রাতে রাস্তায় ঘুরতে বেরিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার সাংসদ! চাঞ্চল্যকর অভিযোগে উত্তাল বিশ্ব

ক্যানবেরা: মাদক সেবন করিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুললেন অস্ট্রেলিয়ার ক্যুইন্সল্যান্ড লেবার পার্টির এমপি ব্রিটানি লাউগা। সেন্ট্রাল ক্যুইন্সল্যান্ড টাউনের ইয়েপ্পনের ঘটনা। রবিবার ভোরের দিকে ব্রিটানি পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।

অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি) নামক সংবাদ সংস্থার প্রকাশ করা খবরে ব্রিটানিকে বলতে শোনা গিয়েছে যে, “হাসপাতালে পরীক্ষানিরীক্ষায় আমার শরীরে মাদকের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। যেটা আমি কখনওই নিইনি। এই মাদক তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আমার উপর প্রভাব ফেলেছে।”

ওই এমপি-র বক্তব্য, তিনি নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশ্যে আনার পরে ওই শহরতলির অন্যান্য মহিলারা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানিয়েছেন যে, তাঁরাও ওই একই অভিজ্ঞতার শিকার হয়েছেন। ক্যুইন্সল্যান্ডের ওই এমপি-র কথায়, “এমন ঘটনা যে কারওর সঙ্গে ঘটতে পারে। দুঃখজনক ভাবে, যেটা আমাদের সঙ্গেও ঘটেছে। এটা একেবারেই ঠিক নয়। জোর করে মাদক দেওয়া এবং যৌন নিপীড়নের কোনও ঝুঁকি ছাড়াই শহরতলিতে আমাদের সামাজিকতা উপভোগ করতে পারা উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “যাঁরা আমায় সমর্থন জানিয়ে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আমি আপনাদের চিন্তাশীল বার্তা এবং উদারতার মূল্য দিই।” সেই সঙ্গে ওই এমপি-র আবেদন, “যদি আপনাদের কাছে এই সংক্রান্ত কোনওরকম তথ্য থাকে, তাহলে অনুগ্রহ করে পুলিশকে সেটা জানান। কারণ সেই তথ্য তদন্তে সাহায্য করতে পারে।”

ব্রিটেনের এক সংবাদপত্রের একটি ভিন্ন প্রতিবেদনে আবার বলা হয়েছে যে, ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে। সেই ভিডিও-তেই ধরা পড়েছে ব্রিটানির ঘটনা। রাস্তায় ঘটে যাওয়া এই ঘটনা ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। যৌন নিপীড়নের অভিযোগ তিনি পুলিশে জানানোর পরেই তাঁকে ওই ভিডিওটির ঘটনা জানানো হয়।

আরও পড়ুনঃ  মাধ্যমিকের ফল দেখে বকেছিলেন মা, তারপরে যা ঘটাল কলকাতার পড়ুয়া…! একেবারে অবিশ্বাস্য

ক্যুইন্সল্যান্ড পুলিশ সার্ভিসের তরফে জানানো হয়েছে যে, ইয়েপ্পনে এই ঘটনা সংক্রান্ত একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে তারা। ক্যুইন্সল্যান্ড প্রিমিয়ার স্টিভেন মাইলস বলেন, “সম্ভাব্য সমস্ত উপায়ে প্রাদেশিক সরকার ব্রিটানি লাউগাকে সাহায্য করে চলেছে। ব্রিটানি যে অবস্থার মধ্যে দিয়ে গিয়েছেন, সেই অবস্থার মধ্যে দিয়ে কাউকে যেন যেতে না হয়। আমার সম্পূর্ণ লক্ষ্য ব্রিটানি এবং তাঁর ভাল থাকার উপরেই রয়েছে। আমি ইতিমধ্যেই ব্রিটানিকে জানিয়েছি যে, আমরা তাঁকে সমর্থন করার জন্যই রয়েছি। যা তিনি চান, সমস্ত সাহায্য করা হবে।”