Tag Archives: Mahua Moitra

Mahua Moitra on Lok Sabha Election 2024: সকাল থেকেই খোশমেজাজে মহুয়া, প্রচারদের সেলফি তোলার আবদার মেটাচ্ছেন ভোটারদের

কৃষ্ণনগর: নিজেদের প্রিয় প্রার্থীকে পেয়ে সেলফি তোলার আবদার সাধারণ ভোটারদের। নদিয়ার দুটি লোকসভার মধ্যে কৃষ্ণনগর লোকসভা অন্যতম। এখানে রয়েছে হেভি ওয়েট প্রার্থী দুজনেই। তার মধ্যে অন্যতম কৃষ্ণনগর লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। দিল্লির সংসদ ভবন থেকে তার সাংসদ পদ বহিষ্কার করার পরেও তৃণমূলের টিকিটে আবারও তিনি লোকসভা নির্বাচনে লড়ছেন নিজের এলাকাতেই।

আরও পড়ুন: বাংলা থেকেই তিনটি শহর! সবথেকে বেশি দূষিত শহরের তালিকায় আশঙ্কার সংকেত, কলকাতা কত নম্বরে বলুন তো!

সকাল থেকেই কৃষ্ণনগর লোকসভার বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোট সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। তবে কৃষ্ণনগর লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রকে দেখা গিয়েছে সর্বক্ষণ নিজের এলাকাগুলি প্রদক্ষিণ করতে।

কখনও গাড়িতে, কখনও বা মোটর সাইকেলে করে কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়েই তিনি ঘুরে চলেছেন কৃষ্ণনগর উত্তর, দক্ষিণ, তেহট্ট, চাপড়া, পলাশিপাড়া, কালিগঞ্জ, নাকাশিপাড়া ইত্যাদি বিভিন্ন এলাকার বুথ কেন্দ্রগুলিতে। তিনি বলেন, সমস্ত জায়গাতেই শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট হচ্ছে। মহুয়া মৈত্রকে সামনাসামনি দেখে অনেকেই আবদার করছেন সেলফি তোলার জন্য। শত ব্যস্ততার মাঝেও সেই আবদার মেটাচ্ছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র।

মৈনাক দেবনাথ

Krishnanagar Bjp Candidate: বিজেপির প্রার্থী ‘রানিমা’, ভোটকেন্দ্র রাজবাড়িতেই! কিন্তু শুরুতেই বড় সমস্যা কৃষ্ণনগরে

কৃষ্ণনগর: কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের বাড়ি অর্থাৎ সুবিশাল রাজ বাড়িতেই ভোট গ্রহণ কেন্দ্র। ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার আগে হঠাৎ যান বিজেপি প্রার্থী। রাজবাড়িতেই কৃষ্ণনগর ১৩ নম্বর এবং ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ভোট গ্রহণ কেন্দ্র। সেখানে ১০৪ থেকে ১০৯ নম্বর পর্যন্ত বুথ আছে।

কিন্তু সকাল থেকেই ১০৪ নম্বর বুথে মেশিন খারাপ থাকায় প্রায় ঘন্টাখানেকের ওপর ভোট বন্ধ থাকে। অবশেষে এবিএম কর্তৃপক্ষ আসলে মেশিন সারানোর পর আবার ভোট নেওয়া শুরু হয়। তবে, বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় কৃষ্ণনগরের ভোটার নন, তবে রাজবাড়িতেই এলাকার বুথ পড়েছে। তা দেখতেই সকাল-সকাল বেরিয়ে পড়েছেন তিনি।

আরও পড়ুন: ২০৬০ সাল, আর মাত্র ৩৬ বছর, পৃথিবীতে ঘটবে ভয়ঙ্কর ঘটনা! যে সে নয়, লিখে গিয়েছেন স্বয়ং আইজ্যাক নিউটন

সোমবার চব্বিশের লোকসভা কেন্দ্রের চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ৷ এদিন পশ্চিমবঙ্গের মোট ৮টি লোকসভা কেন্দ্রে গ্রহণ করা হবে ভোট৷ ভোটগ্রহণ চলছে বহরমপুর, বোলপুর, বীরভূম, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, রানাঘাট, পূর্ব বর্ধমান, বর্ধমান-দুর্গাপুরে। এদিনের তারকা প্রার্থীর তালিকা বেশ লম্বা৷ বহরমপুরে অধীর চৌধুরী, ইউসুফ পাঠান থেকে শুরু করে কৃষ্ণনগরের তৃণমূলপ্রার্থী মহুয়া মৈত্রের সঙ্গে জোর লড়াই বিজেপির অমৃতা রায়ের ৷ এদিন ভোট হচ্ছে দিলীপ ঘোষের কেন্দ্রেও৷

তবে ভোটের আগের দিন থেকেই রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য৷ বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রামে ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছে এক তৃণমূলকর্মীকে৷ স্থানীয় সূত্রের খবর, নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম মিন্টু শেখ৷

Lok Sabha elections 2024: তিন দলের তিন তারকা! চতুর্থ দফায় নিজেদেরই প্রমাণের চ্যালেঞ্জ অধীর-দিলীপ-মহুয়ার সামনে

কলকাতা: একজনের গড় রক্ষার লড়াই৷ দ্বিতীয়জনের লড়াই বহিষ্কৃত হওয়ার পর ফের সংসদে ফিরে নিজেকে প্রমাণ করার৷ আবার, তৃতীয় জনের সামনে নতুন কেন্দ্রে এসে নিজের ক্যারিশমায় ভোটে জেতার চ্যালেঞ্জ৷

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ চতুর্থ দফা লাইভ

তিন জনই আলাদা আলাদা তিনটি দলের প্রতিনিধি হলেও চতুর্থ দফার ভোটে আজ নিজেদের প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ বাংলার তিন তারকা প্রার্থীর সামনে৷ বহরমপুরে তিনিই যে শেষ কথা, ইউসুফ পাঠানের মতো তারকা প্রার্থীর বিরুদ্ধে তা প্রমাণ করার চ্যালেঞ্জ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীর সামনে৷ কয়েক মাস আগে লোকসভা থেকে বহিষ্কৃত হওয়া মহুয়া মৈত্রও কৃষ্ণনগরে কঠিন পরীক্ষার সামনে৷

আরও পড়ুন: ‘চোর বলছেন, সার্টিফিকেট নিয়ে আসব’? অর্জুনের ব‍্যারাকপুরেই মোদিকে তোপ দাগলেন মমতা

তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ যে ভোটারদের মনে প্রভাব ফেলেনি, তা প্রমাণ করতে হবে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থীকে৷ আর তৃতীয় জন দিলীপ ঘোষ৷ জেতা মেদিনীপুর আসন ছেড়ে এবার দিলীপকে বর্ধমান দুর্গাপুরে পাঠিয়েছে দল৷ বিজেপির অন্দরেই কানাঘুষো, দিলীপকে এবার কঠিন পরীক্ষার ঠেলে দিয়েছে তাঁর দলই৷ তাঁর নামটাই যে যথেষ্ট, এবার বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রে সেটাই বেশি করে প্রমাণের তাগিদ দিলীপের সামনে৷ ভোটের ফল পক্ষে না গেলে দলেই যে দিলীপ আরও কোণঠাসা হবেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷

বাংলায় আজ আট কেন্দ্রে ভোট৷ অধীর, মহুয়া, দিলীপ ছাডা়ও আজকে বাংলার ভোটে তারকা প্রার্থী অবশ্য আরও আছেন৷ বোলপুরে শতাব্দী রায়, আসানসোলে শত্রুঘ্ন সিনহাদের মতো প্রার্থী রয়েছেন৷ বাংলার ভোটে আজ প্রাক্তন দুই ভারতীয় ক্রিকেটারেরও সম্মানের লড়াই৷ দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে বর্ধমান-দুর্গাপুরে কীর্তি আজাদকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল, অন্যদিকে অধীরের গড়ে ইউসুফ পাঠানও সব হিসেব উল্টে দিতে পারেন কি না, তা নিয়েও তুমুল আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে৷

Lok Sabha Election 2024 Phase 4 Voting LIVE: বিকেল ৫টা পর্যন্ত রাজ্যে ভোট পড়ল ৭৫.৬৬%, এগিয়ে কোন কেন্দ্র? দেখে নিন তালিকা

কলকাতা: দেশজুড়ে সাত দফায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন। ১৯ শে এপ্রিল শুরু হয়ে ২৬ এপ্রিল, ৭ মে ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে তিন দফার ভোটদান প্রক্রিয়া। গণতন্ত্রের এই উৎসব এখনও পর্যন্ত কার্যত শান্তিপূর্ণ। সোমবার ১৩ মে চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণ। এরপর ২০ মে, ২৫ মে এবং ১ জুন ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আরও তিন দফায়। ভোট গণনা হবে ৪ জুন। পশ্চিমবঙ্গে লোকসভা ভোট শুরু হয়েছে প্রথম দফা থেকেই। নির্বাচন কমিশনের দেওয়া সূচি অনুসারে চলছে মোট সাত দফার ভোট। প্রথম, দ্বিতীয় ও কিছুটা তৃতীয় দফাতেও মূলত ভোট ছিল উত্তরবঙ্গ কেন্দ্রিক। তৃতীয় দফায় ব্যতিক্রম ছিল দক্ষিণবঙ্গের দুই কেন্দ্র জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদ। চতুর্থ দফায় ভোট হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের মোট আটটি জায়গায়- বহরমপুর, বোলপুর, বীরভূম, কৃষ্ণনগর, আসানসোল, রানাঘাট, পূর্ব বর্ধমান, বর্ধমান-দুর্গাপুর। ভোট গণনা হবে জুন মাসের ৪ তারিখে। চতুর্থ দফায় মোট ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আটটি আসন রয়েছে। বিজেপি, কংগ্রেস তৃণমূল সিপিআইএম-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের মধ্যে ১৩ মে ভাগ্য নির্ধারণ হবে এরাজ্যের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর। সেই তালিকায় রয়েছেন- অধীর চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, মহুয়া মৈত্ররা।

এই দফায় সবথেকে বেশি অন্ধ্রপ্রদেশে ২৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের মাত্র একটি কেন্দ্রে রয়েছে ভোট।

অন্ধ্রপ্রদেশ – ২৫
বিহার- ৫
জম্মু ও কাশ্মীর- ১
ঝাড়খণ্ড- ৪
মধ্যপ্রদেশ-৮
মহারাষ্ট্র-১১
ওড়িশা- ৪
তেলেঙ্গানা- ১৭
উত্তরপ্রদেশ- ১৩
পশ্চিমবঙ্গ-৮

রাজ্যে চতুর্থ দফার ৮টি কেন্দ্র রয়েছে ৫ জেলায়। মোট ৭৫ জন প্রার্থীর হবে ভাগ্য নির্ধারণ। এ দফায় ভোট হতে চলা ৮টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছিল চারটি আসনে ও তিনটিতে জিতেছিল বিজেপি। কংগ্রেস পেয়েছিল একটি আসন। পরে আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় ইস্তফা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। উপনির্বাচনে এই কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিংহ ২০২২ সালে এই আসনে ২ লক্ষর বেশি ভোটে জেতেন।

Lok Sabha Election 2024: কৃষ্ণনগর এবার হেভিওয়েট কেন্দ্র! মহুয়া বনাম ‘রানিমা’ লড়াইয়ের কী হাল? জানুন

কৃষ্ণনগর: ২০১৬ সালে করিমপুর বিধানসভা আসন থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। ২০১৯ সালে আবার তিনিই হন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ। ২০১০ সালে এরপর তৃণমূলে যোগদান মহুয়া প্রথমে বিধায়ক এবং পরে সাংসদ হন কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে।

আরও পড়ুন: YouTube-ভিডিও থেকে কত টাকা আয় হয়? ১ মিলিয়ন ভিউজ হলে কত রোজগার হয়? ৯৯% লোকজনই জানেন না

পশ্চিমবঙ্গ লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ চতুর্থ দফা লাইভ

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মোট আটজন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী রয়েছেন। বহুজন সমাজবাদী পার্টির হয়ে দাঁড়িয়েছেন অমল চন্দ্র সরকার। কৃষ্ণনগরের রানীমা অমৃতা রায় দাঁড়িয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির হয়ে। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে আবারওলোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্র।

ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগরের প্রার্থী করেছেন এস এম সাদীকে। অল ইন্ডিয়া সেকুলার ফ্রন্ট কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছেন আফরোজা খাতুন মন্ডলকে। সোশালিস্ট ইউনিটি সেন্টার অফ ইন্ডিয়া (কমিউনিস্ট) পার্টির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন ইসমত আরা মন্ডল। এছাড়াও দুজন প্রার্থী রয়েছেন নির্দলে। অলীক কুমার কুন্ডু যার প্রতীক চিহ্ন হিরে, নিমাই বিশ্বাস যার প্রতীক চিহ্ন আখচাষী।

কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র মূলত তেহট্ট, পলাশীপাড়া, কালীগঞ্জ, নাকাশিপাড়া, চাপড়া, কৃষ্ণনগর উত্তর ও কৃষ্ণনগর দক্ষিণ এই সাতটি ভাগে বিভক্ত। এবছর কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মোট পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৯০৬১২৫ এবং মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৮৪৮২২৬ তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ২৬ সর্বমোট ভোটারের সংখ্যা ১৭৫৪৩৭৭। কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে মোট পোলিং স্টেশন রয়েছে ১৮৪১ টি।

আরও পড়ুন: বাড়ির এই জায়গায় কখনও রাখবেন না ইনভার্টার, সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যাবে ব‍্যাটারি!

কৃষ্ণনগর লোকসভায় সাফল্য বজায় রাখতে পারলেও একটু একটু করে জয়ের ব্যবধান কমছে তৃণমূলের। ২০১৯ সালে প্রাক্তন ফুটবলার কল্যান চৌবে যখন বিজেপির টিকিটে দ্বিতীয় স্থানে চলে যান তখন তৃণমূল ভোট পায় ৪৫ শতাংশ এবং বিজেপি পেয়েছিল ৪০.৩৭ শতাংশ। সিপিএম ও কংগ্রেসের যৌথ ভোট দাঁড়ায় ১১ শতাংশের কাছাকাছি।

কল্যাণকে এবার দাঁড় করায়নি বিজেপি। তার বদলে কে দাঁড়াবে বিজেপির হয়ে কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রে তা নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে। বহু টানাপোড়নের পর অবশেষে কৃষ্ণনগরের ‘রানীমা’ অমৃতা রায়ের নাম ঘোষণা করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।

সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কৃত মহুয়া মৈত্রকে পুনরায় নির্বাচনের টিকিট দেয়া হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে। আবারও দিল্লির সাংসদে পাঠানোর জন্য নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছে তৃণমূল। বিজেপির পক্ষ থেকেও তাদের প্রার্থী রানীমাকে জেতানোর জন্য একের পর এক উচ্চসারির নেতা ইতিমধ্যেই রানীমার হয়ে প্রচার করে গিয়েছেন। তার মধ্যে নাম রয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীরও!

বর্তমান পরিস্থিতিও ভোটের অংক নিয়ে প্রধানত দুইফুলেই এবার হাড্ডা হাড্ডি লড়াই। যারা যায় গত লোকসভা নির্বাচনে মহুয়া মৈত্রের জয়ের অন্যতম কারণ ছিল চাপড়া, পলাশীপাড়া, নাকাশিপাড়া ও কালীগঞ্জ বিধানসভা।

অন্যদিকে বিজেপি এগিয়েছিল কৃষ্ণনগর উত্তর, দক্ষিণ এবং তেহট্টে। চাপড়া তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ শুধুমাত্র এই একটি আসনেই গতবার প্রায় পঞ্চাশ হাজার ভোটে এগিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। ঠিক তেমনই কৃষ্ণনগর উত্তরে বিজেপি এগিয়েছিল প্রায় ৫০ হাজার ভোটে।

তবে সেইসব ভোটে ভাগ বসাতে সিপিআইএম এবার প্রার্থী করেছে প্রাক্তন বিধায়ক এস এম সাদিকে। সঙ্গে নওশাদ সিদ্দিকীর দল আইএসএফের মহিলা প্রার্থী আফরোজা খাতুন রয়েছে সংখ্যালঘু ভোট টানার জন্য। সব মিলিয়ে এবছরে কৃষ্ণনগর লোকসভার ফলাফল নিয়ে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে দুই ফুলের মধ্যেই।

Mainak Debnath

Abhishek Banerjee: ‘দ্বিগুণ ভোটে জয়ী করুন মহুয়াকে…’, ‘ঋণশোধের’ বড় অঙ্গীকার অভিষেকের! কৃষ্ণনগরে ঝোড়ো নিশানা বিজেপিকে

কালীগঞ্জ: দেশ জুড়ে তৃতীয় দফা ভোটের আগে প্রচার অভিযান তুঙ্গে বাংলায়। থার্ড ফেজের আগে শেষ রবিবাসরীয় প্রচারে কৃষ্ণনগরের কালীগঞ্জে তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের প্রচারে নেমে গর্জে উঠলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, মহুয়া প্রতিবাদ করেছিলেন, সংসদে কৃষ্ণনগরের মানুষদের অভিযোগ তুলে ধরেছিলেন বলেই তাঁর সাংসদ পদ খারিজ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।” শুধু তাই নয় ‘তদন্ত ছাড়া যাঁরা মহুয়ার পদ খারিজ করেছেন, তাঁদের বিতাড়িত করতে হবে’ বলেও ডাক দেন অভিষেক।

‘‘গত বছরের থেকে দ্বিগুণ ভোটে জয়ী করুন মহুয়াকে।” কৃষ্ণনগরবাসীর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে অভিষেকের দাবি, “এই ঋণ উন্নয়নের মাধ্যমে শোধ করব। সন্দেশখালির মাধ্যমে যাঁরা বাংলাকে ছোট করেছেন দেশের সামনে, তাঁদের জবাব দেবেন।”

আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকেছে মে মাসে? কড়কড়ে নোট কবে ঢুকবে অ্যাকাউন্টে ? ‘এইভাবে’ Check করে নিন পেমেন্ট স্ট্যাটাস!

তাঁর কথায় “মহুয়ার বিরুদ্ধে কোনও তদন্তও করা হয়নি। অথচ যাঁরা দেশের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে ফেলে দেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে না মোদি সরকার। গত তিন বছরে প্রধানমন্ত্রী কখনও কৃষ্ণনগরে আসেননি। কিন্তু মহুয়া মৈত্র সারা বছর মানুষের কাছে থেকেছেন।” অভিষেকের অভিযোগ, “গায়ের জোরে’ মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি যাঁকে প্রার্থী করেছে কৃষ্ণনগরে, তিনি মোদির হাতের ‘পুতুল’।”

রবিবার নদিয়ার কালীগঞ্জে দলের কৃষ্ণনগরের প্রার্থী মহুয়া মৈত্রের হয়ে প্রচারে যান অভিষেক। সেখানেই বিজেপি-কে নিশানা করেন তিনি। অভিষেক বলেন, “অমৃতা রায় ভোট চাইতে এলে প্রশ্ন করুন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ করার যে হুমকি দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা, সে ব্যাপারে অবস্থান কী?”

সন্দেশখালির ঘটনায় যে ভাইরাল ভিডিও সামনে এসেছে, সেই নিয়েও এদিন আক্রমণ শানান অভিষেক। তিনি বলেন, “সন্দেশখালি নিয়ে অনেক গলা ফাটিয়েছিলেন। কাল দেখেছেন তো? প্রমাণ হয়ে গিয়েছে, বাংলার মানুষকে ছোট করেছে। মহিলাদের ২০০০ টাকা করে দিয়ে মিথ্যে অভিযোগ করিয়েছে। মহিলাদের সম্ভ্রম, ইজ্জত ২০০০ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছে দিল্লির কাছে। আমি বলছি না, বলছেন বিজেপি-র মণ্ডল সভাপতি।”

 

Mahua Moitra News: বেরিয়েছিলেন প্রচারে, হঠাৎ CPIM-এর ‘ক্ষতি’ করে ফেললেন মহুয়া মৈত্র! কী ঘটল কৃষ্ণনগরে?

সমীর রুদ্র, নদীয়া: প্রচারে বেড়িয়ে সিপিআইএমে ভাঙন ধরালেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। দুয়ারে লোকসভা নির্বাচন, তার আগেই মহুয়া মৈত্রের হাত ধরে সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন তেহট্ট ২ পঞ্চায়েত সমিতির সিপিআইএম সদস্যা নাসরিনা বেগম মণ্ডল।

রবিবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পলাশিপাড়া বিধানসভা এলাকায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন মহুয়া মৈত্র। প্রচারের মাঝখানে বড় নলদহ এলাকায় যোগদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। সেখানে ওই সিপিআইএম সদস্যার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন মহুয়া মৈত্র। তৃণমূলের দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা সহ ১০০টি পরিবার সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন।

আরও পড়ুন: রবিবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের ৬ জেলায় রেড অ্যালার্ট! চলবে তাপপ্রবাহ! বৃষ্টির দিনক্ষণও জানাল হাওয়া অফিস

এদিকে, নয়া অভিযোগে বিদ্ধও হয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র। বিজেপির দাবি, প্রচারে সরকারি স্টিকার লাগানো গাড়ি ব্যবহার করছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ। তাঁর বিরুদ্ধে ‘প্রমাণ-সহ’ নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে বিজেপি।

শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে কৃষ্ণনগরে জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন দিয়েছেন মহুয়া। বিজেপির অভিযোগ, মনোনয়ন দিয়ে ফেরার পথে মহুয়া যে গাড়িটি ব্যবহার করেছেন সেটিতে রাজ্য সরকারের স্টিকার লাগানো ছিল। শুধু তাই নয়, নদিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতিকেও দেখা গিয়েছে মহুয়ার সঙ্গে।

Mahua Moitra: ‘খোলা আছে বিজেপির দ্বার…’, ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট মহুয়ার, তিহাড় নিয়ে আশঙ্কায় তৃণমূল প্রার্থী?

মৈত্রেয়ী ভট্টাচার্য, কলকাতা: তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ এনে পিএমএলএ ধারায় নতুন করে মামলা করেছে ইডি৷ এর পরই নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্র৷ সমাজমাধ্যমে করা এই পোস্টে মহুয়ার আশঙ্কা, গ্রেফতার করে হয়তো তাঁকেও তিহাড় জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হতে পারে৷

এ দিন সকালে এক্স হ্যান্ডেলে হিন্দিতে এই পোস্ট করেন মহুয়া৷ যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায়, খোলা আছে বিজেপির দ্বার৷ চলে এসো, না হলে এবার তিহাড়৷ অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগে তদন্তে নেমে আগেই বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে বিদেশী মুদ্রা বিনিময় নিয়ন্ত্রণ আইন বা ফেমার অধীনে মামলা করে ইডি৷ এবার নতুন করে মহুয়ার বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ এনেছে ইডি৷ মহুয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে সিবিআই-ও৷ সম্প্রতি এই মামলার তদন্তে কলকাতা এবং কৃষ্ণনগরে তল্লাশিও চালিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা্৷

এই পরিস্থিতিতে তিহাড়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে মহুয়ার এই পোস্ট, নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ৷ কারণ সম্প্রতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালকেও গ্রেফতারির পর তিহাড়েই যেতে হয়েছে৷ রাজ্যের বিজেপি নেতারাও প্রায়শই তৃণমূল নেতাদের তিহাড়ে ঠাঁই হবে বলে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন৷ এর আগে মহুয়াকে ইডি একাধিকবার তলব করলেও হাজিরা দেননি কৃষ্ণনগরের তৃণমূল প্রার্থী৷

আরও পড়ুন: বহরমপুরে হারলে রাজনীতি ছাড়বেন, মমতাকে নতুন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে ঘোষণা অধীরের

ইডি তাঁর বিরুদ্ধে নতুন মামলা দায়েরের পর মহুয়া বলেন, আমাদের যেমন মহিলা, ছাত্র, যুব সংগঠন আছে৷ বিজেপির হাতে সিবিআই, ইডি, এনআইএ আছে৷ ওরা  আমরা যেমন সকালে ঘুম থেকে উঠে পুজো করি, ওরা মামলা দায়ের করে দেয়৷ না হলে ওদের ভাত হজম হয়না৷ এতে আমার কিছু যায় আসে না৷

এবারের নির্বাচনে মহুয়ার কৃষ্ণনগর আসনটিকে যে বিজেপি পাখির চোখ করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না৷ ইতিমধ্যেই ওই আসনে দলের প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷