#কলকাতা : এতদিন ছিলেন রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। কিন্তু এবার দুজনেই এক শিবিরে। তাই বিরোধ ভুলে হল সৌজন্য বিনিময়। শত্রুতা ভুলে শনিবারের বারবেলায় সন্ধি স্থাপন করে নিলেন মহুয়া মৈত্র ও বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo Mahua Moitra)। দু’ জনেই সাংসদ৷ কিন্তু এতদিন দুটি ভিন্ন দলের হয়ে ব্যাটিং করছিলেন। সংসদে তো বটেই, বিভিন্ন বিতর্ক সভায় একে অপরকে বাক্যবাণে বিঁধেছেন বার বার৷ কিন্তু সে সব এখন অতীত ৷ এখন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra) ও বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) একই দলের দুই নেতা ৷ সুতরাং আর শত্রুতা নয়, একে অপরের প্রতি বাড়ালেন বন্ধুত্বের হাত৷
আরও পড়ুন : ‘এই তো সবে শুরু’! ভবানীপুরে প্রচারে এসে কীসের ইঙ্গিত দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়?
শনিবার অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্ত্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা বাবুল সুপ্রিয় ৷ আর এরপরই বাবুলকে স্বাগত জানান কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কিছু পরেই রিটুইট করে ধন্যবাদ জানান বাবুল সুপ্রিয় ৷
বাবুলের (Babul Supriyo) তৃণমূলে যোগদানের পর উষ্ণ অভ্যর্থনা জানিয়ে ট্যুইটারে মহুয়া (Mahua Moitra) লেখেন, “অভিনন্দন৷ আমার লোকসভার সহকর্মীকে স্বাগত। একসঙ্গে ব্যাটিং করার জন্য মুখিয়ে আছি। আগে যা ভিন্ন দলের হয়ে করতাম।” এর ঘণ্টা দু’য়েক পর রিটুইট করে বাবুল লেখেন, “অনেক অনেক ধন্যবাদ ৷” সঙ্গে স্মাইলির ইমোজি দিয়ে জানান, তিনি আবেগতাড়িত ৷
Congratulations and a very warm welcome to my LS colleague @SuPriyoBabul !
Looking forward to batting together with the same fervour as we did in separate teams 🙂
— Mahua Moitra (@MahuaMoitra) September 18, 2021
এর ঘণ্টা দু’য়েক পর রিট্যুইট করে বাবুল লেখেন, “অনেক অনেক ধন্যবাদ৷” সঙ্গে স্মাইলির ইমোজি দিয়ে জানান, তিনি আবেগতাড়িত৷ দুজনের রাজনৈতিক টু-টু-ম্যায়-ম্যায়ের পরে এবার কে এক অন্য অধ্যায় শুরু হতে চলেছে তারই ইঙ্গিত দিয়েছে বাবুল সুপ্রিয় ও মহুয়া মৈত্রের এই ট্যুইটালাপে।
Thank you so much ? touched https://t.co/ruFnTih1oA
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) September 18, 2021
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭-এর জানুয়ারি মাসে যখন বাবুল ছিলেন নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভার এক সদস্য ৷ একটি টিভি চ্যানেলের বিতর্কসভায় একদিকে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়, অন্যদিকে মহুয়া মৈত্র। যেখানে তাঁর সম্পর্কে বাবুল অশালীন মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন মহুয়া। লাইভ বিতর্কসভা চলাকালীন বাবুল মহুয়ার উদ্দেশে বলেন, “মহুয়া আর ইউ অন মহুয়া” অর্থাৎ “মহুয়া তুমি কি মহুয়া খেয়ে আছো ?” মহুয়া হল একটি উত্তেজক পানীয়৷ তাই বিতর্কসভায় বাবুলের এ হেন মন্তব্যের প্রতিবাদ করেন তৃণমূল সাংসদ।
আরও পড়ুন : ‘বাবুল বিজেপির সম্পদ ছিল’, সহযোদ্ধার দলত্যাগে স্বপন দাশগুপ্তর বিলাপ…
পরে মহুয়া বলেছিলেন, “ওর সঙ্গে আমার কোনও রকম বন্ধুত্ব নেই, কখনও কথা পর্যন্ত হয়নি। একজন মন্ত্রী হয়ে, টিভি চ্যানেলের লাইভ অনুষ্ঠানে আমাকে অপমান করেছে৷ একজন মহিলা হিসেবে আমার আইনি অধিকার আমি বুঝে নেব৷” এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে আলিপুর থানায় বাবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেছিলেন মহুয়া। তবে সম্প্রতি বাবুল সুপ্রিয়র রাজনীতি ত্যাগ প্রসঙ্গে মুখ খুলে মহুয়া বলেন, বাবুল বন্ধু না হলেও শত্রুও নন। আর এদিন শনিবারের বারবেলায় এই ট্যুইটালাপে কার্যত দু’জনের সন্ধি স্থাপন হল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।