ATKMB vs SCEB : নতুন নায়ক কিয়ান নাসিরি, ডার্বি হ্যাটট্রিকে জেতালেন এটিকে মোহনবাগানকে

এটিকে মোহনবাগান -৩
এস সি ইস্টবেঙ্গল -১

#গোয়া: শনিবার কলকাতা ডার্বিতে চোটের জন্য প্রথম একাদশে রাখা হয়নি রয় কৃষ্ণকে। মোহনবাগানে ফেরা সন্দেশও রিজার্ভ বেঞ্চে। প্রথম ১০ মিনিটে ম্যাচের প্রাধান্য মোহনবাগানেরই। এটিকে মোহনবাগানের আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ করে যাচ্ছিল এসসি ইস্টবেঙ্গল। রক্ষণও দারুণ খেলল তাদের। প্রথম লেগের মত এবার ইস্টবেঙ্গলকে সহজে হারানো যাবে না বোঝা যাচ্ছিল। মারিও রিভেরা যে নিখুঁত অঙ্ক করে নেমেছেন স্পষ্ট ছিল।

আরও পড়ুন – Australian Open 2022: ৪৪ বছর পর অজি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন খেতাব অ্যাশলে বার্টির

মাত্র ৮ মিনিটের মাথায় চোট পেয়ে উঠে গেলেন ইস্টবেঙ্গল রাইট ব্যাক অঙ্কিত মুখোপাধ্যায়। তার জায়গায় নামা অমরজিৎ কিয়াম দুরন্ত ফুটবল খেলছিলেন। এটিকে মোহনবাগানের বাঁদিক থেকে লিস্টন কোলাসো অন্যদিন যে পরিমাণ ঝড় তোলেন, সেটা অনেকটাই বন্ধ করে দিয়েছিলেন এই মনিপুরী। ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে আদিল খান, হীরা এবং ফ্রানজ দুরন্ত লড়াই করেন।

এটিকে মোহনবাগানের পাস এবং দাপট বেশি থাকলেও বক্সের মধ্যে ফাইনাল পাসের ক্ষেত্রে সেভাবে সাফল্য পাচ্ছিল না তারা। হুগো বুমু, ডেভিড উইলিয়ামস বারবার কম্বিনেশন প্লে করে ভাঙার চেষ্টা করছিলেন লাল-হলুদ ডিফেন্সকে। বাঁদিক থেকে শুভাশীষ বসু ওভারল্যাপ করছিলেন। কিন্তু এটিকে মোহনবাগানের ডান প্রান্তে মনবীর এবং প্রবীর দাস সেভাবে ডানা মেলতে পারছিলেন না।

এর অনেকটাই কৃতিত্ব হীরা মণ্ডল এবং অঙ্গুর। ভাগ্য ভাল থাকলে ২৫ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারত ইস্টবেঙ্গল। তিরির ভুলে বল পেয়ে গিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান মার্সেলো। কিন্তু সামনে অমরিন্দর একা থাকা সত্ত্বেও বাইরে মেরে বসেন তিনি। হতাশায় মারিও রিভেরাকে মাথায় হাত দিতে দেখা যায়। ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য ছিল ডিফেন্সে ফাঁকা জায়গা না দিয়ে সুযোগ পেলে কাউন্টার আক্রমণ করা।

প্রথমার্ধে নিজেদের স্ট্র্যাটেজিতে সম্পূর্ণ সফল লাল হলুদ। মনিপুরি মহেশ সিং ও চাপ তৈরির চেষ্টা করছিলেন সবুজ মেরুন রক্ষণে। হতাশা বাড়ছিল হুয়ান ফেরান্ডোর। ৫৬ মিনিটে পেরোসেভিচের কর্নার থেকে সিডোয়েলের গোলে এগিয়ে গেল ইস্টবেঙ্গল। বুদ্ধিদীপ্ত গোল করলেন ডাচ ফুটবলার। এরপর দীপককে তুলে নিয়ে কিয়ানকে নামালেন এটিকে মোহনবাগান কোচ। মাঠে নেমেই গোল করলেন কিয়ান নাসিরি। খেলায় সমতা ফিরল।

ডানদিক থেকে প্রবীর বল বাড়ালে সেটা ক্লিয়ার করতে গিয়ে আদিল খানের গায়ে লাগে চলে আসে ফাঁকা জায়গায়। চলতি বলেই শট নিয়ে গোল করেন প্রাক্তন ফুটবলার জামশেদ নাসিরির ছেলে। দু মিনিটের মধ্যেই এটিকে মোহনবাগানকে পেনাল্টি আদায় করে দেন লিসটন কোলাসো। সবাইকে অবাক করে দিয়ে বল উপর দিয়ে উড়িয়ে দেন ডেভিড উইলিয়ামস।

এগিয়ে যাওয়ার সুবর্ণ সুযোগ হারায় এটিকে মোহনবাগান। কিন্তু অতিরিক্ত সময়ের শেষ দুই মিনিটে নাটক জমা ছিল। আরো দুটো গোল করলেন কিয়ান। আজকের রাতের বাদশা এই তরুণ ফুটবলার। ভারতীয় ফুটবলের এক নতুন তারার জন্ম হল বলা যায়। বিখ্যাত বাবার ছেলে নতুন স্বপ্ন দেখালেন।