডিফেন্ডার ব্রেন্ডন হামিল।

কার্ড দেখার কারণে ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে নেই তিনি। নিঃসন্দেহে অস্ট্রেলিয়ার এই তারকার ডিফেন্ডার না থাকার কারণে সবুজ মেরুন শিবিরে কিছুটা হতাশা থাকা স্বাভাবিক। কিন্তু ভয় পেতে রাজি নন কোচ হুয়ান ফেরান্ডো। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন ডার্বি অন্য ম্যাচ। হমিল যখন নেই তখন তৈরি রাখতে হবে স্লাভকো ডামজানোভিচকে।

মন্টিনিগ্রর ডিফেন্ডারকে শেষ কয়েকটা ম্যাচে কিছুক্ষণ পরে খেলিয়ে প্রস্তুত করেছেন স্পেনিশ কোচ। তাকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন এই ম্যাচের গুরুত্ব। ভারতীয় ফুটবলের সবচেয়ে বড় এবং হাই প্রোফাইল ম্যাচে স্লাভকো নিজেকে প্রমাণ করতে পারলে মোহনবাগান সমর্থকদের মনে জায়গা পেয়ে যাবেন বোঝানো চলছে। একটা সুবিধা এর আগে চেন্নাইতে খেলে গিয়েছেন তিনি। তাই ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে তার জ্ঞান যথেষ্ট।

স্লাভকো নিজেও জানিয়েছেন ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ম্যাচের গুরুত্ব তার অজানা নয়। তিনি নিজের সেরাটা দেবেন। প্রীতম, শুভাশিস, আশিষদের সঙ্গে তার বোঝাপড়া তৈরি হচ্ছে। মাঝের সময়টা অনুশীলনের মাধ্যমে সেই বোঝাপড়া বাড়িয়ে নেবেন। হুয়ান মনে করেন শেষ ছয় নিশ্চিত হয়ে গেলেও সমর্থকদের জন্য এবং ফুটবলারদের নিজেদের জন্য ডার্বি ম্যাচ জয় সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।

শেষ সাক্ষাৎকারে কলকাতায় হুগো এবং মনবীর গোল করে ২-০ জিতিয়েছিলেন মোহনবাগানকে। এবার অবশ্য ফরাসি ফুটবলার চোটে ভুগছেন। তবে ডার্বির জন্য সম্পূর্ণ তৈরি হয়ে যাবেন আশা সমর্থকদের। মনবীরও নিজের হারানো ছন্দ খুঁজে পাচ্ছেন।

পাশাপাশি উরুগুয়ের প্লে মেকার গায়েগো রয়েছেন। সব মিলিয়ে আজ পর্যন্ত আইএসএলে আসার পর কোলকাতা ডার্বির সব ম্যাচ যেমন জিতেছে মোহনবাগান, সেটাই তারা বজায় রাখতে চায় আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারি।

মোহনবাগানের নতুন মুক্তিদাতা ম্যাক হিউ, কেরলকে হারিয়ে শেষ ৬ নিশ্চিত সবুজ মেরুন ব্রিগেডের

এটিকে মোহনবাগান – ২
( ম্যাক হিউ)

কেরল ব্লাস্টার্স – ১
( দিমিয়ানটাকস )

কলকাতা: শনিবার আইএসএলের প্লে অফ লড়াইয়ে টিকে থাকতে গেলে এবং প্রথম ছয়ের ভেতর টিকে থাকতে গেলে জয় ছাড়া রাস্তা ছিল না এটিকে মোহনবাগানের। তবে কাজটাও যে সহজ ছিল না তার জন্য ফুটবল বিশেষজ্ঞ হওয়ার দরকার পড়ে না। পরিস্থিতি যা, নক-আউটে পৌঁছনোর জন্য শেষ দু’টি ম্যাচের মধ্যে অন্তত একটিতে জিততেই হত হুগো বোমাসদের।

তবে প্রথম তিনে শেষ করার স্বপ্ন এখনও দেখছেন কোচ ফেরান্দো। উল্লেখ্য আজকের ম্যাচের আগে এ পর্যন্ত ১৮ ম্যাচে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে ছিল মোহনবাগান। আর সমসংখ্যক ম্যাচে কেরলের সংগ্রহ ৩১। তবে শনিবার জিততে পারলে এক লাফে তিনে উঠে আসতেন প্রীতমরা। ম্যাচের ১৬ মিনিটে গোল করে এগিয়ে গেল কেরাল।

দিমিয়ানটাকসের গোলে পুরো বোকা হয়ে গেল গোটা মোহনবাগান ডিফেন্স। তবে লড়াই করে ২৪ মিনিটে সমতা ফিরিয়ে আনল সবুজ মেরুন। দিমিত্রির ফ্রিকিক হেডে ফিনিশ করে গেলেন ম্যাক হিউ। দুর্দান্ত সাহসী হেডে। এরপর প্রথমার্ধের বাকি সময়টা আর সেভাবে কিছু করে উঠতে পারেনি হুয়ান ফেরান্ডোর দল। হুগো বুমু শুরুতেই উঠে গেলেন প্রথম ৪৫ মিনিটের পরে।

তার জায়গায় এলেন গায়েগো। মোহনবাগানের তুলনায় অনেক বেশি পাস খেলছিল কেরল। ৬৫ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড দেখলেন কেরলের রাহুল কে পি। তার আগে হলুদ কার্ড দেখে কলকাতার ডার্বি থেকে ছিটকে গেলেন মোহনবাগানের ব্র্যান্ডন হামিল। আশিস রাইকে বক্সে ফেলে দেওয়া হলেও পেনাল্টি পায়নি মোহনবাগান।

উত্তেজনা ছড়িয়ে গেল দুই দলের বেঞ্চে। ৭১ মিনিটে এগিয়ে গেল এটিকে মোহনবাগান। মনবীরের নামিয়ে দেওয়া একটা বল দুর্দান্ত ভলিতে জালে জড়িয়ে দিলেন সেই ম্যাক হিউ। সুযোগ ছিল না কেরলের গোল রক্ষকের সামনে। মাঠে উপস্থিত দর্শকরা এরপর চিৎকার করে নিজেদের প্রিয় দলের মোটিভেশন বাড়াতে থাকেন। কিছুক্ষণ পরে মাঠে নিয়ে আসা হয় লিস্টনকে।